JEE full form in Bengali | JEE এর ফুল ফর্ম কি?

আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো JEE এর সম্বন্ধে এবং JEE এর ফুল ফর্ম কি (JEE full form in Bengali)

অনেকেই আছেন যারা JEE এর নাম শুনেছেন কিন্তু এর ব্যাপারে খুব details এ জানেন না। আবার এমন অনেকে আছেন যারা কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চান। আশা করি তাদের সবার জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি খুবই সাহায্য করবে।

তাহলে আসুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক JEE এর ফুল ফর্ম কি – JEE full form in Bengali ? JEE জিনিস টি কি? এর জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে? আরো নানান বিষয় গুলো সমন্ধে – 

JEE এর ফুল ফর্ম কি

JEE এর ফুল ফর্ম হলো Joint Entrance Examination। ইঞ্জিনিয়ারিং সমন্ধিত পড়াশুনার জন্য এই এন্ট্রান্স এক্সামটি দিতে হয়।

JEE full form in Bengali

JEE পূর্ণরূপ হল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম। এই পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করতে পারে।

  • J: Joint
  • E: Entrance
  • E: Examination

JEE কি

এক কথায় বলতে গেলে JEE হলো ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে প্রবেশ করার জন্য একটি জাতীয় পরীক্ষা। এই পরীক্ষা টি প্রত্যেক বছর বছর পুরো ভারত জুড়ে নেওয়া হয়ে থাকে।

এই পরীক্ষা টি নেওয়ার উদ্দেশ্যই হলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা পড়তে চায়, তারা এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের নিজের স্কোর দ্বারা সেই কলেজে নিজের একটি জায়গা করে নিতে পারে।

এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিচারকারকেরা হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী দের মধ্যে বাছাই করা student দের সেরা কলেজ গুলোতে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকে। 

সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই ইচ্ছুক ছাত্র ছাত্রীরা এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। এই পরীক্ষাতে দুটি ধাপ থাকে। প্রথমে student দের JEE এর প্রধান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর সেই উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীদের JEE এর অগ্রিম পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়।

এই পরীক্ষাটি পরিচালকেরা বছরে দুই বার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এইটিই হল ছাত্র ছাত্রীদের কাছে সবার সেরা সুযোগ সমস্ত সেরা কলেজ গুলোতে ভর্তি হওয়ার। 

JEE পরীক্ষার প্যাটার্ন 

যেই সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা বিশেষত বর্তমানে সেরা National Institute of Technology, Indian Institute of Information Technologie তে BE বা B. Tech এর মতো কোর্স গুলোতে ভর্তি হতে চায় তাদের জন্য এই JEE পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

যেহেতু এই পরীক্ষাতে দুটি ধাপ থাকে তাই আপনি যদি প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনাকে JEE Advanced পরীক্ষাটি  দিতে পারবেন, তাহলেই আপনি IIT তে পড়ার জন্য অনুমতি পাবেন। 

JEE এর পরীক্ষাতে দুটি পেপার দেওয়া হয় পেপার 1 এবং পেপার 2। পেপার 1 হলো সেই ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যারা BE কিংবা B.Tech লাইনে যেতে চায়। আর পেপার 2 হলো B. planning বা যারা B.Arch নিয়ে পড়তে চায়। 

এতক্ষণ ধরে জানা গেল JEE কি? JEE এর ফুল ফর্ম এবং কিভাবে এই পরীক্ষা নেওয়া হয় এই সমস্ত বিষয় গুলো সমন্ধে। এবার তাহলে জানা যাক এই জন্য আপনাকে কি কি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে ? 

JEE এর প্রধান পরীক্ষার যোগ্যতা 

এই পরীক্ষায় বসতে হলে ছাত্র ছাত্রীদের তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণীতে সর্বনিম্ন 75% নম্বর অর্জন করতে হবে। যদি এরকম নাও হয় তাহলে তাদের যে বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্বারা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাটি নেওয়া হয় সেখানে তাদের সর্বোচ্চ 20% ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থাকতে হবে।

কিন্তু যারা SC/ST পরীক্ষার্থীরা আছেন তাদের জন্য নিয়ম একটু আলাদা করা হয়েছে। তাদের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাতে বা উচ্চ মাধ্যমিক 65% নম্বর হলেই তারা JEE পরীক্ষায় বসতে পারবে।  

JEE advance পরীক্ষার যোগ্যতা 

JEE এর advance পরীক্ষায় বসতে হলে সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রী দের JEE এর main পরীক্ষায় 224000 এর কম rank এ থাকতে হবে। যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা এই rank পাবে শুধু তারাই JEE Advanced পরীক্ষাটি দিতে পারবে। 

JEE পরীক্ষার সুবিধা 

  • JEE Main পরীক্ষার প্রথম সুবিধা হলো যদি আপনি এই পরীক্ষাতে ভালো ভাবে উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলেই আপনি JEE এর নেক্সট পরীক্ষা JEE advanced এ বসার সুযোগ পাবেন। 
  • এবার এই দুটি পরীক্ষায় যদি আপনি ভালোভাবে দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলে আপনার কাছে  অনেক কলেজ গুলো ভর্তি হওয়ার সুযোগ আসবে এবং আপনি অনেক গুলি অপশন ও পাবেন জে কোন কলেজ আপনার জন্য সেরা। 
  • JEE এর অন্যতম একটি সুবিধা হলো এই পরীক্ষাতে পাস করে গেলে আপনি শুধুমাত্র বে-সরকারি কলেজ গুলিতে নয় বরং জে জে বিখ্যাত এবং সেরা সরকারি কলেজ গুলো আছে সেগুলোতেও ভর্তি হতে পারেন। 
  • আপনাকে এই পরীক্ষায় তিনটি পেপার দেওয়া হবে এবং এই তিন টি পেপার এর জন্য আপনাকে তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে। তিনটি পেপার এর মধ্যে পেপার 1 এ থাকবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত নিয়ে MCQ এর 30 টি  শর্ট কোয়েশ্চেন। এবং এখানে এক একটি কোয়েশ্চন এর ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য তারা আপনার একটি করে স্কোর মাইনাস করে দেবে। 
  • প্রথমে গেল পেপার 1 যেটি BE এবং B.Tech এনরোলমেন্ট এর ছাত্র ছাত্রী দের জন্য, এবার আসবে পেপার 2 যেটি B.Arch এর জে সমস্ত ছাত্র ছাত্রী র আছেন তাদের জন্য। এবার সবার শেষে আসে পেপার 3, B.Planning এর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য।  
  • JEE এর একটি ব্যতিক্রম হলো JEE এর Main পরীক্ষার জন্য আপনি পর পর 3 years এপ্লাই করতে পারবেন।  কিন্তু JEE এর advance পরীক্ষার জন্য আপনি শুধু মাত্র পর পর 2 years এপ্লাই করতে পারবেন। 
  • যেই সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা General বিভাগের মধ্যে আছেন তাদের জন্য পাসিং স্কোর হলো – 81, যারা OBC এর ছাত্র ছাত্রী আছেন তাদের জন্য পাসিং স্কোর হলো – 49, যারা SC এর ছাত্র ছাত্রী আছেন তাদের জন্য পাসিং স্কোর হলো – 32, এরপর যারা ST এর ছাত্র ছাত্রী আছেন তাদের জন্য পাসিং স্কোর হলো -27, এবার যারা PWD এর ছাত্র ছাত্রী আছেন তাদের জন্য পাসিং স্কোর হলো – 1।

JEE এর প্রয়োজনীয়তা 

JEE না থাকার প্রথম অসুবিধা হলো, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলো আছে তাদের আর কোনো গুরুত্ব থাকবে না। কিন্তু এখন কার সময় অনেক ছাত্র ছাত্রী চায় ভবিষ্যতে গিয়ে তাদের এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা আরও মসৃণ হোক, তাই তারা এখন থেকেই সব সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে admission নিচ্ছে। 

আর সেই জন্য হাজার হাজার পরীক্ষার্থী দের মধ্যে থেকে বাছাই করা student রা এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। আর যদি এই পরীক্ষা যদি না নেওয়া হয় তাহলে যেসব কম মেধা যুক্ত ছাত্র ছাত্রীরা আছে তারাও সুযোগ পেয়ে যাবে, যেটা ভবিষ্যতে অসুবিধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।  

JEE এক্সাম এর জন্য সেরা কয়েকটি বই 

JEE থেকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা এবং বিভিন্ন অধ্যাপক দের দ্বারা স্বীকৃত কয়েকটি বিখ্যাত বই গুলি হলো নিম্নলিখিত – 

  • Physics এর part 1 এবং part 2 বোঝার জন্য K Verma
  • Physics বোঝার জন্য DC Pandey
  • Mathematics বোঝার জন্য RD Sharma।

Leave a Comment