মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – নদীর বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন উত্তর Suggestion MCQ, বড় প্রশ্ন PDF।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত নদীর বিদ্রোহ গল্পের সাজেশন ভিত্তিক বড় প্রশ্ন উত্তর এবং MCQ প্রশ্ন উত্তরগুলি নিচে দেওয়া হল।
Table of Contents
নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর 2024
শ্রেণী | দশম শ্রেণী (মাধ্যমিক) |
বিষয় | মাধ্যমিক বাংলা |
গল্প | নদীর বিদ্রোহ |
লেখক | মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় |
প্রশ্নের ধরন | Only সাজেশন ভিত্তিক |
Target | মাধ্যমিক 2024 |
Created By | Moneygita Team |
নদীর বিদ্রোহ গল্প সাজেশন এর মধ্যে MCQ, SAQ প্রশ্ন মিলিয়ে রয়েছে 21 টি এবং বড় প্রশ্ন রয়েছে মাত্র তিনটি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় : নদীর বিদ্রোহ : সাজেশন
নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর MCQ
1. “নদেরচাঁদ ছেলেমানুষের মতো ওৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল”- নদের চাঁদের ওৎসুক্য বোধ হচ্ছিল কেন?
উত্তর :পাঁচ দিন অবিরত বৃষ্টি হওয়ার ফলে নদেরচাঁদ পাঁচ দিন নদীকে দেখেনি, তাই তার ওৎসুক্য বোধ হচ্ছিল।
2. নদের চাঁদের কিসের দায়িত্ব ছিল?
উত্তর: নদের চাঁদে একজন স্টেশন মাস্টার। দিবারাত্রি মেল প্যাসেঞ্জার আর মালগাড়িগুলি তীব্র বেগে ছোটাছুটি নিয়ন্ত্রিত করবার দায়িত্ব রয়েছে নদের চাঁদের।
3. নদের চাঁদের দেশে নদীটি কেমন?
উত্তর: নদের চাঁদের দেশে নদীটি ছিল ক্ষীণস্রতা নির্জীব।
4. নদের চাঁদ বর্ষার জলে পরিপুষ্ট নদীকে কতদিন ধরে চিনতো?
উত্তর: চার বছর ধরে।
5. নদের চাঁদ কোথায় বসিয়া প্রতিদিন নদীকে দেখতো?
উত্তর: ব্রিজের মাঝামাঝি ইট সুরকি আর সিমেন্ট গাঁথা ধারক স্তম্ভের শেষ প্রান্তে বসিয়া প্রতিদিন নদীকে দেখতো।
6. “নদের চাঁদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগলো”- নদের চাঁদের আমদ বোধ এর কারণ কি?
উত্তর: অবিরত বৃষ্টির ফলে নদীর স্রোত ব্রিজের ধারক স্তম্ভ গুলিতে বাধা পাচ্ছিল। জল এত উচুঁতে উঠে আসিয়াছিল যে তা হাত বাড়াইয়া স্পর্শ করতে পারবে নদের চাঁদ। তাই তার আমোদ বোধ হচ্ছিল।
7. নদের চাঁদের বউ কে লেখা চিঠিটি কয় পৃষ্ঠা ব্যাপী ছিল?
উত্তর: পাঁচ পৃষ্ঠা ব্যাপী।
8. নদের চাঁদের কখন মনে হল তার সর্বাঙ্গ অবশ অবসন্ন হয়ে আসছে?
উত্তর: নদী হইতে উঠা অশ্রুত পূর্ব শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ মিশে একটা সঙ্গত সৃষ্টি করেছিল। এ মধুর শব্দ শুনিতে শুনিতে নদের চাঁদের সর্বাঙ্গ অবসন্ন হইয়া আসিয়াছে।
9. “বড় ভয় করিতে লাগিল নদের চাঁদের”- নদের চাঁদের ভয় করার কারণ কি?
উত্তর : রোষে ক্ষোভে উন্মত্ত নদীর আর্তনাদি জলরাশির কয়েক হাত উঁচুতে নিশ্চিন্ত মনে বসিয়ে থাকা নদের চাঁদের উচিত হয়নি একথা ভেবে নদের চাঁদের ভয় হল।
10. “নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে”- কে বুঝলো ? কিভাবে বুঝলো? বা নদীর বিদ্রোহের কারণ কি?
উত্তর : নদের চাঁদ নদীর বিদ্রোহের কারণ বুঝিতে পারিল।
নদী রোষে ক্ষোভে উন্মত্ত। নদী যেন তার দুপাশে মানুষের হাতে গড়া বাঁধ চুরমার করিয়া ব্রিজ ভাঙিয়া ভাসাইয়া লইয়া তার নিজের স্বাভাবিক গতিতে বহিয়া যাইবার পথ করিয়া লইয়া চায়। নদী মুক্তি পেতে চায়। নদী তার স্বাধীন স্রোতে বয়ে যেতে চায়।
11. “এতকাল নদেরচাঁদ গর্ভ অনুভব করিয়াছে “- নদের চাঁদের গর্ব কিসের জন্য?
উত্তর: স্টেশনের কাছে নতুন রং করা ব্রিজটির জন্য।
12. নদের চাঁদ কয় বছর স্টেশন মাস্টার করেছে – চার বছর।
13. “নদের চাঁদকে পিষাইয়া দিয়া চলিয়া গেল”- কে পিষাইয়া দিয়ে চলিয়া গেল?
উত্তর : ৭ নম্বর ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেন।
14. নদের চাঁদ বন্দি নদীকে কয় বছর ভালো বাসিয়াছিল?
উত্তর : চার বছর।
15. নদের চাঁদের মৃত্যুর কারণ কি?
উত্তর : পিছন দিয়ে আসা ৭ নম্বর ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায়।
16. স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পরিচিত হওয়া নদী ও নদের চাঁদের দেশের নদীর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: নদের চাঁদের দেশের নদী ছিল ক্ষীণ স্রতা ও নির্জিব।
স্টেশন মাস্টারিতে পরিচিত নদী ছিল গভীর প্রশস্ত ও জলপূর্ণ।
17. “একটু মমতাবোধ করিল বটে”- কার মমতা? কিসের জন্য? বা, “নদীর সঙ্গে খেলা করার লোভ সে সামলাতে পারিল না”- কেন ? কে?
উত্তর: দুদিন ধরিয়া বাইরের অবিশ্রান্ত বর্ষণের সঙ্গে সুর মিলাইয়া নদের চাঁদ বউকে প্রাণপণে একখানা ৫ পৃষ্ঠাব্যাপি বিরহ বেদনা পূর্ণ চিঠি লিখেছিল- এই চিঠি একখানি পাতা দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া নদীতে ফেলিতে লাগিলো। নদীর সঙ্গে খেলার লোভ না সামলাইতে পাড়িয়া তা নদের চাঁদের মমতা লাগিলো।
18. “বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাদের ” – নদেরচাদের কেন ভয় করতে লাগল?
উত্তর: নদীর ক্ষিপ্ত রূপ এবং প্রবল বর্ষণ ও ব্রিজের ওপর দিয়ে দ্রুতবেগে ট্রেন যাওয়ার শব্দ—সবমিলিয়ে, একটা ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই কারণে নদেরচাদের ভয় করতে লাগল ।
19. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী ?
উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
20. নদেরচাঁদের বয়স- ত্রিশ বছর।
21. “নদেরচাদ সব বোঝে,” – নদেরচাদ কী বোঝে?
উত্তর: নদের চাঁদ স্টেশনমাস্টার হিসেবে দিনরাত প্যাসেঞ্জার, মেল আর মালগাড়ির তীব্রবেগে ছোটাছুটি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পালন করে। সেজন্য তার পক্ষে নদীর জন্য পাগল হওয়া সাজে না—এই বিষয়টি নদেরচাদ বুঝতে পারে।
নদীর বিদ্রোহ বড় প্রশ্ন উত্তর
1. “নদের চাঁদ সব বোঝে নিজেকে কেবল বুঝাইতে পারে না” – নদের চাঁদ কি বোঝে? নিজেকে বুঝাইতে পারে না কেন? বা,
/ “নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে” – কার কোন পাগলামির কথা বলা হয়েছে? বা,
/ ‘ত্রিশ বছর বয়সে নদীর জন্য নদের চাঁদের এর বেশি মায়া একটু অস্বাভাবিক’ – অস্বাভাবিক কেন?
উত্তর: কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদী বিদ্রোহ’ গল্পে ৩০ বছর বয়সী নদের চাঁদের নদীর প্রতি এত বেশি মায়া একটু অস্বাভাবিক। এ কথা নদের চাঁদ বোঝে।
নদের চাঁদের নদীর ধারে জন্ম সে নদীর ধারে মানুষ হইয়াছে। আজীবন নদীকে ভালবেসেছে। তিরিশ বছর বয়সেও এ ভালোবাসা ছাড়তে পারেনি। নদের চাঁদ একজন স্টেশন মাস্টার দিনরাত মেল প্যাসেঞ্জার আর মালগাড়ি গুলির তীব্র বেগে ছোটাছুটি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তার ওপর রয়েছে। এরূপ এক ব্যক্তির নদীর প্রতি পাগলামি সাজেনা- এ কথা নদের চাঁদ নিজে বোঝে কিন্তু তার মন কে সে বোঝাতে পারেনা।
2. “নদীকে এভাবে ভালোবাসি বার একটা কৈফিয়ত নদের চাঁদ দিতে পারে”- কোন প্রসঙ্গে একথা? নদের চাঁদ নদীকে ভালোবাসিবার কি কৈফিয়ত দিতে পারে?
উত্তর: কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদের চাঁদ পেশায় একজন স্টেশন মাস্টার তার বয়স ৩০। কিন্তু এই বয়সে একজন দায়িত্ববান স্টেশন মাস্টারের নদীর প্রতি অপরূপ ভালোবাসা, মায়ার একটা কিফিয়ত দেওয়ার কথা লেখক বলেন।
নদের চাঁদের নদীকে এভাবে ভালোবাসার কৈফিয়ত টি হল – তার জন্ম নদীর ধারে, নদীর ধারে সে মানুষ হয়েছে চিরদিন সে নদীকে ভালোবেসেছে।
3. ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদের চাঁদের নদীর প্রতি যে ভালোবাসা তা আলোচনা কর।
উত্তর : কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদের চাঁদের নদীর প্রতি অপরূপ ভালোবাসা, মায়ার কথা আমরা জানতে পারি।
ছোটবেলা থেকেই নদের চাঁদের জীবনের সঙ্গে নদী জড়িত। পাঁচ দিন অবিরত বৃষ্টির হওয়ার কারণে নদের চাঁদ নদীকে পাঁচ দিন ধরে দেখতে না পেয়ে ছেলে মানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করছিল।
নদের চাঁদ দেশের ক্ষীন স্রোতা নদীটির সাথেও মমতায় জড়িয়ে ছিল। অনাবৃষ্টির কারণে নদীর ক্ষীন স্রোত ধারা শুকিয়ে গেলে এমন ভাবে কেঁদেছিল যেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগতে ভুগতে কোন পরমাত্মীয় মারা গেছে।
বর্ষার জলে পরিপুষ্ট নদীর সঙ্গে খেলার লোভ নদের চাঁদের এতটাই যে তার বউকে প্রাণপণে লেখা পাঁচ পৃষ্ঠা ব্যাপী বিরহ বেদনা পূর্ণ চিঠিটির এক এক পাতা ছিড়িয়া দুমড়াইয়া নদীর জলে ফেলিয়া দিল।
এই সকল ঘটনা অবল্মবনে আমরা নদের চাঁদের তার নদীর প্রতি যে অপরুপ ভালোবাসা তা সম্পর্কে খুব ভালো করে বুঝতে পারি।
Next:
নদীর বিদ্রোহ প্রশ্ন উত্তর PDF
নদীর বিদ্রোহ থেকে সাজেশন এর প্রশ্ন উত্তর গুলোর PDF টি নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে সংগ্রহ করে নাও।
নদীর বিদ্রোহ FAQ
নদীর বিদ্রোহ গল্পটি যার লেখা তার আসল নাম কি?
নদীর বিদ্রোহ গল্পটি যার লেখা তার আসল নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
নদীর বিদ্রোহ গল্পে স্টেশন থেকে ব্রিজের দূরত্ব কত ছিল?
নদীর বিদ্রোহ গল্পে স্টেশন থেকে ব্রিজের দূরত্ব ছিল এক মাইল।
I’m Sourav, (BA) Graduate. Specialized content writer. Get accurate information from Moneygita.