প্রশ্নের উত্তর: ২০২৩ দূর্গা পূজা কত দিন বাকি? দূর্গা পূজা কত তারিখে? 2023 সালের দূর্গা পূজা কত তারিখে? ২০২৩ সালের দুর্গাপুজো কবে?
2023 sala Durga puja kobe, Durga puja koto tarikhe ai sokol proshner uttar akhene daoya hoyeche.
Table of Contents
দূর্গা পূজা তারিখ ২০২৩
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দূর্গা পূজা তারিখ হলো কার্তিক ০২, ১৪৩০ এবং ইংরাজি দূর্গা পূজা তারিখ হল ২০ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার ষষ্ঠী।
দূর্গা পূজা | দিন | দূর্গা পূজা তারিখে |
মহালয়া | শনিবার | ১৪ অক্টোবর |
মহা পঞ্চমী | বৃহস্পতিবার | ১৯ অক্টোবর |
মহা ষষ্ঠী | শুক্রবার | ২০ অক্টোবর |
মহা সপ্তমী | শনিবার | ২১ অক্টোবর |
মহা অষ্টমী | রবিবার | ২২ অক্টোবর |
মহা নবমী | সোমবার | ২৩ অক্টোবর |
বিজয়া দশমী | মঙ্গলবার | ২৪ অক্টোবর |
2023 সালের দূর্গা পূজা কত তারিখে?
২০২৩ সালে দূর্গা পূজার তারিখ হল মহাষষ্ঠী ২০ অক্টোবর, মহা সপ্তমী ২১ অক্টোবর, অষ্টমী ২২ শে অক্টোবর, নবমী ২৩ অক্টোবর এবং বিজয়া দশমীর ২৪ শে অক্টোবর।
২০২৩ সালে মা দূর্গা কিসে আসবে?
2023 সালে মা দূর্গা গজ এর উপর আসবে।
২০২৩ দূর্গা পূজা কত দিন বাকি?
২০২৩ দূর্গা পূজা ৪৫ দিন বাকি বা এক মাস উনিশ দিন বাকি।
দূর্গাপূজা ষষ্ঠী কি বার?
দূর্গাপূজা ষষ্ঠী শুক্রবার বার। ২০২৩ সালে দূর্গাপূজা ষষ্ঠী (শুক্রবার) কার্তিক ০২, ১৪৩০।
মহাষষ্ঠী কবে?
২০২৩ সালে মহাষষ্ঠী পূজা কুড়ি অক্টোবর শুক্রবার পালিত হবে।
২০২৩ সালের দুর্গাপুজো কবে?
২০২৩ সালের দূর্গা পূজার শুরু হবে বৃহস্পতিবার 19 শে অক্টোবর মহাপঞ্চমী দ্বারা এবং অষ্টমী হচ্ছে ২২ শে অক্টোবর রবিবার। এই পুজো শেষ হবে বিজয় দশমী মঙ্গলবার ২৪ শে অক্টোবর।
বাংলায় বসন্তি পূজা বা বসন্ত দূর্গাপূজা
বাঙালি দের মধ্যে একটি ঘটনা অনেক বছর ধরে প্রচলিত রয়েছে। বলা হয় একসময় সুরথ নামক একটি রাজা ছিলেন। তিনি কোনো এক কারণবশত তার রাজ্য হারিয়েছিলেন। এবং তারপর একটি বনে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
ঘুরতে ঘুরতে তার হঠাৎ সমাধি বৈস্যের সাথে দেখা হয়। তিনি তার নিজের রাজ্য হারিয়েছিলেন। তারা। দুজন বনে একত্রে বনে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তখন তাদের ঋষি মেধের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তখন রাজা সুরথ এবং রাজা সমাধি বৈস্য দুজন মিলে ঋষি মেধের কাছে তাদের রাজ্য় ফিরে পাওয়ার জন্যে অনুরোধ জানান।
তখন ঋষি মেধ রাজা সুরথ এবং রাজা সমাধি বৈস্য কে নির্দেশ দেন বসন্ত কলে দেবী দূর্গার পূজা করতে। তারা দুজন ঋষি মেধ এর আদেশ অনুযায়ী বসন্ত কলে দেবী পূজা করেন এবং তাদের রাজ্য গুলিও ফিরে পান। এই ঘটনার পর থেকে বসন্ত কালে বাসন্তী দূর্গা পূজার রীতি শুরু হয়।
বাসন্তী দূর্গা পূজা এবং শারদীয়া দুর্গোৎসব এর মধ্যে পার্থক্য :-
বাসন্তী দূর্গা পূজা এবং শারদীয়া দুর্গোৎসব এর উৎস সময় এবং নিয়ম পদ্ধতি গুলি একই। বাসন্তী দূর্গা পূজা বসন্ত কালে পালন করা হয়ে থাকে এবং শারদীয়া দুর্গোৎসব শরৎ কালে পালন করা হয়ে থাকে।
বসন্ত দূর্গা পূজা রাজা সুরথ এবং রাজা সমাধি বৈস্যের অনুরোধ এ ঋষি মেধ তাদের আদেশ দিয়েছিলেন বসন্ত কালে দূর্গা পূজা করার জন্যে এই ঘটনা ক্রম থেকে শুরু হয়। এবং শ্রীরাম শরৎ কালে রাবণ কে যুদ্ধে পরাজিত করার আগে দেবী দূর্গার আরাধনা করে দেবী দূর্গার আশীর্বাদ প্রাপ্ত করেছিলেন এই ঘটনা ক্রম থেকে শারদীয়া দুর্গোৎসব শুরু হয়।
শ্রীরাম এর সকল ভক্তরা এর পর থেকে শরৎ কালেই দূর্গা পূজার রীতি শুরু করে। বসন্ত কালে দূর্গা পূজার রীতি কমে আসলেও এখনও কিছু কিছু পরিবার বাসন্তী দূর্গা পূজা পালন করে থাকেন।
মা দূর্গার প্রতিমা তৈরির পদ্ধতি :-
ধর্মীয় শাস্ত্রে মূর্তি বিদ্যা নিয়ে যে সকল জ্ঞান প্রদান করা রয়েছে তার সাথে মা দূর্গার প্রতিমা তৈরির কৌশল সঙ্গতিপূর্ণ। মা দূর্গা কে তিনটি সর্বশ্রেষ্ট দেবতা মিলে তৈরি করলেও বাকি দেবতা দেরও এসেখা অবদান রয়েছে। সকল দেব দেবীরা মিলে নিজেদের সব থেকে শক্তি সালি অস্ত্র এবং দশটি হাত সহ একটি অপরূপ সুন্দরী দেবীর সৃষ্টি করেছিলেন।
আমরা সকলেই জানি মা দূর্গার সাথে তার চার সন্তানও প্রতিমায় উপস্থিত থাকেন। এই পাঁচটি দেব দেবীর মূর্তি একটি কাঠামোর উপর তৈরি করা হয়। সেই কারণে এই পদ্ধতিকে এক-চালা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
বাঙালি জাতির প্রধান আদর্শই হলো সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সাহিত্য। বাঙালি দের প্রধান এবং সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব হলো দুর্গোৎসব। কথায় আছে মা দূর্গার আগমন ও প্রস্থান প্রতিবার ভিন্ন বাহন এর দ্বারা সম্পন্ন হয়ে থাকে। সেই রীতি অনুসারে জানা গিয়েছে এবার অর্থাৎ 2023 সালে গজ এর উপর মা দূর্গার আগমন হতে চলেছে, এবং তিনি চরণাজুধ এর উপর হতে প্রস্থান করবেন।
সকল সনাতন ধর্মী বা হিন্দু জাতিরা মা দূর্গার পুজাটি মহিষাসুর বধ এর কারণে এই পালন করে থাকে। দুর্গাপূজা কে কেন্দ্র করে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো 2021 সালের কলকাতার দূর্গাপূজা ইউনেস্কোর অস্পষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্বীকৃতি পেয়েছে।
মা দূর্গার রূপটি পরিবর্তন করেন মহিষাসুর অর্থাৎ মহিষাসুর কে বধ করতে গিয়েই মা দূর্গার আসল পরিচয় পাওয়া যায়। সেই কারণেই এই উৎসব টি হলো অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির একটি মঙ্গলময় প্রতীক। দুর্গাপূজায় মা দূর্গা প্রধান দেবী হলেও তার সাথে সাথে তারই চার সন্তান অর্থাৎ লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতী এদেরও পূজা করা হয়ে থাকে।
দূর্গা পূজা ঠিক কত বছর ধরে চলে আসছে সেটা সঠিক ভাবে বলা মুশকিল হলেও জানা গেছে 14 শতকে যে সকল পাণ্ডুলিপি গুলি অবশিষ্ট ছিল সেখান থেকে এই পূজার নির্দেশিকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও নানান নথি পত্র দেখে জানা গেছে 16 শতকে যে সমস্ত ধনী পরিবার গুলি ছিল তারা তখন সেই দেবী দূর্গার পূজা অর্চনা শুরু করেছিলেন।
পরবর্তীকালে অর্থাৎ ব্রিটিশের রাজত্ব চলাকালীন সময় থেকে বাংলা, অসম এবং ওড়িশা তে দূর্গাপূজার রীতি নীতি বেশি প্রচলতি হয়ে ছিল। যাইহোক বর্তমানের এই আধুনিক যুগ দেখা যায় যে দূর্গাপূজা একটি প্রাচীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এর থেকে বেশি সামাজিক উৎসব ও সংস্কৃতির দ্বারা বেশি প্রচলিত।
দীর্ঘ দিন ধরে এই মহিষাসুরমর্দিনী মা দূর্গার পূজা চলে আসার ফলে বর্তমান সময়ে এটি বাঙালির সর্বশ্রেষ্ট উৎসব এর স্থান প্রাপ্ত করেছে। বাঙালিরা ছাড়াও আরো বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকেরা তাদের ঐতিহ্য কে বজায় রেখে অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে দেবী দূর্গার আরাধনা করে থাকেন।
পশ্চিমবঙ্গ আসাম ত্রিপুরা ও ওড়িশায় দূর্গাপূজা কে অকালবোধন নামেও অভহিত করা হয়ে থাকে। অবশ্য অকালবোধন নামে অভিহিত করার একটি কারণ রয়েছে। শ্রীরাম ছিলেন দেবী দূর্গার পরম ভক্ত। তিনি যখন রাবণ এর সাথে যুদ্ধে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তার আগে তিনি দেবী দূর্গার পূজা করেছিলেন।
তখন তিনি আরাধনার জন্যে মোট 108 টি পদ্ম ফুল এনে রেখেছিলেন। দেবী দূর্গা তার ভক্তের পরিক্ষা নেওয়ার জন্যে একটি পদ্ম ফুল সেখান থেকে লুকিয়ে রাখেন। তখন শ্রীরাম পূজায় বসায় পর দেখেন সেখানে একটি পদ্ম কম রয়েছে, তিনি একটি পদ্মের বদলে নিজের একটি চোখদেবি দূর্গা কে দান করতে যাচ্ছিলেন।
সেই মুহূর্তে দেবী দূর্গা শ্রীরাম এর সামনে প্রকট হন এবং শ্রীরাম কে বলেন তিনি কেবল মাত্র তার ভক্তের পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে পদ্ম টি লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং তিনি তার ভক্তের এই ভক্তি এবং শ্রদ্ধা কে দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন। এরপর তিনি শ্রীরাম কে আশীর্বাদ করেন এবং রাম নিষ্ঠাভরে তার দেবীর পূজা অর্চনা চালিয়ে যেতে থাকেন। এই ঘটনা টি বর্তমানে অকালবধন নামে পরিচিত।
2023 দূর্গা পূজা কত দিন বাকি? দূর্গা পূজা কত তারিখে এর একদম আপডেটেদ উত্তর দেওয়া হলো।
আমি Sharmila, MoneyGita একজন Author। বর্তমানে আমি গ্রাজুয়েশন সম্পূর্ণ করছি এবং লেখালেখি আমার ভালোবাসার একটি কাজ। এই প্লাটফর্মে আমি নিয়মিত আমার লেখালেখির কাজ করে থাকি। সরকারি স্কুলের ছাত্রদের পড়ায়, সিলেবাস অনুযায়ি পরীক্ষার প্রশ্ন-উত্তর করিয়ে থাকি।