জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর -[PDF] Suggestion 2024 | Class 10 Gyan Chokkhu Question Answer

দশম শ্রেণী জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF, Class 10 Gyan Chokkhu Question Answer.

দশম শ্রেণী বাংলা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রশ্ন উত্তর। কেবলমাত্র ২০২৪ সালের বাংলা মাধ্যমিক পরীক্ষা কে লক্ষ্য রেখে ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে সাজেশন ভিত্তিক ইম্পরট্যান্ট ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন এবং তাদের উত্তরগুলিকেই এখানে কেবল দেওয়া হয়েছে।

গল্প: জ্ঞানচক্ষু : আশাপূর্ণা দেবী : Class-10 : Suggestion

দশম শ্রেণী জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2024

শ্রেণীদশম শ্রেণী (মাধ্যমিক)
বিষয়মাধ্যমিক বাংলা
গল্পজ্ঞানচক্ষু
লেখিকাআশাপূর্ণা দেবী
প্রশ্নের ধরনOnly সাজেশন ভিত্তিক
Targetমাধ্যমিক 2024
@Souravkumaredu

দশম শ্রেণী ‘জ্ঞানচক্ষু‘ গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ SAQ এবং বড় প্রশ্ন উত্তর (Class 10 Gyan Chokkhu Question Answer) কেবল সাজেশন ভিত্তিক ইম্পরট্যান্ট প্রশ্নগুলিতে মাথায় রেখে নিচে দেওয়া হল।

জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর MCQ SAQ

কমবেশি ২০টি শব্দে উত্তর দাও (প্রশ্নমান-১)

১। “আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।” -বক্তার কোন দিনটি সবচেয়ে দুঃখের ?

উত্তর: ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা হাতে নিয়ে যেদিন তপনের ছোটোমেসো ও ছোটোমাসি তাদের বাড়িতে আসে, সেদিনটা বক্তা তথা তপনের সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়েছে।

2। তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল?

উত্তর: তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি বলেছিল, “কোনোথান থেকে টুকলিফা করিসনি তো?” আসলে গল্পটি যে তপন নিজে লিখতে পারে সে ব্যাপারে ছোটোমাসির সন্দেহ ছিল।

3। তপন মামার বাড়িতে কেন এসেছিল? 

উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন তার মামারবাড়িতে ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে এসেছিল।

4। “একটু ‘কারেকশান’ করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া। চলে।”-কে, কী ছাপানোর কথা বলেছেন?

উত্তর: তপনের ছোটোমেসো তপনের লেখা গল্পটি কারেকশান করে ছাপানোর কথা বলেছেন।

5। ছোটোমাসি তপনের থেকে কত বছরের বড়ো?

উত্তর:  বছর আষ্টেকের।

6। তপনের মেসোমশাই কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপানোর বলেছিলেন?

উত্তর: সন্ধ্যাতারা

7। পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়া তপনের গল্পটির নাম–  প্রথম দিন।

8। তপনের মেসোমশাই কোন পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন?

উত্তর: সন্ধ্যাতারা।

9। “সূচিপত্রেও নাম রয়েছে” – সূচিপত্রে কী লেখা ছিল? 

উত্তর: সুচিপত্রে লেখা ছিল—’প্রথম দিন’ (গল্প) শ্রীতপন কুমার রায়।

10। “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।”—“সংকল্প” টি কি?

উত্তর: পত্রিকায় তপনের গল্পটি কারেকশান করে ছেপে আসার দুঃখের মুহূর্তে তপনের গভীরভাবে করা সংকল্পটি হল – কখনও যদি সে লেখা ছাপতে দেয় তবে নিজে গিয়ে দিয়ে আসবে। তাতে কাঁচা হাতের লেখা ছাপা হোক বা না হোক।

11। “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল” – কোন কথাটা শুনে? 

উত্তর: তপনের ছোটো মেসো বই লেখেন এবং সে সব বই ছাপাও হয়। এ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।

12। “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল না” – কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল না?

উত্তর: লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো মানুষ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল না তপনের। 

13। “এইসব মালমশলা নিয়ে বসে”- মালমশলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: তপনের বয়সী ছেলে মেয়েরা গল্প লিখতে গিয়ে যে রাজারানীর গল্প, খুন জখমের অ্যাক্সিডেন্ট, না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদিকে বিষয় করে মাল মশলা বোঝানো হয়েছে।

14। তপন কোন খাতায় তার গল্প লিখতো ?

উত্তর: হোম টাস্কের খাতায় গায়ে 

15। “ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের” – এর কারণ কি?

উত্তর: দুপুর বেলা তপন সত্যিই হুবহু গল্পের মত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল। তপন নিজের এই গল্পটি পরে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।

16। “বুকের রক্ত ছোলকে ওঠে তপনের”- রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কি?

উত্তর: তপনের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোটোমাসি আর মেসোমশাই এর কাছে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। কারণ তাতেই তার গল্প প্রকাশের কথা ছিল।

17। পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে” – অলৌকিক ঘটনাটি কি?

উত্তর: ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পেয়ে তপনের গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরছে- এটি অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে। 

18। “তার থেকে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের” – দুঃখ ও অপমানের কারণ কি?

উত্তর: তপনের লেখা গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ছোটো মেসোকে দেওয়া হয়।

কিন্তু ছাপানো গল্পটি পরে তপন হতবাক হয়ে যায়। গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন, আনকোরা। তার মধ্যে তপন নিজেকে খুঁজে পায় না। তার মনে হয় লেখাটা তার নয়। নিজের লেখার আমূল পরিবর্তন দেখে তপন দুঃখিত ও অপমানিত বোধ করে।

জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০টি শব্দে উত্তর দাও: (প্রশ্নমান-৩)

1। “যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। ”–‘আহ্লাদ’ হওয়ার কথা ছিল কেন? আহ্লাদ খুঁজে না পাওয়ার কারণ কী? (১+২)

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের নিজের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হলে তপনের আহ্লাদ হবার কারণ ছিল।

তপনে লেখা গল্পটি তপনের মেসোমশাই একটু আধটু কারেকশন করে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। মেসো পত্রিকাটি নিয়ে তপনের বাড়িতে নিয়ে এলে সকলে তপনের প্রশংসা না করে ছোট মেসোর প্রশংসা করেছিলেন এবং বলেন যে মেসো নিজে গিয়ে না দিলে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকাযর সম্পাদক তপনের গল্প আঙ্গুল দিয়ে ছুতো না- এসব কথার মধ্যে তপন যেন কোথায় হাড়িয়ে যায়। তপন নিজের কৃতিত্ব দেখতে না পাওয়ার ফলে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।

2। “পত্রিকাটি সকলের হাতে হাতে ঘোরে।”—কোন্ পত্রিকা, কেন সকলের হাতে হাতে ঘুরছিল? (১+২)

উত্তর: তপনের লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’ ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল। এখানে এই পত্রিকার কথাই বলা হয়েছে।

ছোটমাসি আর মেসো তপনের বাড়িতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে বেড়াতে আসেন। এই পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’ ছাপানো অক্ষরে লেখা ছিল। এই কথা শুনে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তপনের লেখক মেসো ছাপিয়ে দিয়েছেন। তাই পত্রিকাটি দেখার জন্য পরিবারের সকলের হাতে হাতে ঘোরে এবং সকলে একবার করে চোখ বোলায় আর বলে, ‘বারে, চমৎকার লিখেছে তো।’ 

কমবেশি ১৫০টি শব্দে উত্তর দাও। (প্রশ্নমান-৫) 

1। “তপন আর পড়তে পারে না। বোবার মতো বসে থাকে। ”— তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করো।

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন তার ভরতি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে একটি গল্প লিখেছিল। গল্পের নাম ‘প্রথম দিন’।  তপনের নতুন মেসো একজন লেখক তিনিই তপনের এই গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপান।  সাথে এই কথাটিও প্রচার হয় মেসো গল্পটিকে সংশোধন করে প্রকাশযোগ্য করেছিল। মেসোর প্রশংসায় বেশি প্রাধান্য পায়।

তপনের গল্প ছাপানোর আনন্দটা সে খুঁজে পায় না। হাতে পত্রিকাটি পেয়ে তপনের মা বলেন- তপন তুই নিজের মুখে পড়ে শুনা। তপন এতক্ষণে বইটা নিজের হাতে পায়। তপন কেশে গলা পরিষ্কার করে লজ্জা ভেঙে গল্পটি পড়তে যায়। গল্প পরতে গিয়ে তপন দেখে- গল্পের প্রত্যেকটা লাইন নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত, ছোটো মেসো গল্পটিকে আগাগোড়া কারেকশন করে দিয়েছেন। নতুন করে লিখেছেন নিজের পাকা হাতে, কলমে। নিজের গল্পের এই পরিণতি দেখে তপন আর পড়তে পারে না বোবার মত বসে থাকে।

________________________________________________

(***পরবর্তীতে আরো অন্যান্য ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন লক্ষণীয় হলে তা এর মধ্যে অবশ্যই যোগ করা হবে তাই তোমরা moneygita আর্টিকেল টিকে save রাখবে.***)

Next:

  1. অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর সাজেশন
  2. আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি প্রশ্ন উত্তর

জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর সাজেশন PDF 2024

দশম শ্রেণীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ একটু গল্পের প্রশ্ন উত্তর গুলির তৈরি PDF টি নিচে দেওয়া হলো। নিচে দেওয়া link থেকে তোমরা সংগ্রহ করতে পারবে।

‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রশ্ন উত্তর যা ওপরে দেওয়া হলো, এ সকল সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন থেকে আমার বিশ্বাস পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

জ্ঞানচক্ষু প্রশ্নপত্রের বড় প্রশ্ন তেমন দেওয়া হয়নি, কারণ দিলে অনেক কটা প্রশনই দেওয়া যেতে পারে। তোমরা অবশ্যই বাংলা টেস্টবুক কে ভালো করে পড়বে। সেখান থেকে তোমরা বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পারবে।

ওপরে থাকা শর্ট কোশ্চেনের মধ্যে যে সকল লাইন তুলে দেওয়া প্রশ্নগুলি রয়েছে সেখান থেকেও বড় প্রশ্ন আসতে পারে। যার শর্ট অ্যানসার আমি ওপরের দিয়েছি। শর্ট প্রশ্নগুলি পড়ে নিলে এবং টেস্টবুক থেকে বিষয়টি বুঝে উঠলে আমার বিশ্বাস তোমরা নিজে থেকে বড় প্রশ্নের উত্তর তৈরি করতে পারবে।

সাথে তোমাদের কাছে যে সহয়িকা রয়েছে সেখানে তোমরা বড় প্রশ্ন গুলির উত্তর কাঠামো গুলি দেখতে পারো এবং নিজে থেকে লেখার চেষ্টা করবে। কোন ধরনের প্রশ্নের সমাধানের জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ফলো করতে পারো।

দশম শ্রেণী জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর Suggestion 2024. Class 10 Gyan Chokkhu Question Answer.

Some FAQ on জ্ঞানচক্ষু

জ্ঞানচক্ষু গল্পের উৎস কি?

জ্ঞানচক্ষু গল্পের উৎস: আশাপূর্ণা দেবী রচিত কুমকুম গল্পসংকলন থেকে জ্ঞানচক্ষু গল্পটি গৃহীত হয়েছে।

জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচয়িতা কে?

জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচয়িতা হলেন আশাপূর্ণা দেবী অন্যতম প্রধান বাঙালি লেখিকা।

জ্ঞানচক্ষু শব্দের অর্থ কি?

জ্ঞানচক্ষু শব্দের অর্থ হলো অন্তদৃষ্টি জ্ঞান রূপ দৃষ্টি।

জ্ঞানচক্ষু গল্পটি কে লিখেছে?

জ্ঞানচক্ষু গল্পটি লিখেছেন সুপরিচিত বাঙালি লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী

তপনের পুরো নাম কি ছিল?

তপনের পুরো নাম ছিল শ্রী তপন কুমার রায় যা সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার ‘প্রথম দিন’ গল্পে লেখক হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

Leave a Comment