বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর Suggestion 2024 MCQ প্রশ্ন এবং বড় প্রশ্ন PDF।
রাজশেখর বসু রচিত বাংলা ভাষার বিজ্ঞান থেকে মাধ্যমিক সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন এবং তার উত্তরগুলি নিচে দেওয়া হল।
Table of Contents
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর 2024
শ্রেণী | দশম শ্রেণী (মাধ্যমিক) |
বিষয় | মাধ্যমিক বাংলা |
প্রবন্ধ | বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান |
লেখক | রাজশেখর বসু |
প্রশ্নের ধরন | Only সাজেশন ভিত্তিক |
Target | মাধ্যমিক 2024 |
Created By | Moneygita Team |
এই পোস্টটিতে বাংলা ভাষার বিজ্ঞান থেকে টোটাল ৩১ টি ইম্পরট্যান্ট শর্ট কোশ্চেন এবং কেবল দুটি ইম্পরট্যান্ট বড় প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় এইখান থেকেই প্রশ্ন আসবে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর MCQ
1. যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মোটামুটি কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ও কি কি?
উত্তর: তাদের মোটামুটি দুইটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।
প্রথম: যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে। অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্প শিক্ষিত বয়স্ক লোক এই শ্রেণীতে পড়ে।
দ্বিতীয়: যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।
2. “এর মানে বুঝতে বাধা হয়নি” কোন মানে? বাধা না হওয়ার কারণ কি?
উত্তর : “এক নির্দিষ্ট সীমা বিশিষ্ট সরলরেখার উপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কিত করিতে হবে।” – এর মানে বুঝতে বাধা হয়নি।
কারণ এতে ভাষাগত বিরোধী সংস্কার ছিল না।
3. “তখন বৈজ্ঞানিক রচনা সুসাধ্য হবে” – কখন বৈজ্ঞানীক রচনা সুসাধ্য হবে?
উত্তর: কালক্রমে যখন ভারতে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হবে তখন।
4. “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না” – কোন দোষের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: বিজ্ঞান আলোচনার জন্য যে রচনা পদ্ধতি আবশ্যক তা অনেক লেখক এখনও আয়ত্ত করতে পারেননি। অনেক স্থানে তাঁদের ভাষা আড়ষ্ঠ এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ হয়ে পড়ে।
5. “এতে রচনা উৎকট হয়” – কীসে রচনা উৎকট হয়?
উত্তর : অনেক লেখক তাদের বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং যথাযথ বাংলা অনুবাদে প্রকাশ করবার চেষ্টা করেন – এতে রচনা উৎকট হয়।
6. “এরকম বর্ণনা বাংলা ভাষার প্রকৃতি বিরুদ্ধ” – কোন রকম বর্ণনা?
উত্তর : “The atomic engine has not even reached the blue print stage” – এই ইংরেজির বাংলা অনুবাদ- ‘পরমাণু ইঞ্জিন নীল চিত্রের অবস্থা তেও পৌঁছায়নি’।
7. “এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়” – কোন ধারণা ঠিক নয় ?
উত্তর : অনেকে মনে করেন পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়- এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।
8. রাজ শেখর বসুর মতে পরিভাষার উদ্দেশ্য কি ?
উত্তর : পরিভাষার উদ্দেশ্যে ভাষার সংক্ষেপ এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।
9. “এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত” – কোন কথা?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক।
10. “হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড” – কথাটি কে বলেছেন?
উত্তর : কালিদাস।
11. “আমাদের অলংকারী গণ শব্দের ত্রিবিধি কথা বলেছেন” – শব্দের ত্রিবিধি কথা কি ?
উত্তর : অভিধা, লক্ষনা ও ব্যঞ্জনা।
12. “বাংলা বিজ্ঞানীক প্রবন্ধদিতে আর একটি দোষ প্রায় নজরে পড়ে” দোষটা কি?
উত্তর : অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।
13. “বাংলায় বিজ্ঞান শেখা তাদের সংস্কারের বিরোধী নয়”- কাদের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর : প্রথম শ্রেণীর পাঠক যারা ইংরেজি ভাষার প্রভাব থেকে মুক্ত।
14. “তার ফলে তাঁদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে”- কাদের চেষ্টা? চেষ্টা টা কি?
উত্তর : বাংলা পরিভাষিক শব্দ সংকলন চেষ্টা।
1936 সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন তাতে বিভিন্ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক ভাষা তত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিত এবং কয়েকজন লেখক এক যোগে কাজ করেছিলেন। তার ফলে তাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।
15. “তারা এ বিষয় অবহিত না হলে তাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না”- কাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না? কোন বিষয় অবহিত হতে হবে?
উত্তর : জনসাধারণ এর জন্যে যারা বাংলায় বিজ্ঞান লেখেন তাঁদের লেখা।
অবহিত বিষয় হলো – আমাদের দেশের জন সাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য, প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গেও তাদের যোগ নেই।
16. যে লোক আজন্ম ইজার পরেছ তার পক্ষে যা পরা শক্ত – ধুতি।
17. ইজার শব্দের অর্থ – পাজামা।
18. কারা বহু বছর আগে বাংলায় নানা বিষয় পরিভাষা রচনা করেছিলেন ?
উত্তর : বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বিদ্দোৎসাহী লেখক।
19. বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত – সরল ও স্পষ্ট হওয়া উচিত।
20. বৈজ্ঞানিক সাহিত্যের ক্ষেত্রে কোন কোন অলংকার কিছু চলতে পারে – উপমা ও রূপক।
21. অরণ্য শব্দটির আভিধানিক অর্থ – বন।
22. অরণ্যে রোদন ব্যঞ্জনায় অর্থ – নিস্ফল খেদ।
23. Sensitized Paper-এর বাংলা অনুবাদ কী লিখলে ঠিক বলে মনে করেন লেখক ?
উত্তর: Sensitized Paper-এর বাংলা অনুবাদ সুগ্রাহী কাগজ লিখলে ঠিক বলে মনে করেন লেখক।
24. বৰ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কী ত্রুটি ছিল?
উত্তর: রাজশেখর বসু রচিত ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের পণ্ডিতবর্গ বিভিন্ন বিষয়ে পরিভাষা রচনা করলেও তার মধ্যে ত্রুটি ছিল। তাঁরা একসঙ্গে কাজ না করে পৃথক পৃথক কাজ করেন, ফলে সংকলিত পরিভাষার মধ্যে সমতা আসেনি। একই ইংরেজি সংজ্ঞার বিভিন্ন ধরনের প্রতিশব্দ রচিত হয়েছে।
25. “বাংলায় বিজ্ঞান শেখা তাদের সংস্কারের বিরোধী নয়।”- কাদের পক্ষে এই শিক্ষা সংস্কারবিরোধী নয় ?
উত্তর: ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন, যাদের বিজ্ঞান ও ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান অতি নগণ্য, তাদের পক্ষে এই শিক্ষা সংস্কারবিরোধী নয়।
26. প্রয়োজনমতো বাংলা শব্দ পাওয়া না গেলে কী করা উচিত বলে লেখক মনে করেছেন?
উত্তর: প্রয়োজনমতো বাংলা শব্দ পাওয়া না-গেলে ইংরেজি শব্দই বাংলা বানানে চালানো ভালো বলে লেখক উল্লেখ করেছেন।
27. রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম- পরশুরাম।
28. বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাদিতে আর একটি দোষ’ প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক কোন্ প্রবাদের উল্লেখ করেছেন ?
উত্তর: বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাদিতে আর একটি দোষ’ প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী প্রবাদের উল্লেখ করেছেন।
29. বিশ্ববিদ্যালয়-নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নাম সম্বন্ধে কী বিধান দিয়েছিলেন?
উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নাম সম্বন্ধে বিধান দিয়েছিলেন, নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলা বানানে চলবে।
30. ছেলেবেলায় রাজশেখর বসু কার লেখা জ্যামিতি বই পড়তেন ?
উত্তর: ছেলেবেলায় রাজশেখর বসু ব্রত্নমোহন মল্লিকের লেখা জ্যামিতি বই পড়তেন।
31. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল ?
উত্তর: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
(1) আমাদের আলংকারি গণ শব্দের ত্রিবিধি শক্তির কথা বলেছেন এগুলি কি কি?
উত্তর : আলংকারি গণ শব্দের ত্রিবিধি শক্তির কথা বলেছেন এগুলি হল – অভিধা, লক্ষ্মণা এবং ব্যাঞ্জনা।
অভিধা: এটা শুধু অভিধানিক অর্থ প্রকাশ করে। যেমন- ‘দেশ’ এর অর্থ ভারত ইত্যাদি অথবা স্থান।
লক্ষনা: কোন শব্দের মুখ্যার্থ অতিক্রম করে শব্দটির গৌণ অর্থ যখন প্রধান হয়ে ওঠে তাকে বলে লক্ষনা। যেমন- দেশের লজ্জা এখানে দেশের লজ্জা বলতে দেশবাসীর লজ্জা কে বোঝানো হয়েছে।
ব্যঞ্জনা: অভিধা ও লক্ষ্যনা দ্বারা শব্দার্থ যখন ব্যাখ্যা করা যায় না এবং শব্দ যখন নতুন অর্থের দ্যেতনা তৈরি করে, তখন তাকে বলে ব্যঞ্জনা।
যেমন- অরণ্যে রোদন বললে ব্যঞ্জনার অর্থ হয় নিষ্ফল খেদ।
(2) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনার শেষে কি কি অসুবিধার কথা প্রাবন্ধিক আলোচনা করেছেন এবং এর সমাধান কি ?
বা,
“বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চায় এখনো নানা রকম বাধা আছে”। বাধা কি? বাধা দূর করার পরামর্শ গুলি কি কি ?
উত্তর : প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু ‘বাংলা ভাষা বিজ্ঞান’ রচনা ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন এবং এই অসুবিধার দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথমত: পারিভাষিক ভাষার অপ্রতুলতা। এ অসুবিধা দূরীকরণে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টা সত্বেও তার সমাধান সম্ভব হয়নি।
দ্বিতীয়ত: পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য। প্রাথমিক বিজ্ঞানের সাথে কিঞ্চিৎ পরিচয় না থাকলে কোন বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন। কালক্রমে আমাদের দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার ঘটার সাথে সাথে এই সমস্যা সমাধান ঘটবে।
তৃতীয়ত: বিজ্ঞান আলোচনার জন্য যে রচনা পদ্ধতি আবশ্যক তা অনেক লেখক এখনো আয়ত্ত করতে পারেনি। যার ফলে অনেক স্থলে তাদের ভাষা আরষ্ট এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ হয়ে পড়ে। এই সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে “অনেকে মনে করেন পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়” লেখক বলেন এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। স্থান বিশেষে পারিভাষিক শব্দ বাদ দেওয়া চলে। যেমন ‘অমেরুদণ্ডী’ র বদলে লেখা যেতে পারে যেসব জন্তুর শিরদাঁড়া নেই।
চতুর্থত: বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাদিতে আরেকটি দোষ হলো- লেখকের অল্প বিদ্যার সমস্যা, বিজ্ঞান রচনা ভুল তথ্য বা অস্পষ্ট তথ্য সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।
এ বিষয়ে প্রাবন্ধিক পরামর্শ দিয়েছেন- “সম্পাদকের উচিত অবিখ্যাত লেখকের বৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশের আগে অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে যাচাই করে নাওয়া।”
Next:
Class 10 Bangla Bhasar Biggayan প্রশ্ন উত্তর PDF
বাংলা ভাষার বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তরের পিডিএফ নিচে দেওয়া হলো।
I’m Sourav, a professional Web Developer and SEO expert. Founder of Moneygita. Get accurate information from Moneygita.