নাসা ফুল ফর্ম কি? | NASA full form in Bengali

মহাকাশের সম্বন্ধে সমস্ত প্রশ্ন গুলির উত্তর এমন একটি সংস্থা দেয় যার সাথে মহাবিশ্বের যোগাযোগ আছে। এই সংস্থা টির নাম হলো NASA। এই NASA ( NASA full form in Bengali ) শব্দটি আগে হয়তো কোথাও শুনে থাকবেন।

কিন্তু হয়ত এটা জানেন না যে এর কাজ কি? কেন এটা আজ এত বিখ্যাত। এখনও NASA সম্পর্কিত এমন অনেক তথ্য আছে যেগুলি হয়তো আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। তাহলে আসুন সেগুলি জানার আগে আমরা এটা ভালো ভাবে জেনে নি NASA কী? এবং নাসা ফুল ফর্ম কি বা NASA full form in Bengali

NASA Full form in Bengali

The full form of NASA is National Aeronautics and Space Administration(NASA)। 

NASA Full form in Bengali:

  • N: National
  • A: Aeronautics and
  • S: Space
  • A: Administration

নাসা ফুল ফর্ম কি

নাসা ফুল ফর্ম হলো ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (National Aeronautics and Space Administration)। নাসা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। এই নাসা প্রধান কাজ হলো Space Exploration এবং Aeronautics Research।

নাসা ফুল ফর্ম: ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
NASA Full form in BengaliNational Aeronautics and Space Administration

নাসা কী

NameNASA
Administrator of NASABill Nelson
Founded 29 July 1958
NASA HeadquartersWashington, D.C. US
Type Space agency, Aeronautics Research Center

1958 সালে 29 শে জুলাই NASA প্রতিষ্ঠিত হয়। 1946 সালে National একটি কমিটি NACA Bell x-1 এর মতো একটি রকেট তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। এর পর 1950 সালের প্রথমের দিকে তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ আসে মহাকাশে একটি আর্টিফিসিয়াল স্যাটেলাইট পাঠানোর। 

মাত্র কয়েক বছর পরই 1957 সালে 4th October তারা পুরো বিশ্ব কে চমকে দেওয়ার মতো একটি  খবর আনে যে তারা Sputnik নামক একটি স্যাটেলাইট ইতিমধ্যেই মহাকাশে প্রেরণ করতে সফল হয়েছে। যেটা আমেরিকার জন্য এক সময় খুবই বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। 

এই ঘটনায় আমেরিকা তাদের technology এর লিডার শিপ থেকে অনেকটা দূরে সরে যায়। কারণ যেখানে রাশিয়ার গবেষক সংস্থা একটি স্যাটেলাইট প্রথমেই প্রেরণ করে দিয়েছে সেখানে NASA-র কাছে তখনও সেরকম ভালো কোনো উপায় ছিল না জে তারা কিভাবে একটি স্যাটেলাইট পাঠাতে পারবে। 

এই অবস্থাকে টিকে তারা অনেক বড় একটি সিকিউরিটি ক্রাইসিস ভেবে ছিল, এই ক্রাইসিস টিকে স্পুটনিক ক্রাইসিস বলা হয়। NASA প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর 1959 সালে প্রথমবার তারা একটি মানব বাহি মিশনে গিয়েছিল। এবং এই মিশনের যাওয়ার জন্য তাদের খরচ করতে হয়েছিল 277 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

কিন্তু এত টাকা খরচ হলেও তারা তাদের মিশনে পুরো সফলতা অর্জন করেছিল। এরপর 1961 সালে NASA একটি প্রজেক্ট গ্রহণ করে এবং সেই প্রজেক্টটি ছিল কোল্ড ওয়ার এর সময় রাশিয়ার সাথে সবথেকে বড় একটি প্রজেক্ট।

এই প্রোজেক্টের জন্য তাদের খরচ করতে হয় 1.3 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। NASA-র পরবর্তী মিশন ছিল অ্যাপোলো। একমাত্র অ্যাপোলো এমন একটি মিশন যার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে মানুষ চাঁদে যেতে পেরেছে।

অ্যাপোলো ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত মোট 17 টি মিশন আছে। যার মধ্যে অ্যাপোলো 11 হলো সবথেকে বড় এবং অন্যতম একটি সফল মিশন। কারণ এর মাধ্যমেই মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে পৌঁছাতে পেরেছিল। 

নাসা এবং তার সফলতা

NASA হলো বিজ্ঞানের যাত্রার একটি অন্যতম উদাহরণ। মহাবিশ্ব কে নিয়ে কঠিন কঠিন সমস্যা গুলি থেকে তার যথাযথ সমাধান বের করে আনা একটি সংস্থার নামই হলো NASA। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত যত গুলি স্পেস এজেন্সি আছে তাদের মধ্যে সব থেকে উচ্চ স্তরে রয়েছে NASA। 

সেটা সফলতার দিক থেকে হোক কিংবা অভিযান এর দিক থেকে। এমন কি আমাদের প্রতিদিন এমন অনেক জিনিস ব্যবহার করি যেগুলি NASA ই প্রথম এই পৃথিবীতে এনেছে।

আপনি যদি ভেবে থাকেন জে NASA শুধুমাত্র মহাকাশ গবেষণায় এগিয়ে আছে তাহলে আপনি পুরো পুরি ভুল কারণ আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন জিনিস ব্যবহার করে থাকি যেগুলো NASA দ্বারাই আবিষ্কার করা হয়েছে।

এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বস্তু হলো থার্মোমিটার, ইমারজেন্সি blanket, water ফিল্টার, ইনসুলিন পাম্প, স্ক্র্যাচ রেজিস্টর আইগ্লাস লেন্সেস, ইকেজি মেশিন, মাইক্রোওয়েভ আরও নানান ধরনের বস্তু। NASA কিন্তু পৃথিবীতে কখনোই কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করেনি। তাই NASA-র মোট আয় কত সেটা বলা মুশকিল। 

কিন্তু এখনও পর্যন্ত NASA র yearly বাজেট 33.04 বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর মতো। এই পুরো টাকা টাই NASA বিভিন্ন ভাবে তার নিজের কাজে ব্যয় করে থাকে।

আগত 2025 সালে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে NASA। 2011 সাল পর্যন্ত গত 30 বছরে NASA যতো গুলি মিশন করেছে তার জন্য তাদের মোট খরচ হয়েছে 196 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

NASA প্রত্যেক বছর অনেক বড় বড় কয়েকটি কনটেস্টের আয়োজন করে। এবং সেখানে সেরা ট্যালেন্ট দেখে কয়েক জন কেই তারা job অফার করে। পৃথিবীতে এখন যত গুলি সরকারি বা বেসরকারি স্পেস এজেন্সি আছে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি দামী মিশন NASA ই পরিচালনা করে। 

সুতরাং তাহলে বোঝায় যাচ্ছে দিনের পর দিন NASA কিভাবে আরও নিজেকে উন্নত করছে যার দ্বারা ভবিষ্যতে আমরা মহাকাশ এবং তার বাইরের জগৎ সম্পর্কে আরও নতুন নতুন তথ্য পেতে পারি। 

 এই পর্যন্তই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা- নাসা ফুল ফর্ম কি বা NASA full form in Bengali। তাহলে আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই NASA সম্পর্কে আজ অনেক কিছু জানতে পারলেন।

Leave a Comment