দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ | Madhyamik Geography 1st Chapter Question Answer

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ সাজেশন (Madhyamik Geography 1st chapter question answer suggestion) PDF

Class 10 ভূগোলের প্রথম অধ্যায় বৈদ্য প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ থেকে কেবলমাত্র সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর গুলি নিচে দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী : বহির্জাত পক্রিয়া  : সাজেশন

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ সাজেশন

শ্রেণীমাধ্যমিক দশম শ্রেণী
বিষয়মাধ্যমিক ভূগোল
অধ্যায়প্রথম অধ্যায় – বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ
প্রশ্নের ধরণOnly সাজেশন ভিত্তিক
Targetমাধ্যমিক 2024
Created ByMoneygita Team

দশম শ্রেণী ভূগোল প্রথম অধ্যায় বর্জিত প্রক্রিয়া সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন উত্তর সাজেশন। এক নম্বর, দুই নম্বর, তিন নম্বর এবং পাঁচ নম্বর প্রশ্নের কেবলমাত্র ইম্পরট্যান্ট ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন এবং তাদের উত্তরগুলি সুন্দরভাবে নিচে দেওয়া হয়েছে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় MCQ

বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি : প্রশ্নমান – 1 

1.মরুভূমিতে শুষ্ক নদীখাতকে বলে (a)ওয়াদি(b) বাজাদা (c) প্লায়া (d)এর সবগুলি

 উত্তর: ওয়াদি।

2.ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে ভূমিরূপটি হলো – (A)গৌড়  (b)জিউগেন(c) ইয়ারদাম(d) ইনসেলবার্জ 

উত্তর: গৌড়

3.শিলাময় মরুভূমিকে সাহারায় বলে – (A)রেগ (b)আর্গ (c)সেরি (d)হামাদা 

উত্তর: হামাদা

4.মোরগের ঝুটির মতো ভূমিরূপ কি হলো – (A)ইনসেলবার্জ(b) গৌর (c)ইয়ারদাং (d)এর কোনোটিই নয়

উত্তর: ইয়ারদাং

5.বায়ুর গতিপথে অর্ধচন্দ্রাকৃতি বালিয়াড়ি হল – (a)বারখান (b)স্লিপ (c)বালিয়াড়ি (d)এর সবগুলি

উত্তর: বারখান

6.বহির্জাত প্রক্রিয়ায় মূল উৎস হলো -(A)চাঁদ  (b)ভূতাপ (c)সূর্যের (d)কোনোটিই নয় 

উত্তর: সূর্য

7.পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত হল -(A)ভেনেজুয়েলার এঞ্জেল (b) আমেরিকার (c)যুক্তরাষ্ট্রের নায়াগ্রা (c)ভারতের যোগ জলপ্রপাত (d)আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া

উত্তর: (A)ভেনেজুয়েলার এঞ্জেল 

8.পলিশঙ্কু গঠিত হয় -(A) পার্বত্য গতিতে (b)বদ্বীপ গতিতে (c)উচ্চ ও মধ্য গতির সংযোগস্থলে(d) হিমবাহের উপত্যকা প্রবাহে 

উত্তর: উচ্চ ও মধ্য গতির সংযোগস্থলে।

9.শুষ্ক অঞ্চলে কোমল শিলার ওপর গঠিত নদী উপত্যকা যে নামে পরিচিত – (A)গিরিখাত (b)ক্যানিয়ন(c) ইউ আকৃতির উপত্যকা (d)কেভাস 

উত্তর: ক্যানিয়ন।

10.পার্বত্য প্রবাহের নদী দুই পাশে যেসব সমান বা অসমান ধাপের মতো অল্প বিস্তৃত ভূ-ভাগের সৃষ্টি হয় তাকে বলে – (A) নদী মঞ্চ (b)স্বাভাবিক বাঁধ (c)খরস্রোত (d(র্কিততস্পার

উত্তর: নদী মঞ্চ।

11.অতি গভীর ভি আকৃতির উপত্যকা কে বলে – (A)গিরিখাত (b) ক্যানিয়ন (c)কর্কিত স্পার (d) প্লাঞ্জ ফুল

উত্তর: গিরিখাত।

12.মন্থকূপ সৃষ্টি হয় যার ক্ষয় কার্যের ফলে – (A)নদীর (b)বায়ুর (c)হিমবাহের (d) সমুদ্রতঙ্গের 

উত্তর: নদীর।

13.পললশঙ্কু দেখা যায় – (A) পর্বতের উচ্চ ভাগে (b)পর্বতের পাদদেশে(c) বদ্বীপ অঞ্চলে  (d)নদীর মধ্য প্রবাহে

উত্তর: পর্বতে পাদদেশে।

14.পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা হল – (A)গঙ্গা নদী অববাহিকা (b)গঙ্গা নদী অববাহিকা (c)আমাজন নদী অববাহিকা d)নীলনদ অববাহিকা 

উত্তর: (c)আমাজন নদী অববাহিকা

15.পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত – (A)সবেদন (b)যোগ(c) নায়াগ্রা(d) স্ট্যানলি

উত্তর: নায়াগ্রা।

16.পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত  – (A)ইচাং (b)কলোরাডো(c) শিয়ক(d) গ্র্যান্ডক্যানিয়ন

উত্তর: গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

17.অবতল পাড়ের দিকে নদীর খাতের গভীর অংশ জলপূর্ণ হলে তাকে বলে – (A) রিফিল (b)প্লাজোপূল (c)পুল (d) থলওয়েগ

উত্তর: (c)পুল। 

18.পৃথিবীর বৃহত্তম নদী গঠিত দীপ হল – (A) মারিয়ানা (b)মারাজো(c) সাগরদ্বীপ (d)মাজুলী 

উত্তর: মাজুলী।

19.বহিঃধৌত সমভূমি নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে বলে – (A) টিলাইট(b) ভ্যালিয়ান(c) গ্রাবরেখা (d)ব্যবচ্ছিন্ন সমভূমি

উত্তর: টিলাইট।

20.কঠিন শিলা যুক্ত অঞ্চলে কম ঢাল যুক্ত ছোট ছোট জলপ্রপাতকে বলে – (A)ক্যাটারাক্ট(b) কাসকেড (c)জলস্রোত 

উত্তর: র‍্যাপিড।

21.নিম্ন ভূমির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় – (A)আরোহন প্রক্রিয়া, (b)অপরাহ্ন প্রক্রিয়া (c)অবঘর্শ প্রক্রিয়া, (d)নগ্নীভবন প্রক্রিয়া 

উত্তর: আরোহন প্রক্রিয়া।

22.পাখির গায়ের মত আকৃতির বদ্বীপ দেখা যায় – (A) নীল নদের মোহনা (b)সিন্ধু নদের মোহনা (c)হোয়াংহ নদীর মোহনা (d)মিসিসিপি মিসৌরি নদীর মোহনা 

উত্তর: মিসিসিপি মিসৌরি নদীর মোহনায়।

23.পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার উপর সারা বছর বরফ জমে থাকে তাকে বলে- (A) হিমরেখা(b) হিমবাহ (c)হিমশৈল(d) ব্লো আউট

উত্তর: হিমরেখা 

24.হিমবাহের সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট পদার্থ গুলি কে বলে – (A)হিমরেখা (b)গ্রাম রেখা(c) গিরিখাত (d)হিমদ্রোণী 

উত্তর: গ্রাম রেখা

25.রসে মতানে যে ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়- (A) নদী ও বায়ুর মিলিত (b)বাতাসে(c) নদীর (d)হিমবাহের

উত্তর: হিমবাহের

26.হিমবাহ দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত দুদিন মসৃণ খাড়া ঢিপি কে বলে  – (A)তিমি পৃষ্ঠ(b) প্রস্তরখাদ (c)ফিওড (d)বার্গস্ক্রুন্ড 

উত্তর: তিমি পৃষ্ঠ

27.হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে হিমবাহ উপত্যকায় যেসব অসমান ধাপে সৃষ্টি হয় তাকে বলে  – (A)হিম সিড়ি (b)প্রস্তরখাট (c) রসে মতানে (d)নদীমঞ্চ।

উত্তর: হিম সিঁড়ি

28.হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট গর্তকে বলে – (A)প্রস্তর খাত বা আবর্ত রেখা (b)কর্তিত পার (c)প্যাটরংস্টার হ্রদ (d)প্লায়া

উত্তর: প্রস্তরখাদ বা আবর্ত রেখা

29.মহাদেশীয় হিমবাহের মধ্যে বড় যুক্ত উচ্চভূমি চুরাকে বলে – (A)স্নাউট (b)লোভ (c)এরিটি (d)নুনাটক

উত্তর: নুনাটাক

30.ভারতের বৃহত্তম হিমবাহ – (A) গঙ্গোত্রী (b)সিয়াচেন(c) হুবার্ট (d)যমুনেত্রী

উত্তর: সিয়াচেন

31.দুটি সার্কের সংযোগ স্থল বরাবর গঠিত হয় – (A) রসে মতানে (b) এরিটি (c)পিরামিড চূড়া(d) এসকার 

উত্তর: এরিটি 

32.পৃথিবীর গভীরতম ফিয়োর্ড হলো – (A)ফিনল্যান্ডের ফিয়র্দ (b)গাইরেঞ্জার ফিয়র্ড (c)নরওয়ের সভনে ফিয়র্ড (d)অন্তর্টিকার ফিইর্দ 

উত্তর: নরওয়ের সভনে ফিয়র্ড 

33.সমুদ্রে ভাসমান বিশাল হিমবাহ কে বলে – (A)হিম স্তূপ (b)হিমশৈল(c) হিমপ্রাচীর(d) হিম পর্বত

উত্তর: হিমশৈল

34.হিমবাহের উপরের পৃষ্ঠের ফাটল গুলোকে বলা হয় – (A)বার্গস্টুন্ড (b) হিম সিড়ি(c) ক্রেভাস(d) পরিখা

উত্তর: ক্রেভাস

35.রাজস্থানের মরু অঞ্চলে চলমান বালিয়াড়ি গুলিকে বলে -(A)ধ্রিয়ান (b)ধান্ড (c) বারখান (d)বালিয়াড়ি

উত্তর: ধ্রিয়ান

36.তির্যক বালিয়াড়িকে বলে-(A)সিপ (b)বারখান(c) লোয়েস (d)ব্লআউট 

উত্তর: বারখান।

37.যে হ্রদের জল লবণাক্ত হয় – (A)প্লায়া হ্রদ (b)অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ (c)করি হ্রদ (d)জ্বালামুখ হ্রদ

উত্তর: প্লায়া হ্রদ

38.প্রায় সমতল মরুভূমির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন সেলার টিলাগুলিকে বলে  – (A)মনাটনক (b)ইনসেলবার্গ(c) ড্রামলিন(d) বাজাদা

উত্তর: ইনসেলবার্গ 

39.একাধিক বারখান পরস্পর যুক্ত হয়ে যে বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় তাকে বলে  –  (A)আ্যকলে(b) সিফ (c)রোডস বালিয়াড়ি (d)ওয়াদি

উত্তর: আ্যকলে

40.একটি তলযুক্ত প্রস্থর খণ্ড কে বলা হয়- (A)ড্রেইকান্টার(b) ট্রাইকান্টর(c) জুকান্টার (d)আইক্যান্টার

উত্তর: আইকান্টার

41.মরুভূমি অঞ্চলে শুষ্ক নদীখাত কে বলে  – (A)বাজাদা (b)প্লায়া (c)লোব (d)ওয়াদি

উত্তর: ওয়াদি

42.ফ্রান্সের লোয়েস সমভূমি কে বলে – (A)লিফো (b)অ্যাডোব‌ (c)রদ্য (d)বেলজম 

উত্তর: লিফো

43.সমপ্রায় ভূমিতে অবস্থিত গোলাকার অনুচ্চ টিলাকি কে  বলে – (A)মনাদনক (b) গৌর (c)ইয়ারদাং(d) ঢিল

উত্তর: মোনাডনক

44.পাথর যুক্ত অসমমান মরুভূমিকে বলে- (A)হামাদা (b) বাজাদা (c) রেগ ( d)ধ্রিয়ান

উত্তর: হামাদা

                                 __________________________________________________________

শূন্য়স্থান পূরন করো  : প্রশ্নমান-1 

1.হিমবাহ পৃষ্ঠে আড়ারি ভাবে সমান্তরাল ফাটলগুলিকে ক্রেভাস বলে।

2.মিয়েন্ডারস নদীর নাম অনুসারে নদীতে সৃষ্ট বাক ‘মিয়েন্ডার’ নামে পরিচিত।

3. বিভিন্ন ধরনের বহির্জাত শক্তির দ্বারা ভূমিভাগের সমতলীকরণ ঘটলে তাকে পর্যায়ন বলে

4.হিমবাহ ও জলধরা বাহিত নুরি, বালি, কাকর ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে সংকীর্ণ আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো ভূমিরূপকে এসকার বলে।

5.বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে সৃষ্ট বালিয়াড়ি গুলির নাম সিফ বালিয়াড়ি।

6.আবহবিকার ও ক্ষয় কার্যের যৌথ কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমি ভাগের পরিবর্তন করার প্রক্রিয়াকে নগ্নীভবন বলা হয়।

7.মরু অঞ্চলের অপসারণ কার্যের ফলে মরুদ্দ্যান সৃষ্টি হয়।

8.নদীগর্তে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি গর্তগুলো মন্থকূপ বলে।

9.ফানেল আকৃতির চওড়া নদী মোহনাকে খাঁড়ি বলে।

10.বালি দ্বারা গঠিত মরুভূমি সাহারায় আর্গ নামে পরিচিত ।

11.নীল নদের বদ্বীপ ধনুকাকৃতি 

12.দুটি করির মধ্যবর্তী উচ্চ অংশকে আরেট বলে।

13.পার্বত্য অঞ্চলে নদীর গতিপথে আড়াআড়ি ভাবে চুতি থাকলে সৃষ্টি হয় জলপ্রপাত।

14. পার্বত্য প্রবাহে নদীর গতিপথে সৃষ্টি হয়  গিরিখাত।

15.পার্বত্য অংশে নদীর নিম্ন ক্ষয় প্রধানত অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ঘটে।

16. জলপ্রপাতের ঢাল বেশি হলে তাকে ক্যাটারাক্ট বলে।

17.নদী, হিমবাহের ক্ষয় একধরনের বহির্জাত শক্তি।

18. বহির্জাত ক্ষয়ের ফলে ভূমির ঢালের একটি পর্যায় তৈরি হয় একে পর্যায়ন বলে।

19. প্রক্রিয়ায় দুটি কার্য হল ক্ষয় এবং সঞ্চয়। 

20.নিম্ন গতিতে নদীর সবচেয়ে কম ক্ষয় করে। 

21. ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত যোগ।

22.দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থানকে বলে ক্যাটারাক্ট।

23. নদী উপত্যকা গভীর হলে তাকে বলে দোয়াব।

24.মরু অঞ্চলে অনুভূমিক শিলা স্তরে ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্টি জিউ গেন হয়।

25.বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে পর্বতের পাদদেশে প্রস্তরেখার যে সমতল স্থান গঠিত হয় তাকে পেডিমেন্ট বলে।

26. বালিয়াড়ি 2 পাশে দুটি সিং এর মত শিরা আধখানা চাঁদের মতো বার্খান বিস্তৃত হয়। 

27.বার্খান বালিয়াড়ি দেখতে অর্ধেক চাঁদের মত।

28. মরু অঞ্চলের লবণাক্ত হ্রদ গুলি নামে ধান্দ পরিচিত।

29. ভারতে লবণত হ্রদ গুলিকে বলে প্লায়া।

30.বৃষ্টিহীন মোরুপ্রায় অঞ্চলে নদী উপত্যকা খুব গভীর হলে তাকে ক্যানিয়ন বলে।

31.উষ্ণ মরুভূমিতে বায়ুর কাজ বেশি দেখা যায়।

32.আফ্রিকার মরু হ্রদকে নামে ডাকা শটস হয়।

33.U আকৃতির হিমবাহ উপত্যকাকে বলে = হিমদ্রোণী।

34.গ্রাব্র রেখায় সৃষ্টি হওয়া ত্রিকোণাকার ভূমির নাম কেম।

35. ড্রামলিন দেখতে অনেকটা উল্টানো বাটির মতো।

36.যে সীমারেখা নিচে বরফ গলে যায় তাকে বলে হিমরেখা।

37. সঞ্চয় কার্যের ফলে হিমবাহের তলায় ভূমি গ্রাবরেখা তৈরি হয়।

38.এসকার হিমবাহের সঞ্জয় কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ

39.জলপ্রপাতের নিচের গর্তের নাম গিরিখাত।

40.পৃথিবীর বৃহত্তম হিমবাহ আলাস্কার হুবার্ট।

41.ভারতের বৃহত্তম হিমবাহ সিয়াচেন।

________________________________________________

একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও  : প্রশ্নমান- 1

1.যে উচ্চভূমি দুটি নদী ব্যবস্থাকে পৃথক করে তার নাম লেখ ?

উত্তর:- জলবিভাজিকা

2.পৃথিবীর বৃহত্তম উপত্যকা হিমবাহের নাম কি?

উত্তর: আলাস্কার হুবার্ড।

3.ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত টির নাম লেখ?

উত্তর: কুঞ্চি কল জলপ্রপাত।

4.সুন্দরবনের কোন দ্বীপ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে?

উত্তর: লোহাচড়া নিউমুর।

5.সাহারায় বালুকাময় মরুভূমি কি নামে পরিচিত?

উত্তর: আর্গ।

6.মরুভূমিতে যে শুষ্ক নদী উপত্যকা দেখা যায় তার নাম কি ?

উত্তর: ওয়াদি।

7.নদী বাঁকের কোন দিকে ক্ষয় বেশি ঘটে ?

উত্তর: উত্তল দিকে।

8.মেরু অঞ্চলে কোন উচ্চতায় হিমরেখা দেখা যায়?

উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠ।

9.পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত কোনটি?

 উত্তর: ভেনেজুয়েলার এঞ্জেল জলপ্রপাত।

10.আঁকাবাঁকা নদীর গতিপথ কে কি বলে ?

উত্তর: মিয়েন্ডার।

11.হাত পাখার মত আঁকারবিশিষ্ট নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ কি নামে পরিচিত ?

উত্তর: পলল ব্যজনী। 

12.বুদবুদের ফলে শিলার গায়ে সৃষ্টি হওয়া ছোট ছোট গর্তকে কি বলে?

উত্তর: ক্যাভিটেশন।

13.নদীর ক্ষয়ের শেষ সীমানা কোথায়?

উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠে।

14.যে নদীর গতিপথে তিনটি গতি স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় তাকে কি বলে ?

উত্তর: আদর্শ নদী।

15.আবহবিকারজাত বিচূর্ণীভূত শিলার স্থানান্তর কে কি বলে ?

উত্তর: ক্ষয়ীভবন।

16.ভূপৃষ্ঠের উচ্চভূমি ভাগের উচ্চতার হ্রাসের প্রক্রিয়াকে কি বলে?

উত্তর: অবরোহন। 

17.ভূমির ডাল বরাবর আলগা মাটি ও শিলাখণ্ডের স্খলনকে কী বলে ?

উত্তর: পুঞ্জিত ক্ষয়।

18.কোন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয়ের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য তৈরি হয় ?

উত্তর: পর্যায়ন।

19.আবহবিকার, ক্ষয়ভবন এবং পুঞ্জিত ক্ষয়ের সম্মিলিত রূপকে কি বলে ?

উত্তর: নগ্নীভবন।

20.পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহের নাম কর আলাস্কার ?

উত্তর: মালাস্পিনা।

21.পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহের নাম কর ?

উত্তর: আন্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট।

22.অনেকগুলি ড্রামলিন একসাথে থাকলে ভূমিরূপ দেখতে কেমন হয়?

উত্তর: ডিম ভর্তি ঝুড়ির মত।

23.ইয়ারদাং তীক্ষ্ণ হয়ে গেলে তাকে কি বলেন?

উত্তর: নিডেল।

24.বায়ুর অবনমনের সৃষ্ট গর্ত গুলোর নাম কি?

উত্তর: ধান্দ।

25.পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি কোনটি?

উত্তর: সাহারা।

26.দুটি শিপ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী অংশকে কি বলে?

উত্তর: করিডোর।

27.কোন কোন অঞ্চলে বায়ুর কাজ বেশি দেখা যায় ?

উত্তর: মরু অঞ্চলে ও সমুদ্র তীরবর্তী অংশে।

28.শিলাময় মরুভূমি কে কি বলে?

উত্তর: হামাদা।

                                               _____________________________________________

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ সাজেশন প্রশ্নমান – 2

সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন  : প্রশ্নমান – 2

1. নদী অববাহিকার সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: প্রধান নদী এবং তার উপনদী ও শাখা নদীগুলি মিলিতভাবে যে সুবিস্তৃত অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে নদী অববাহিকা বলে।

2. ধারণ অববাহিকা সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: পার্বত্য ভূমিতে উৎস অঞ্চলে মূলনদী এবং তার উপনদী, শাখানদী বিধৌত অঞ্চলকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলে।

3. নদী উপত্যকা কাকে বলে ?

উত্তর: উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর প্রবাহ পথে দুই উচ্চভূমির মাঝে যে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্ন ভূমির মধ্যে দিয়ে নদীর জলধারা প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে। 

4. ‘ডিমের ঝুড়ি’ ভূমিরূপ কাকে বলে?

উত্তর: পর্বতের পাদদেশে নিম্নভূমিতে হিমবাহ দ্বারা বহন করে আশা নুরী বালি কাদা পাথর ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে যে সারি বদ্ধ ভাবে উল্টানো নৌকা আকৃতি টিলা ইতস্তত ছড়িয়ে থাকে তাকে ড্রামলিন বলে। দূর থেকে ড্রামলিনের এই সমগ্র অঞ্চলটি ডিম ভর্তি ঝুড়ির মতো দেখায় এ কে ডিমের ঝুড়ি ভূমিরূপ বলে।

5. ইনসেলবার্জ কাকে বলে ? 

উত্তর: দীর্ঘকাল ধরে মরুভূমিতে বায়ুর নিরন্তর ক্ষয় কার্যের ফলে শিলাস্তরের উচ্চতা কমে গিয়ে প্রায় সমতল বা মৃদু  ঢালু সমভূমি সৃষ্টি হয়। কেবলমাত্র কঠিন শিলা গঠিত অংশ ক্ষয় প্রতিরোধ করে অল্প উঁচু টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে একে ইনসেলবার্জ বলে। উদাহরণ : আফ্রিকার কালাপাহাড়িতে মরুভূমিতে দেখা যায়।

6. হিমশৈল কাকে বলে ?

উত্তর: মেরু অঞ্চলে সমুদ্রের জলে ভাসমান বিশালাকৃতি বরফের স্তুপ কে হিমশৈল বলে।

7. ভেন্টিফ্যাক্ট কি ?

উত্তর: শিলার একদিক থেকে বায়ু প্রবাহের ফলে অবঘর্ষ ক্ষয়ের দ্বারা যদি শিলার একদিক মসৃণ ও ধারালো এবং বাকি দিক অমসৃন থাকে তাকে ভেন্টিফ্যাক্ট বলে।

8. ড্রেইকান্টার কি ?

উত্তর: চারদিক থেকে বায়ু প্রবাহের ফলে অবঘর্ষ ক্ষয় দ্বারা শিলাখণ্ডের তিনদিক মসৃণ হয় তাকে ড্রেইকান্টার বলে। 

9. অপসারণ গর্ত কিভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তর: মরুভূমিতে প্রবল বায়ু প্রবাহের ফলে শিথিল বালিরাশি দীর্ঘকাল ধরে অপসারিত হয়ে হয়ে স্থানটি ক্রমশ নিচু হয়ে অপসারণ গর্ত সৃষ্টি করে।

10. বার্গস্রুন্ড কি ?

উত্তর: হিমবাহ উপত্যকার পর্বত গাত্রে আগে থেকে জমে থাকা বরফ স্তূপ এবং নিচের দিকে নামতে থাকা হিমবাহের মধ্যে যে সংকীর্ণ ফাটলের সৃষ্টি হয় তাকে বার্গস্রুন্ড বলে। একে ফরাসি ভাষায় রিমায়ে বলে। 

11. ক্রেভাস কি ?

উত্তর: হিমবাহের উপরিভাগে বরফের মধ্যে গতিপথের সামান্তরালে ও আড়াআড়িভাবে যে ফাটল সৃষ্টি হয় তাকে ক্রেভাস বলে। এর অপর নাম হিমদরি।

12. নগ্নী ভবন কাকে বলে ?

উত্তর: যে বহির্জাত প্রক্রিয়ায় অববাহিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় এবং ক্ষয়ী ভবন এই তিনটি প্রক্রিয়ার মিলিত কার্যের দ্বারা ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায়, উপরের শিলা স্তর অপসারিত হয় তাকে নগ্নীভবন বলে।

13. পর্যায়ন কাকে বলে ?

উত্তর: বহির্জাত প্রক্রিয়ার ক্ষয় ও সঞ্চয় কার্যের মাধ্যমে ভূ-ভাগের উপরি তলের উচ্চতার পরিবর্তন হয় এবং উচ্চতা যুক্ত ভূমিরূপ সাধারণ তল গঠন হয়। একে পর্যায়ন বলে।

14. উপত্যকা হিমবাহ, পাদদেশীয় হিমবাহ ও মহাদেশীয় হিমবাহ কাকে বলে ? 

উত্তর: প্রশ্নমান 3 এর 14 নম্বর প্রশ্নের উত্তর টি দেখ।

15. লোয়েস কি ?

উত্তর: মরুভূমির হলুদ ও ধূষর রঙে ক্যালসাইট, ডলোমাইট, অভ্র,  ফেলসপার, ধূলি, পলিকণা কে লোয়েশ বলে। এই লোয়েশ কনা গুলি বায়ু দ্বারা দূরবর্তী কোনো স্থানে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি সৃষ্টি করে তাকে লোয়েশ সমভূমি বলে ।

16. প্রপাত কূপ কাকে বলে ?

উত্তর: জলপ্রপাতের প্রবল জলস্রোত নিচে যেখানে এসে আঘাত করে সেখানে জলে ঘূর্ণি সৃষ্টি হয় এবং বুদবুদ ক্ষয়ের দ্বারা যে প্রায় গোলাকার গর্ত সৃষ্টি করে তাকে প্রপাত কূপ বলে।

17. তির্যক বালিয়াড়ি বা বার্খান কি ?

উত্তর: বায়ুর প্রবাহ পথে আড়াআড়ি ভাবে গড়ে ওঠা বালিয়াড়ি কে তির্যক বালিয়াড়ি বা বার্খান বলে। এটি দেখতে অর্ধেক চাঁদের মত।

18. অনুদীর্ঘ বালিয়াড়ি বা সিফ বালিয়াড়ি কাকে বলে ?

উত্তর:  বায়ুর গতিপথের সমান্তরাল ভাবে গড়ে ওঠা দীর্ঘ শৈলশিলার মত বালিয়াড়ি কে অনুদীর্ঘ বালিয়াড়ি বা সিফ বালিয়াড়ি বলে।

19. পলল শঙ্কু কি ?

উত্তর: পর্বতের পাদদেশী অঞ্চলে নদী উপত্যকায় নদী গঠিত পলি, বালি সঞ্চয়ের ফলে যে ত্রিকোণাকার শঙ্কুর মত মৃদু ঢাল সমভূমি গঠিত হয় তাকে পলল শঙ্কু বলে। 

20. জলবিভাজিকার সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: যে উচ্চভূমি অর্থাৎ পর্বত বা পাহাড় কাছাকাছি অবস্থিত দুই বা ততোধিক নদী বা নদী অববাহিকাকে পরস্পর থেকে পৃথক করে তাকে জল বিভাজিকা বলে।

21. ধনুকাকৃতি বদ্বীপ কিভাবে গঠিত হয়?

উত্তর: প্রশ্নমান তিনের 15 নম্বর প্রশ্নের উত্তর টি দেখো.

22.পাখির পায়ের মতো ব দ্বীপ কিভাবে গঠিত হয়?

উত্তর: প্রশ্নমান তিনের 15 নম্বর প্রশ্নের উত্তর টি দেখো.

______________________________________________________

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর

ব্য়খ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন   :     প্রশ্নমান – 3

1.  মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কাজ প্রধান্য লাভের কারণ কি?

উত্তর : মরু ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কাজ প্রধান্য লাভের কারণ গুলি হলো:

  1. বাধাহীন বায়ুপ্রবাহ: মরু অঞ্চলে বায়ুর প্রবাহ পথে গাছপালা, ঘরবাড়ি, পর্বত ইত্যাদি থাকে না যার ফলে বায়ু স্বাধীনভাবে প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে পারে। উন্মুক্ত জলরাশি তেও বায়ু জলের উপর দিয়ে উপকূলের দিকে বয়ে যায়।
  2. উন্মুক্ত ও আলগা ভূমি: মরু অঞ্চলে গাছপালা না থাকায় ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাটি সংঘবদ্ধ থাকে না। শুষ্ক বালি বায়ুর সাথে সহজেই বয়ে যায়। 
  3. যান্ত্রিক আবহবিকারে প্রাধান্য়: উষ্ণ মরুভূমিতে দৈনিক ও বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর অধিক হওয়ায় শিলার সংকোচন ও প্রসারণ এর ফলে শিলা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনায় সৃষ্টি হয়। যার দ্বারা বায়ু ক্ষয়কার্য করে এবং বালি উড়িয়ে নিয়ে সঞ্চয় করে। 

2. নদীর মোহনায় বদ্বীপ কেন গড়ে ওঠে ব্যাখ্যা করো।  বা, বদ্বীপ সৃষ্টি হওয়ার অনুকূল পরিবেশ উল্লেখ করো। বা, বদ্বীপ গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত লেখ।

উত্তর : বদ্বীপ সৃষ্টি হওয়ার অনুকূল পরিবেশ :

  1. পলিরাশির অধিক:  মোহনায় প্রচুর পরিমাণে পলি, বালি, কাদা, নুরী, পাথর এসে সঞ্চিত হলে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়। একাধিক উপনদী যুক্ত নদী দরকার।
  2. দীর্ঘ প্রবাহ:  নদীর মধ্য ও নিম্ন প্রবাহ দীর্ঘ হতে হবে যাতে নদীর পলি সমুদ্র গর্ভে নিক্ষিপ্ত না হয়ে মৃদু স্রোতে সমুদ্রে মিশে।
  3. অগতীয় সমুদ্র : নদী মোহনায় মহিসোপানের গভীরতা কম হলে পলি দ্বারা দ্রুত সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপ সৃষ্টি করবে।
  4. শান্ত সমুদ্র: সমুদ্র স্রোত বেশি প্রবল হলে হবে না, জোয়ার ভাটা তীব্র হলে পলি রাশি অপসারিত হয়ে গভীর সমুদ্রের চলে যায়।
  5. অধিক ঘনত্ব: মোহনায় সমুদ্রের জল অধিক ঘন হলে পলিরাশি সহজেই জমা হয়।

3. সুন্দরবন অঞ্চলের জলবায়ুর পরিবর্তনের তিনটি প্রভাব সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : সুন্দরবন অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের  প্রভাব :- 

  1. 1) সমুদ্র জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি : পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার ফলে সমুদ্র জলেরও উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুন্দরবনের জলের উষ্ণতা প্রতি দশকে 0.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
  2. 2) ঘূর্ণিঝড়: উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় গুলি সুন্দরবন অঞ্চলের বনভূমি ধ্বংস করে দিচ্ছে। এছাড়াও বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সমুদ্র জলতল বৃদ্ধি পেয়ে দ্বীপগুলি জলমগ্ন হয়ে যায়।
  3. ভূভাগ অবলুপ্তি : অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে উপকূল রেখা মূল ভূখণ্ডের দিকে সরে যাচ্ছে। এছাড়াও নদীতে লবণাক্ত জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

4. উপনদী ও শাখা নদীর মধ্যে পার্থক্য।

উত্তর: 

বিষয়উপনদীশাখা নদী
সংজ্ঞা এই নদী উৎস থেকে উৎপত্তি হয়ে অন্য নদীতে মিলিত হয়।এই নদী একটি নদী থেকে উৎপন্ন হয়।
মিলন স্থলএই নদী সমুদ্রে মিলিত হয় না।কিছু কিছু শাখা নদী সমুদ্রে মিলিত হয়।
স্থানএই নদী উঁচু স্থানে প্রবাহিত হয়।এই নদী নিচু স্থানে প্রবাহিত হয়।
উদাহরণ তিস্তা, ধরলা, করতোয়াধলেশ্বরী,  মধুমতি।

5. নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার তিনটি পার্থক্য লেখ।

 উত্তর: 

বিষয়নদী উপত্যকাহিমবাহ উপত্যকা
অবস্থানএই উপত্যকা তুন্দ্রা ও মরু অঞ্চল ছাড়া ভূপৃষ্ঠের প্রায় সর্বত্র অবস্থিত।এই উপত্যকা কেবল উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল এবং মেরু অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ।
উপত্যকার আকৃতিপার্বত্য নদী উপত্যকা ইংরেজি ‘I’ ও ‘ V’ আকৃতির হয়।হিমবাহ উপত্যকা ইংরেজি ‘V’  অক্ষরের মতো হয়।
প্রকৃতিনদী উপত্যকা সুদীর্ঘ, আঁকাবাঁকা এবং অমসৃণ প্রকৃতির।হিমবাহ উপত্যকা স্বল্পদৈর্ঘ্য, সরলরৈখিক এবং মসৃণ প্রকৃতির।

6. নদীর বহনকার্যে তিনটি প্রক্রিয়া সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তর: নদী তার বহনকার্যটি চারটি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে। যথা – 1) দ্রবণ প্রক্রিয়া 2) ভাসমান প্রক্রিয়া 3) লম্ফদান প্রক্রিয়া 4) আকর্ষণ প্রক্রিয়া

  1. দ্রবণ প্রক্রিয়া : যে প্রক্রিয়ায় চুনাপাথর, খনিজ লবণ, ডলোমাইট প্রভৃতি নদীর জলে দ্রবীভূত হয়ে জলশ্রোত দ্বারা বাহিত হয় তাকে দ্রবন প্রক্রিয়া বলে।
  2. ভাসমান প্রক্রিয়া : যে প্রক্রিয়ায় পলি, বালি, কাদা নদীর জল স্রোত দ্বারা ভাসমান অবস্থায় নদীর সাথে বাহিত হয় তাকে ভাসমান প্রক্রিয়া বলে। 
  3. লম্ফদান প্রক্রিয়া : যে প্রক্রিয়ায় বড় ভারী প্রস্তর খন্ড গুলি নদী গর্ভে ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বয়ে যায় তাকে লমফ্রদান প্রক্রিয়া বলে।

7. নদী ক্ষয় কার্যের তিনটি প্রক্রিয়া সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তর: নদীটার  ক্ষয়কার্যটি পাঁচটি প্রক্রিয়া দ্বারা সম্পন্ন করে। যথা – 1) জলপ্রবাহ ক্ষয় 2) বুদবুদ ক্ষয় 3) অবঘর্ষ ক্ষয় 4) ঘর্ষণ ক্ষয় 5) দ্রবণ ক্ষয় 

  1. জলপ্রবাহ ক্ষয় : যে প্রক্রিয়ায় নদীর প্রবল জলশ্রোত দ্বারা নদীর তলদেশে কোমল ও আলগা পাথর ভাঙ্গন ঘটে থাকে জলপ্রবাহ ক্ষয় বলে।
  2. বুদবুদ ক্ষয় : নদীর জলস্রোতের অভ্যন্তরের সৃষ্ট বুদবুদের অভ্যন্তরীণ বায়ুর চাপ দ্বারা শিলা স্তরে ফাটল ধরে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় তাকে বুদবুদ ক্ষয় বলে।
  3. অবঘর্ষ ক্ষয় : নদীর তীব্র স্রোতের দ্বারা বাহিত নূরী শিলা চূর্ণ নদী তলদেশ ও পার্শ্বদেশ প্রবল আঘাত দেওয়ার ফলে গর্ত সৃষ্টি হয় তাকে অবকর্ষ ক্ষয় বলে।

8. অনুদৈর্ঘ্য ও বার্খান বালিয়াড়ি মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ বা তির্যক ও সিফ বালিয়াড়ি মধ্যে পার্থক্য

উত্তর: 

বিষয়অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বার্খান বালিয়াড়ি
বায়ু প্রবাহএটি বায়ুর গতিপথের সাথে সামান্তরালে অবস্থান করে।এটি বায়ুর গতিপথের সাথে আড়াআড়ি বা লম্বভাবে অবস্থান করে।
আকৃতি এটি দেখতে সংকীর্ণ তরবারির মত।এটি দেখতে অর্ধ চাদের মত।
আকার বার্খান এর তুলনায় এটি সুউচ্চ ও শুভ বিস্তৃত। সিফের তুলনায় এটি অনুচ্চ ও কম বিস্তৃত।

9. ইয়ারদাং ও বারখানের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উত্তর: 

বিষয়ইয়ারদাংবারখান
প্রকৃতিইয়ারদাং বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ।বারখান বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
প্রক্রিয়াবায়ুর অবঘর্ষ ক্ষয়জাত প্রক্রিয়ায় এই ভূমিরূপ সৃষ্ট।বারখান বায়ুর সঞ্চয় কার্যের পক্রিয়া গুলির দ্বারা এই ভূমিরূপ সৃষ্ট।
আকৃতিদীর্ঘ অপ্রতিসম শৈলশিরার মত দেখতে।এটি দেখতে অর্ধেক চন্দ্রের মত।

10. রসেমতানে ও ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উত্তর: 

বিষয়রসেমতানেড্রামলিন
প্রকৃতিরসেমতানে হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট।ড্রামলিন জলধারা ও হিমবাহ সঞ্চয় কার্যের দ্বারা সৃষ্ট।
অবস্থানপার্বত্য অঞ্চলের উঁচু অংশে দেখা যায়পর্বতের পাদদেশের এটি দেখা যায়।
আকৃতিকঠিন শিলা গঠিত উঁচু ঢিবির মতো, শিলাস্তুপ এটি।উল্টানো চামচে মত দেখতে এটি।

11. পেডিমেন্ট ও বাজাদার মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর: 

বিষয়পেডিমেন্টবাজাদা 
প্রকৃতিএটি প্রধানত ক্ষয়কার্য দ্বারা সৃষ্ট সমভূমি।এটি সঞ্চয়জাত সমভূমি। 
অবস্থানমরু পর্বতের পাদদেশীয় ঢালের উচ্চ অংশে অবস্থিত।মরু পর্বতের পাদদেশীয় ঢালের নিম্ন অংশে অবস্থিত।
ভূমি ঢালপেডিমেন্টের ভূমিঢাল অনেক বেশি গড়ে 1 ডিগ্রি থেকে ৭ ডিগ্রি।বাজাদার ভূমি ঢাল অনেক কম গড়ে ৩ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি।

12. গিরিখাত ও ক্যানিয়নের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর:

বিষয়গিরিখাতক্যানিয়ন
ভূমিরূপক্যানিয়নের তুলনায় গভীরতা কম ও কম সংকীর্ণ । ( ‘V’ আকৃতির হয় )ক্যানিয়ন প্রচুর গভীর ও সংকীর্ণ ( ‘I’ আকৃতির হয় )
প্রক্রিয়া:নিম্ন ক্ষয়ের সাথে সাথে পার্শ্ব ক্ষয় হওয়ার ফলে গিরিখাত সৃষ্টি হয়ক্যানিয়ান নদীর তীব্র নিম্নক্ষয়ের জন্য সৃষ্টি হয়।
জলবায়ু:বৃষ্টিপাত যুক্ত পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।বৃষ্টিহীন শুষ্ক মরুপ্রায় অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।

13. ইয়ারদাং ও জিউগেনের মধ্যে পার্থক্য তিনটি লেখ।

উত্তর:

বিষয়ইয়ারদাংজিউগেন 
শিলাকঠিন ও কোমল শিলাস্তর পর্যায়ক্রমে উলম্ব ভাবে অবস্থান করে।কঠিন ও কোমল শিলার স্তর অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করে
উচ্চতাইয়ারদাং এর উচ্চতা তুলনামূলক কম গড়ে ৭ মিটার।জিউগেন এর উচ্চতা বেশি গড়ে  তিন থেকে ত্রিশ মিটার।
আকৃতিএটি মোরগের ঝুঁটির মতো দেখতে।এটি টেবিলের মতো দেখতে।

14. হিমবাহের প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তর: অবস্থানের ভিত্তিতে হিমবাহ কে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা – 1) উপত্যকা হিমবাহ 2) পাদদেশীয় হিমবাহ 3) মহাদেশীয় হিমবাহ

  1. উপত্যকা হিমবাহ : হিমশীতল উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উপত্যকার মধ্যে দিয়ে হিমবাহ যখন নিচের দিকে ধীরে ধীরে নামতে থাকে তখন তাকে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ বলে। উদাহরণ : আলাস্কার হুবার্ড।
  2. পাদদেশীয় হিমবাহ: সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ পর্বতের পাদদেশে এসে সঞ্চিত ও বিস্তৃত হয়ে যে হিমবাহ সৃষ্টি করে তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে। উদাহরণ : আলাস্কার মালাসপিনা
  3. মহাদেশীয় হিমবাহ: সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাতের আকারে প্রবাহিত হিমবাহকে মহাদেশীয় হিমবাহ বলে। উদাহরণ :  গ্রিনল্যান্ড, ল্যাম্বার্ট।

15. বিভিন্ন প্রকার বদ্বীপের সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তর: অবস্থান, আকৃতি ও গঠনের ভিত্তিতে বদ্বীপ তিন প্রকারের যথা – 

  1. ধনুকাকৃতি বদ্বীপ: নদীবাহিত পলিরাশি মোহনার কাছে নদীর অধিক গতির ফলে সমুদ্রের দিকে বিস্তৃত হলে এবং উপকূলে সঞ্চিত পলিরাশি জোয়ার ভাটা স্রোতের দ্বারা উপকূলের দুদিকে বিস্তৃত হয়ে ধনুকের মতো বদ্বীপ গড়ে ওঠে এটি ধনুকাকৃতি বদ্বীপ 
  2. তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ: নদী বাহিত পলিরাশি সরল উপকূল রেখা বিশিষ্ট সমুদ্রে মিলিত হলে সেখানে সমুদ্র শক্তি নদী শক্তির তুলনায় বেশি হলে মোহনার দুদিকে ব দ্বীপের বাহু দুটি ক্ষুদ্র বৃত্ত চাপের আকার ধারণ করে ও ধারালো দাঁতের মতো বক্ররেখায় পরিণত হয়ে এই বদ্বীপ সৃষ্টি হয়।
  3. পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ: প্রধান নদী একাধিক শাখায় বিভক্ত হয়ে সমুদ্রে এসে পড়লে এই ধরনের বদ্বীপ সৃষ্টি হয়। সাথে নদীর গতিবেগ বেশি হলে নদীবাহিত পলিরাশি সমুদ্রের বহুদূরে গিয়ে জমা হয়ে পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ সৃষ্টি হয়।  

______________________________________________

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ সাজেশন প্রশ্নমান – 5

রচনাধর্মী উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন  :  প্রশ্নমান – 5

1. হিমবাহ কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ চিত্রসহ বর্ণনা কর।

উত্তর : হিমবাহ কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ:

  1. করি বা সার্ক: হিমবাহের অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়ার ফলে উচ্চ পর্বতগাত্রে গঠিত হাতলযুক্ত চেয়ার বা এম্পিথিয়েটার এর মত আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপ কে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে করি বলে এবং ফ্রান্সে সার্ক বলে। 

হিমবাহ গলা জল করির মধ্যে ভাগে জমে যে হ্রদ সৃষ্টি হয় তাকে করি হ্রদ বা টার্ন বলে। আন্টার্টিকার ওয়ালকট সার্ক বিশ্বের বৃহত্তম সার্ক।

  1. এরিটি : একই পর্বত শৃঙ্গের দুই দিকে দুটি সার্ক সৃষ্টি হলে তার মধ্যবর্তী হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট সংকীর্ণ খাড়া তীক্ষ্ণ প্রাচীর কে এরিটি বলে।
  2. পিরামিড চূড়া: একটি পর্বত শৃঙ্গের বিভিন্ন দিকে তিন চারটি সার্ক সৃষ্টি হলে মধ্যবর্তী অংশে পিরামিডের মতো দেখতে খাড়া পর্বত চূড়া কে পিরামিড চূড়া বলে। আল্পস পর্বতের ম্যধার হর্ন একটি পিরামিড চূড়া।

2. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ এর চিত্রসহ বর্ণনা কর।

উত্তর:বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ’

  1. গৌর: মরুভূমিতে কঠিন ও কোমল শিলাস্তরের বৃহদায়তন শিলার স্তূপ অবস্থান করে বায়ুর অবঘর্ষ জনিত ক্ষয় কার্যের ফলে শিলাস্তূপের নিচের কোমল অংশ দ্রুত ক্ষয় হয়ে সরু হয় এবং ওপরের কঠিন অংশ কম ক্ষয় হয়ে প্রসারিত হয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে লাগে, একে গৌর বলে। 
  2. ইনসেলবার্জ: দীর্ঘকাল ধরে মরুভূমিতে বায়ুর নিরন্তর ক্ষয় কার্যের ফলে শিলাস্তরের উচ্চতা কমে গিয়ে প্রায় সমতল বা মৃদু  ঢালু সমভূমি সৃষ্টি হয়। কেবলমাত্র কঠিন শিলা গঠিত অংশ ক্ষয় প্রতিরোধ করে অল্প উঁচু টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে একে ইনসেলবার্জ বলে। উদাহরণ : আফ্রিকার কালাপাহাড়িতে মরুভূমিতে দেখা যায়।
  3. ইয়ারদাঙ: মরু অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলা পাশাপাশি উলম্বভাবে অবস্থান করলে বায়ু সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে অবঘর্ষের ফলে কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় করে সুরঙ্গ সৃষ্টি করে।  এর ফলে কঠিন শিলা স্তর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে খাড়া ঢালু যুক্ত উচ্চতা বিশিষ্ট শৈলশিরা সৃষ্টি করে একে ইয়ারদাং বলে। উদাহরণ : সৌদি আরবের মরুভূমিতে ইয়ারদাং দেখা যায়।

3. হিমবাহ ও জলধারা মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ চিত্রসহ বর্ণনা কর।

উত্তর:  হিমবাহ ও জলধারা মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ:

  1. বহিঃবিধৌত সমভূমি : হিমবাহের পাদদেশে হিমবাহ বাহিত পদার্থ গুলি জলধারার মাধ্যমে ক্রমশ দূরের দিকে ছোট পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে বিশাল সমভূমির সৃষ্টি করে। তাকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে। 
  2. ড্রামলিন:  পর্বতের পাদদেশের নিম্নভূমিতে হিমবাহ দ্বারা বহন করে আসা নুড়ি, বালি, কাদা, পাথর ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে যে সারিবদ্ধ ভাবে উল্টানো নৌকা আকৃতির টিলা ইতস্তত্ত্ব ছড়িয়ে থাকে তাকে ড্রামলিন বলে।
  3. কেম:  হিমবাহের প্রান্ত ভাগে সৃষ্ট হ্রদের দ্বারা নুড়ি, বালি, পাথর সঞ্চিত হয়ে যে সমতল পৃষ্ঠদেশ যুক্ত ত্রিকোণাকার বদ্বীপের মতো হ্রদ সৃষ্টি করে তাকে কেম বলে।

___________________________________________________

পরের অধ্যায়ে সাজেশন:

Madhyamik Geography 1st Chapter Question Answer PDF

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বর্জিত প্রক্রিয়া সৃষ্ট ভূমিরূপের প্রশ্নপত্রের PDF টি ডাউনলোড করার লিংক নিচে দেওয়া হল।

Leave a Comment