পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কি ?

প্রশ্ন- পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কি ? উত্তর: কলকাতা। পশ্চিম বঙ্গ হলো ভারতের মধ্যে অবস্থিত একটি রাজ্য। এই রাজ্য টি ভারতের পূর্ব দিকে এবং বঙ্গোপসাগর এর উত্তর দিকে ও বাংলাদেশের সীমান্ত বরাবর অবস্থান করছে। 2011 সালে যখন এই রাজ্যের জনগণনা করা হয় তখন দেখা যায় যে এই রাজ্যের জনসংখ্যা নয় কোটি তেরো লক্ষ এর থেকেও বেশি। 

ভারতে যতগুলি রাজ্য আছে তার মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে পশ্চিম বঙ্গ হলো চতুর্থ স্থান অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির আয়তন 88752 বর্গ কিমি। পশ্চিমবঙ্গ হলো বাংলা জাতি দ্বারা গঠিত একটি অবিভক্ত রাষ্ট্র। এই রাজ্যের পূর্ব দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। এবং এই রাজ্যের উত্তর দিকে রয়েছে নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র।

 এছাড়াও ভারতের মধ্যে সিকিম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম, বিহার রাজ্যের গুলি হলো পশ্চিম বঙ্গের সীমানার অন্তর্বর্তী কয়েকটি রাষ্ট্র। এছাড়াও ভারতের সপ্তম বৃহত্তম শহর কলকাতা, সুন্দরবন অঞ্চল, মনোরম পাহাড়ি অঞ্চল, দার্জিলিং, গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের অংশ গুলিও এই রাজ্যেরই অন্তর্গত। 

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান জাতি গোষ্ঠী হলো বাঙালি। এবং এই রাজ্যের জনসংখ্যার একটি বৃহত্তম অংশই বাঙালিদের হিন্দু জাতি নিয়ে গঠিত। কিন্তু আপনাদের মধ্যে হয়তো এমন অনেকেই আছেন যারা এখনকার রাজধানী সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। তাই তাদের সুবিদার্থে নিম্নে এই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো – 

Table of Contents

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কি ? 

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম হলো কলকাতা।  কলকাতা হলো পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রধান শহর এবং প্রধান বন্দর। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার আরেক নাম হলো ” City of Joy “। কলকাতা শহরকে আমরা সকলে সংস্কৃতির শহর হিসেবে চিনি।

এছাড়াও কলকাতা ভালোবাসা, রহস্য, এক প্রাণবন্ত প্রতিমূর্তি, শ্রদ্ধা, উৎসাহ এবং বাঙালির প্রিয় মিষ্টি রসগোল্লার জন্যেও আমাদের কাছে বিখ্যাত হয়ে আছে। এই শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব তীরের দিকে অবস্থান করছে। 

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কলকাতা
Capital of West BengalKolkata
Another Name‘City of Joy’ & ‘City of Palaces

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার কিছু অজানা ইতিহাস

ভারত বর্ষে কলকাতার সূচনা হয় 1686 সালে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি জব চার্ণক 1690 সাল নাগাদ এই শহরে আসেন। এবং এখনকার এক স্থানীয় জমিদার এর কাছ থেকে কলকাতা, সুতানুটি, গোবিন্দপুর এই তিন টি গ্রাম কিনে নেন। এর পর 1699 সাল নাগাদ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা কে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন। তখন কলকাতা কে বেশির ভাগ সবাই ক্যালকাটা হিসাবেই চিনতো। 

1772 সাল নাগাদ যখন ব্রিটিশ ভারত বর্ষের রাজধানী হিসাবে কলকাতা কে ঘোষণা করা হয়, তখন ব্রিটিশদের ভারতীয় দের উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। এরপর থেকেই এই শহর টির শিল্প ক্ষমতাও খুব দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। 

তখনকার সময়ে কলকাতার গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ওয়েলেসলি। তিনি এই শহরের স্থাপত্য অধ্যাবসায় এর জন্য অনেক কাজ করেছিলেন এবং সেই জন্য কলকাতা শহরকে ” city of palaces “  নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। তখনও পর্যন্ত কিন্তু তখনকার ভারতবর্ষের রাজধানী অর্থাৎ কলকাতা ব্রিটিশদের অধীনেই ছিল। 

        1820 সাল থেকে 1930 সাল এর মধ্যে ভারতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। সেই সময় লর্ড কার্জন ভারতের শক্তিশালী জাতীয়তা বাদের বিরোধিতা থাকা সত্বেও 1905 সালে বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন করেছিলেন। এর পর 1911 সাল নাগাদ ভারতের রাজধানী কলকাতা শহর থেকে দিল্লি শহরে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর আবার পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলা একত্রিত হয়। 

প্রশ্ন- পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কি? উত্তর: কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহর সম্পর্কে কিছু সাধারণ ধারণা :-

প্রথমে যখন ব্রিটিশরা ভারতে নিজেদের রাজত্ব চালাতেন তখন ভারতের রাজধানী বলা হত কলকাতা কে। 1773 সাল থেকে 1911 সাল পর্যন্ত এই কলকাতায় ব্রিটিশ দের অর্থাৎ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক অঞ্চল এর প্রধান কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল।

 এবং এখন এই কলকাতা শহর বিভিন্ন কারণে যেমন ঔপনিবেশিক স্থাপত্য ও সংস্কৃতির শহর ইত্যাদির জন্য আমাদের কাছে পরিচিত হয়ে আছে। এই শহরে মাদার টেরিজা “missionaries of charity” এর সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এছাড়াও এখানে মাদার হাউস ও অবস্থান করছে। এবং সেই মাদার হাউস এর মধ্যে মাদার টেরেসার সমাধি স্থাপন করা হয়েছে। 

           যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা অধিকাংশই বাঙালি জাতি নিয়ে গঠিত তাই এখান কার কয়েকজন বিখ্যাত বাঙালি হলেন – কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিপ্লবী সুভাষ চন্দ্র বসু, সত্যজিৎ রায়, অমর্ত্য সেন, সিভি রমন প্রমুখ ব্যক্তি গণ। 

এই সকল ব্যক্তি রাই সামগ্রিক ভাবে রাজ্য এবং দেশের জন্য যা কাজ করে গিয়েছেন তার অবদান স্বরূপ আমরা সকলেই তাদের স্মরণে রাখবো। 

             আমাদের ভারতবর্ষ যখন স্বাধীনতা লাভ করেনি তখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা কে ক্যালকাটা হিসেবে জানা যেত। এর পর ভারত স্বাধীন হওয়ার পর বাংলায় ‘কলিকাতা’ নামের সংস্করণ ঘটে। ‘কলিকাতা’ শব্দের নানান ব্যক্তি নানান মত খুঁজে বের করেন।

 যেমন কারো মতে কলিকাতা শব্দটি কালিখেত্র থেকে এসেছে যার অর্থ হচ্ছে দেবী কালি। এবার কেউ কেউ বলছেন যে একটি খালের তীরে এই কলিকাতা শহর টির মূল বসতি ছিল। সেখান থেকেই এই নাম টি এসেছে। 

2001 সাল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সেখানেই এই শহর টির নাম ‘কলিকাতা’ থেকে ‘কলকাতা’ তে স্থানান্তর করা হয়। 

প্রশ্ন- পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কি? উত্তর: কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার কিছু দর্শনীয় স্থান :- 

কলকাতা শহর টি যেহেতু সংস্কৃতির শহর তাই এখানে প্রচুর দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এছাড়াও এখন কার আকর্ষণীয় শিল্প, চমৎকার স্থাপত্য, সাহিত্য এবং আশ্চর্য সংস্কৃতি সমস্ত পর্যটক ব্যাক্তি এবং যারা ভ্রমণ ভালোবাসেন তাদের স্বাগত জানায়। 

     কলকাতার কিছু বিখ্যাত জায়গা গুলি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো – 

Victoria Memorial :

কলকাতায় যতো গুলি পর্যটন কেন্দ্র আছে তাদের মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল একটি অন্যতম স্থান। এখানে বিশ্বের অনেক পর্যটক রাই ভ্রমন করতে আসেন। কলকাতা শহর এর একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

 এখানে রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ বানানো হয়েছিল। এই স্মৃতিসৌধটি মূলত রানী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে বানানো হয়েছে। এটি বানাতে 1906 সাল থেকে 1921 সাল পর্যন্ত সময় লেগে ছিল। তখনকার সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড কার্জন।

victoria memorial
Victoria Memorial

 তিনিই এই সৌধটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্মৃতি সৌধটি পুরোটাই সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি কলকাতার পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। 

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর ভিতরে একটি জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ব্রিটিশ সময় এর সমস্ত ঢাল, তলোয়ার, অস্ত্র, প্রাচীন সময়ের এর বিভিন্ন বই, ভাস্কর্য, রানী ভিক্টোরিয়ার বিভিন্ন পোশাক আশাক ও সাজসজ্জার সরঞ্জাম সযত্নে রাখা হয়েছে। 

Howrah Bridge :

আমাদের পুরো বিশ্বে যতো গুলি সেতু রয়েছে তার মধ্যে কলকাতার হাওড়া ব্রিজ হলো চতুর্থ ব্যস্ততম ব্রিজ। কলকাতার সেরা সেরা ভ্রমণ দর্শন এর স্থান গুলি মধ্যে আপনি এই হাওড়া ব্রিজ টির নাম ও শুনতে পাবেন। এই ব্রিজটির মূলত দুটি কাজ রয়েছে।  

একটি হলো এটি হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় কলকাতার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে এবং অপরটি হলো এই ব্রিজটি কলকাতার পূর্বতীর এবং পশ্চিম তীর কে মিলিত করে। হাওড়া ব্রিজ সেতু টির নির্মাণের কাজ চালু করা হয়েছিল 1936 সাল থেকে এবং 1942 সাল নাগাদ এই সেতু টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

howrah bridge
Howrah Bridge

 এই সেতু টির আরেকটি নামও আছে সেটা হলো রবীন্দ্র সেতু। এই নামকরণের কারণ হলো 1965 সালে  ভারত স্বাধীন এর পর যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে তাকে সম্মান জানানো হয় তখন এই ব্রিজ টির নাম রাখা হয় রবীন্দ্র সেতু। 

এবং এখনকার সময় এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় 100000 যানবাহন থেকে শুরু করে 150000 জনগণ যাতায়াত করে। 

Dakshineswar kali temple

কলকাতায় যতগুলি বিখ্যাত তীর্থস্থান রয়েছে তার মধ্যে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির হলো একটি অন্যতম স্থান। এই স্থান টি পর্যটক দের বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে। এই মন্দির টিতে যতগুলো স্থাপত্য শিল্প আছে সেগুলির মধ্যে সব গুলিই প্রদর্শনীও। 

dakshineswar kali temple
Dakshineswar kali temple

এই মন্দিরে মা ভবতারিণী দেবীর পূজা করা হয়। মা ভবতারিণী হলো দেবী কালির অন্য এক রূপ। 1855 সাল নাগাদ রানী রাসমণি এই দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ছিলেন। বাঙালির যত গুলি স্থাপত্য আছে তার মধ্যে সবার থেকে বৃত্তম নবরত্ন রীতি মেনে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। 

কালীঘাট :

বর্তমানে ভারতের মধ্যে 51 টি শক্তি পিঠ রয়েছে। তার মধ্যে কালীঘাট অন্যতম। যখন আদি কালে শিবের রুদ্র তাণ্ডব নৃত্য চলছিল তখন দেবী পার্বতীর দেহের একটি খন্ড এই কালীঘাট এর স্থানে এসে পড়ে ছিল। মনে করা হয় যে দেবীর ডান পায়ের আঙ্গুল এই স্থানে এসে পড়েছিল। 

এই মন্দির টি হলো একটি শ্রদ্ধেয় হিন্দু মন্দির। 1800 শতকের প্রায় শেষের দিক করে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠান কার্য সম্পন্ন করা হয়ে ছিল। এই মন্দির টির ভিতরের দিকে বেশ অনেকগুলো ছোট ছোট মন্দির আছে। সেই ছোট ছোট মন্দির গুলিতে অন্যান্য বাকি কয়েকটি দেব দেবীর পূজা করা হয়।

বেলুড় মঠ :

বেলুড় মঠ কলকাতার হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত।  এই স্থান টি পুরো বিশ্বের সমস্ত শান্তি কামি মানুষদের নির্দ্বিধায় সব সময় স্বাগত জানায়। এখানের একটি বিশেষত্ব হলো এখানে প্রত্যেকটি ব্যক্তি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসতে পারে। 

এটি কলকাতার একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। এখনকার মন্দির গুলি শ্রী রামকৃষ্ণ দেব, শ্রী সারদা দেবী এবং স্বামী বিবোনন্দর স্মরণে তাদের প্রার্থনা করার জন্য বানানো হয়েছে। এখানে আবার শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের বিশ্রাম করার জন্য বিশেষ ভাবে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। 

এবং যারা এখানে ভ্রমণ করতে আসেন তাদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দের ঘরে তার ব্যবহার করা কিছু কিছু জিনিস পড়তে সযত্নে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই সকল চমৎকার চমৎকার স্থাপত্য এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশন গুলি বেলুড় মঠ কে কলকাতার নিদারুণ ভ্রমণ স্থান গুলির মধ্যে একটি অন্যতম স্থান হিসাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।  

কলকাতা সাইন্স সিটি –

কলকাতার বিখ্যাত বিজ্ঞান জাদুঘর যা সাইন্স সিটি নামে আমাদের কাছে পরিচিত। এই বিজ্ঞান ঘর টি ভারত স্বাধীনের পর 1997 সালের 1st July থেকে চলে আসছে।

 এই স্থানটি কলকাতার মানুষ দের তো বটেই কিন্তু আরও অন্যান্য যারা ভ্রমণ প্রার্থীরা আছেন তাদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হিসাবে পরিচিত হয়ে আছে। এইখানে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান এর মধ্যে যে উপস্থাপন আছে সেটা দর্শকদের মাঝে তুলে ধরা হয়।

 এবং এই উপস্থাপন শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেক বয়সের মানুষের কাছেই খুবই শিক্ষামূলক একটি বিষয়। এছাড়াও সবাই এই উপস্থাপন গুলোকে খুবই আগ্রহ সহকারে দেখে। এখানে 3D show, স্পেস থিয়েটার, ন্যাচারাল সাইন্স পার্ক, থিম পার্ক, ডাইনোসর কমপ্লেক্স এবং Time Machine ইত্যাদি জিনিস গুলি দেখানো হয়ে থাকে।

প্রশ্ন- পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কি? উত্তর: কলকাতা 

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার প্রশাসন ব্যবস্থা :- 

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা, রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়, কলকাতার হাইকোর্ট সহ বাকি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার প্রধান কার্যালয় বা আঞ্চলিক কার্যালয় গুলি এই কলকাতা তেই অবস্থান করছে। 

         কলকাতার আইন কানুন এর ব্যবস্থা, নগর প্রশাসন ব্যবস্থা, নাগরিক পরিষেবা গুলির দায়িত্ব র কোনোটাই একটি সরকারি সংস্থার হাতে নেই , সব গুলই আলাদা আলাদা সরকারি সংস্থার হতে রয়েছে। যে কয়টি সরকারি সংস্থা আছে সেগুলির এক্তিয়ার ভুক্ত এলাকা গুলি কোনো না কোনো কারণে এই একে ওপর এর সাথে যুক্ত রয়েছে। 

জেলা প্রশাসন ও আইন ব্যবস্থা – 

কলকাতার জে সকল সুরক্ষা সংক্রান্ত এবং শাসন বিভাগের কর্তৃপক্ষরা আছেন তারা হলেন – কলকাতা জেলার সমাহর্তা, কলকাতা পুলিশ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সমাহর্তা অর্থাৎ জেলা শাসক এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার এসিপি। 

          কলকাতায় মোট তিন ধরনের আদালত অবস্থিত। যেসকল নিষ্পত্তি মামলা রয়েছে তাদের জন্য কয়েকটি নিম্ন আদালত অবস্থিত, দেওয়ানী মামলা করার জন্য চিত ছোট আদালত আছে এবং বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা করার জন্য দায়রা আদালত অবস্থিত রয়েছে। 

কলকাতার জনসংখ্যা :

2011 সালে একবার কলকাতার পৌর এলাকার জনসংখ্যা এবং কলকাতার মহানগরী অঞ্চলের জনসংখ্যার হিসাব করা হয়ে ছিল তখন দেখা গিয়েছিল জে পৌর এলাকার জনসংখ্যা 4486679 জন এবং মহানগরী এলাকার জনসংখ্যা 14112536 জন। 

যদি লিঙ্গের অনুপাতে হিসাব করা হয় তাহলে দেখা যাবে জে প্রতি 1000 জন পুরুষের মধ্যে 919 জন মহিলা। এই অনুপাত টি কলকাতার জাতীয় হারের তুলনায় কম। কারণ এখন অনেক পুরুষ রাই উপার্জনের জন্য গ্রামে তাদের মহিলা সদস্যদের চারে শহরে এসে থাকছে।

 কলকাতার মোট সাক্ষরতার ব্যক্তিদের হার 88.33 %। তার তুলনায় জাতীয় সাক্ষরতা ব্যক্তিদের হার 74.04 %। 

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহরের সংস্কৃতি :

 কলকাতা শহর টি তার সমস্ত সাহিত্যিক কার্যকলাপ, বিভিন্ন ধরনের শিল্প এবং বৈপ্লবিক কার্য কর্মের জন্য সুপরিচিত। কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী হওয়ার আগে শুধু মাত্র ভারতের রাজধানী ছিল না কলকাতা ছিল শিল্প জগৎ এর এবং সাহিত্য চিন্তা ধরার জন্মস্থান। সেই জন্য আজও কলকাতা বাসী মানুষ দের মধ্যে শিল্প ও সাহিত্য এর নানান আধুনিক চিন্তা ধারা দেখা যায়। সেই জন্য কলকাতাকে মাঝে মাঝে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী ও বলা হয়ে থাকে। 

কলকাতার স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা :

2011 সালে যখন কলকাতার জনসংখ্যা হিসাব করা হচ্ছিল তখন কলকাতার চিকিৎসা কেন্দ্র গুলির ও হিসাব করা হয়। দেখা যায় জে মোট 48 টি সরকারি হাসপাতাল আছে এবং মোট 366 টি বেসরকারি হাসপাতাল আছে। এছাড়াও কলকাতায় দোষ টি মেডিক্যাল কলেজ এবং দশটি ডেন্টাল কলেজ তৈরি করা হয়েছে। কলকাতায় প্রথম মেডিক্যাল কলেজ ও মেডিক্যাল হসপিটাল তৈরি করা হয়েছিল 1835 সালে। পুরো এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এটি সর্ব প্রথম আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন- পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর নাম কি? উত্তর: কলকাতা।

অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর:

বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়?স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কীস্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা

ভারতের শিল্পের রাজধানী কাকে বলা হয় ? 

 ভারত শিল্পের রাজধানী বলা হয় কলকাতা কে।

পশ্চিমবঙ্গে মোট কয়টি জেলা আছে ? 

পশ্চিমবঙ্গে মোট 23 টি জেলা আছে।

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কোথায় গড়ে উঠেছিল ?

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র গড়ে উঠে ছিল কলকাতা শহরে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নাম কি ?  

পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Leave a Comment