স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য- [15 August] 2023

শুভ স্বাধীনতা দিবস, ভারতের ৭5 তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজকের পোস্ট- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য। About – 76th independence day of India 15 august 2023।

15 আগস্ট, স্বাধীনতা দিবস ভারত এবং ভারত বর্ষের জনগণ এর কাছে খুবই গৌরব একটি দিন। এই দিন টিকে একটি জাতীয় ছুটির দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এবং এই দিনটিতে ভারত বর্ষের প্রতিটি জায়গায় নিজেদের মতন করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও করা হয়।

 কারণ এই দিন টিতেই আমাদের ভারত বর্ষ ব্রিটিশ শাসন এর হাত থেকে শাসন অধীন হয়ে ছিল। এবং এই দিন টিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মস্থান গুলি বন্ধ থাকে। 15 ই আগস্ট এর দিন এবং এর কয়েকদিন আগে থেকেই এই দিন টি উদযাপন করা শুরু হয়ে যায়। 

স্কুল কলেজ, অফিস কোট কাছারি শহরের বিভিন্ন কেন্দ্র গুলিতে পতাকা উত্তোলন হয়। শিশু থেকে জোয়ান হোক কিংবা বয়স্ক সমস্ত ভারত বাসিরাই এই ভারতের পতাকা ওড়ানো পরিধান কিংবা বহন করে। এই দিনটি ধর্ম মত এর নির্বিশেষে কোনো জাতি ভেদাভেদ না করেই সমস্ত ভারতের বাসিন্দারা মিলে পালন করে। সমস্ত ভারতীয় নাগরিক দের জন্যেই 15 আগস্ট হলো একটি প্রধান এবং অন্যতম গৌরম্বনিত দেশ প্রেমিক এর একটি দিন। 

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য :- 

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য গুলি হলো-

  1. আজকের দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঠিক আজকের দিনেই আমাদের প্রিয় দেশ ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছিল।
  2. আজ ২০২3 সালে ভারতের ৭6 তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে।
  3. ১৯৪৭ সাল থেকে প্রত্যেক বছর এই ১৫ আগস্ট এর দিনটিতেই আমরা স্বাধীনতার দিন হিসেবে পালন করে থাকি।
  4. ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট লালকেল্লায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহেরু, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাধীন ভারতের বার্তা বহন করেছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের উপলক্ষে অন্যান্য বক্তব্যগুলি-
  • স্বাধীনতা হলো ভারতের প্রজাতন্ত্রের জন্য একটি জাতীয় দিবস। ব্রিটিশ রাজ শক্তির কবল থেকে ভারত বর্ষ 1947 সালের 15 আগস্ট স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের এই গৌরব মূলক ঘটনাটি স্মরণে রেখে প্রতি বছর এই দিন টিকেই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। 
  • ভারত মাতার বীর সন্তান যেমন- সুভাষচন্দ্র বোস, ক্ষুদিরাম বোস, ভগৎ, সিং মাতঙ্গিনী হাজরা, ভগিনী নিবেদিতা, সূর্যসেন সহ আরো অনেক বিদ্রোহীরা নিজের রক্তের বিনিময়ে যুদ্ধ জয়ের পর ভারতের কাছে তার স্বাধীনতা এনে দিতে সক্ষম হয়েছে।
  • 1947 সালের 15 ই আগস্ট এর পর ভারত যখন স্বাধীনতা লাভ পায় তখন থেকে ভারতবর্ষকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হয়। তার জন্য এই দিনটি সমস্ত ভারত বাসীর জনগণের কাছে ক্ষয়ের গৌরব পূর্ণ একটি দিন।
  •  আমাদের দেশের প্রত্যেকটি ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের এই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সম্পূর্ণ সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই প্রয়োজন। তাই পৃথিবীতে সমস্ত দেশের একটি নিজস্ব স্বাধীনতা খুবই প্রয়োজন। 
  • সেই রকমই আমাদের ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল 1947 সালের 15 ই আগস্ট। কিন্তু আমাদের সর্বদা এই কথাটি স্মরণে রাখতে হবে যে স্বাধীনতা কখনোই একদিনে বা অনুনয় বিনয় এর মাধ্যমে আসেনি। আমরা সবাই ইতিহাসে পড়েছি যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা বহু বিপ্লবী দের রক্ত ক্ষয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়েছে। 

প্রতি বছর এর মত এই বছর এও পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে স্বাধীনতা দিবসের জন্য অনুষ্ঠান এর আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দিন টি প্রতিটি ভারতবাসী দের কাছেই বিশেষ একটি দিন। সেই জন্য এখন থেকেই প্রায় প্রত্যেক টি দোকানে দোকানে তেরঙ্গা রঙের পতাকা থেকে শুরু করে পোশাক টুপি ইত্যাদি সামগ্রী বিক্রি হওয়া শুরু হয়ে গেছে। 

               আমাদের ভারতবর্ষ এবং পাকিস্তান একই সাথে স্বাধীন হয়ে ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় 14 ই আগস্ট এবং ভারত বর্ষে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় 15 ই আগস্ট। অথচ স্বাধীনতা আইনের নিয়ম অনুযায়ী ভারত বর্ষ এবং পাকিস্তানের একই দিনে হওয়া উচিত ছিল। 

কিন্তু তাহলে ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে কেন এই 15 ই আগস্ট দিন টিকেই বেছে নেওয়া হলো ? আসুন একবার আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই পুরানো ইতিহাসের দিকে – 

তখন সাল টা ছিল 1929, সেই সময় কংগ্রেস দল এর সভাপতি ছিলেন জহরলাল নেহেরু। তাদের কথা অনুযায়ী সেই সময় 26 সে জানুয়ারি কে ভারত বাসীর স্বাধীনতা দিবস হিসাবে মেনে নিয়ে ছিল। 
এমন কি 1930 থেকে 1946 সাল পর্যন্ত ভারতের জনগণ রা এই দিনটি অর্থাৎ 26 সে জানুয়ারি কেই স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে এই দিন টিকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এর পর  ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই দিন টি থেকেই ভারতের প্রথম সংবিধান কার্যকর করা শুরু হয়। 

লাল কেল্লাতে পতাকা উত্তোলন :

 1947 সালের 15 ই আগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর পদে জহরলাল নেহেরু দিল্লি তে অবস্থিত লাল কেল্লা এর লাহোড়ী গেট এর উপর প্রথম বার ভারত এর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

 এর পর থেকে প্রত্যেক বছরই স্বাধীনতা দিবস এর দিন অর্থাৎ 15 ই আগস্ট এই দিন টিতে দিল্লির লাল কেল্লায় সকাল বেলায় পতাকা উত্তোলন এর অনুষ্ঠান টি খুব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের পর প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ঐতিহাসিক জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।

 তার এই বিখ্যাত ভাষণটি আমাদের কাছে ‘ Tryst with Destiny‘ নামে আজও পরিচিত হয়ে আছে।

             কিন্তু যে সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছিল অর্থাৎ 1947 সালের 15 ই আগস্ট পতাকা উত্তোলন করা হয় নি। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গবেষণা এর মাধ্যমে জানা গেছে যে সেই বছর তখনকার প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু 16 ই আগস্ট দিল্লীর লাল কেল্লাতে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এই বছর অর্থাৎ 2023 সালে 76 তম স্বাধীনতা দিবস পালিত করা হবে। আজকের পোস্ট- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

ভারত স্বাধীনের সময় পর্ব :- 

1947 সালের 15 আগস্ট ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে এই দিন টিতেই স্বাধীনতা লাভ করেছিল। পুরো দেশ জুড়ে এই দিন টি তে স্থানীয় প্রশাসন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মাধ্যমে উদযাপন করা হয়ে থাকে। 

15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস ছবি
15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস ছবি

এবং পুরো ভারতবর্ষের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস এর যে প্রধান অনুষ্ঠান সেটি পালিত হয় দিল্লির লাল কেল্লা তে। সেখানে সর্বপ্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং এরপর সমস্ত দেশ বাসীদের সম্মুখে দেশের সম্পর্কে ভাষণ দেন।

 এছাড়াও তিনি ভারতের স্বাধীনতার সাথে যুক্ত যে সমস্ত মহান বিপ্লবী নেতা রা আছেন তাদের সম্পর্কে এবং শহীদদের উদ্দেশ্য সম্মান জানান। 

পটভূমি –

 1946 সালে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়ে গিয়েছিল তখন এর প্রভাবে ব্রিটেনের রাজ কোষ সম্পূর্ন ভাবে শূন্য হয়ে পড়ে ছিল। এই সময় থেকেই ব্রিটেন অভ্যন্তরীণ হোক কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো দিক থেকেই সাহায্য পায়নি।

 তখন ব্রিটেনের লেবার সরকার উপলব্ধি করেন যে এই রকম একটি পরিস্থিতিতে ভারতের যে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অবস্থা রয়েছে সেই অস্থিরতা কে পুনরায় সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা বা অর্থবল কোনো টি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যদের নেই। আজকের পোস্ট- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

এবং তখন এই রূপ অবস্থা থেকে তারা ভারতের উপর থেকে ব্রিটিশ শাসন এর অধিকার কে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর পর 1947 সালের প্রায় শেষের দিকে ব্রিটিশ সরকার এর তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়। 

 যে 1948 সালের জুন মাসের মধ্যে ব্রিটিশরা ভারতের শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেবেন এবং এর সাথে ভারত কে একটি ব্রিটিশ মুক্ত দেশ বা একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে মুক্তি দেওয়া হবে। 

ধীরে ধীরে স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে ততো পাঞ্জাব এবং বাংলা প্রদেশের সমস্ত হিন্দু এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর দের মধ্যে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আজকের পোস্ট- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

তখনকার সময় ভারতের তদানীন্তন ভাইসরয় লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর যে অক্ষমতা হয়েছে সেটা মাথায় রেখে তারা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভারত স্বাধীন করার সময় এর তারিখ আরও 7 মাস এগিয়ে আনেন। 

এই সময় 1947 সালের জুন মাসে জহরলাল নেহেরু, আব্দুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং ভিমরাও রামজি আম্বেদকর সহ আরো অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দরা ধর্মের উপর ভিত্তি করে ভারত বিভাগ এর প্রস্তাব এ রাজি হয়ে যান।

 এর পর হিন্দু ও শিখ ধর্মের সংখ্যা গুরু এর অঞ্চল গুলি ভারতে গড়ে ওঠে এবং মুসলিম ধর্মের সংখ্যা গুরু এর অঞ্চল গুলি তখন কার নব গঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তান এ গড়ে ওঠে, পাঞ্জাব ও বাংলা এই দুটি প্রদেশ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। 

এর ফলে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ এর অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়, তারা নিজের বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। এর পর তারা ধীরে ধীরে এক একটি দল গঠিত করে র‍্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে গিয়ে নিজেদের পছন্দ মত দেশে যেতে শুরু করে।

অন্য পোস্টগুলো- স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা

পাঞ্জাব এর শিখ অঞ্চল গুলি কে দুটি ভাগে বিভক্ত করার ফলে এক রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার সূচনা হয়। এবং এই দাঙ্গা বাংলা ও বিহারেও হয়েছিল। 

কিন্তু সেখানে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিত থাকার জন্য সেখান কার দাঙ্গা কিছুটা প্রশমিত হতে সক্ষম হয়েছিল। এবং এর পরেও 250,000 থেকে শুরু করে প্রায় 500,000 জন্ মানুষ দুই প্রান্তের দাঙ্গায় হতাহত হয়েছিল। 

এই দাঙ্গা শেষ হওয়ায় পর এক নতুন পাকিস্তান জন্ম নেয়। এবার করাচির মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রধান গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। 

এর পর মধ্য রাতে অর্থাৎ, 1947 সালে 15 ই আগস্ট এর সূচনা পর্বে জহরলাল নেহেরু তার বিখ্যাত একটি ভাষণ ‘ নিয়তির সঙ্গে অভিসার ‘ প্রদানের মাধ্যমে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সংবাদ ঘোষণা করেন। 

এর পর ধীরে ধীরে ভারতে ইউনিয়ন এর জন্ম হয়। নতুন দিল্লি বা নিউ দিল্লি তে জহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কার্য ভার এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হলো মাউন্টব্যাটেন। আজকের পোস্ট- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

উদযাপন –

আজকের দিনIndependence day of India 2023
তারিখ15 আগস্ট 2023
তাৎপর্য-ভারতের স্বাধীনতার স্মৃতিকে স্মরণ করে
ভারত স্বাধীন হয়েছিল15 আগস্ট 1947
টাইপজাতীয়
পোস্টের নামস্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

 1947 সালের 15 ই আগস্ট ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লা তে প্রথম বার ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকা উত্তোলন এর অনুষ্ঠান টি পুরো দেশ জুড়ে দূরদর্শন এর মাধ্যমে সম্প্রচারিত করা হয়েছিল। 

এর পর প্রতি বছর সমস্ত রাজ্য এবং রাজধানী তে পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এক একটি শহর নিজ নিজ কেন্দ্রে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ দের সাথে নিয়ে 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নানান ধরনের অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন।

 এছাড়াও সমস্ত স্কুল – কলেজ, অফিস – কাছারি তেও এই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান পালন করা হয়। আজকের পোস্ট- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য  

ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত ব্যাক্তি দের কিছু সেরা বক্তব্য :- 

মহাত্মা গান্ধী –

মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা লাভ এর সম্পর্কে বলেছেন যে ,

স্বাধীনতা লাভ কখনই কোনো সহজ বিষয় নয়। কিন্তু স্বাধীনতা ছাড়াও যেকোনো জাতি, ব্যক্তি বা দেশ যা কিছুই হোক না কেন তাদের বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। তাই যেকোনো পরিস্থিতি তে স্বাধীনতা অর্জন করায় হলো আমাদের প্রথম কর্তব্য। 

মহাত্মা গান্ধী

জওহরলাল নেহেরু – 

জওহরলাল নেহেরু তার দেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলেছেন যে,

আপনি জেই দেশে বসবাস করছেন সেই দেশ টি আপনার জন্য কি করতে পারে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলা কখনোই শ্রেয় নয়। বরং আপনি জেই দেশে আশ্রয় নিয়েছেন সেই দেশের জন্য আপনি কি করতে পেরেছেন সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করুন। 

জওহরলাল নেহেরু

কাহলিল জিবরান –

কাহলিল জিবরান স্বাধীনতা সম্পর্কে বলেছেন যে,

একজন ব্যক্তির স্বাধীনতা ছাড়া জীবন মানে তার জীবন হলো একটি আত্মা বিহীন প্রাণ। 

কাহলিল জিবরান

বিক্রমন –

বিক্রমণ এর মত অনুযায়ী স্বাধীনতা এর মানে হলো-

স্বাধীনতা কে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে উপভোগ করা এবং অন্য কাওকে এই স্বাধীনতার পেতে সাহায্য করা যাতে তারাও নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ পায়। 

বিক্রমণ

নেলসন ম্যান্ডেলা –

নেলসন ম্যান্ডেলার কথা থেকে জানতে পারা যায় যে ,

আমাদের গর্বের স্বাধীনতা কে আমাদের সব সময় দীর্ঘজীবী করে রাখা উচিত। সমস্ত বিপ্লবীদের দেশের জন্য বলিদান কখনোই যেন কেউ ভুলে না যায়। 

নেলসন ম্যান্ডেলা

ড: বি. আর আম্বেদকর –

 ড: বি. আর আম্বেদকর স্বাধীনতা কে নিয়ে বলেছেন যে,

তিনি সেই টিকেই মুক্ত বা স্বাধীন বলে মেনে নেন যেটি নিজের স্ব- বিবেক কে জাগ্রত করে। এবং নিজের যে সকল দায়িত্ব বা কর্তব্য গুলি রয়েছে সেগুলি পালন করার উপলব্ধি প্রদান করে।  

ড: বি. আর আম্বেদকর

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট –

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এর মতে, স্বাধীনতা কখনোই কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়, স্বাধীনতা প্রত্যেক ব্যাক্তি কে নিজে থেকে অর্জন করে নিতে হয়। 

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট

এই ছিল স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য। আমি খুবই সহজ ভাষায় সমস্ত আলোচনা টি ব্যাক্ত করার চেষ্টা করেছি। আশা রাখি আপনাদের বুঝতে কোনো প্রকার এর অসুবিধা হয় নি।

Q. আজ কত তম স্বাধীনতা দিবস?

আজ আমাদের দেশ ভারতের 75 তম স্বাধীনতা দিবস।

Q. স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয়?

কারণ আজকের দিনে ১৫ই আগস্ট 1947 সালে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। তাই
স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। প্রায় দুশো বছর ধরে আমাদের দেশে ব্রিটিশদের রাজত্ব চলেছিল, এই ব্রিটিশদের রাজত্ব ধ্বংস করতে বহু বিপ্লবীরা তাদের রক্ত উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই গ্রুপের পূর্ণ।

Leave a Comment