শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী গল্পের mcq saq ও বড় প্রশ্ন উত্তর এখানে দেওয়া হলো। পথের দাবী প্রশ্ন উত্তরের একটি PDF আর্টিকেলের শেষে দেওয়া হয়েছে।
Table of Contents
পথের দাবী প্রশ্ন উত্তর 2024
শ্রেণী | দশম শ্রেণী (মাধ্যমিক) |
বিষয় | মাধ্যমিক বাংলা |
গল্প | পথের দাবী |
লেখক | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
প্রশ্নের ধরন | Only সাজেশন ভিত্তিক |
Target | মাধ্যমিক 2024 |
এখানে থাকা পথের দাবী প্রশ্নোত্তরে কেবল সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন গুলি রয়েছে। যা বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পথের দাবী mcq saq প্রশ্ন উত্তর
■ কমবেশি ২০টি শব্দে উত্তর দাও। (প্রশ্নমান-১)
১. পুলিশস্টেশনে বসে-থাকা বাঙালিরা কোথায় কাজ করত ?
উত্তর: পুলিশস্টেশনে বসে-থাকা বাঙালিরা বর্মা বর্মা ওয়েল কোম্পানির তেলের খনির কারখানায় কাজ করত।
2. “অপূর্ব মুগ্ধ হইয়া সেইদিকে চাহিয়া ছিল”—অপূর্ব কী দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রের পোশাক-পরিচ্ছদ, এ ছাড়া তাঁর চোখের দীপ্ততা, ঔজ্জ্বল্যতা ও গভীরতা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল।
3. রামদাসের দুই চোখ ছল ছল করার কারণ কি ?
উত্তর: ফিরিঙ্গি ছোঁড়াদের দ্বারা অপূর্বকে লাথি মারা এবং স্টেশনমাস্টার কুকুরের মত অপূর্বকে তাড়িয়ে দিয়েছেন. আশেপাশের হিন্দুস্থানি লোকে এতে খুশি হন. এই কথা শুনে রাম দাসের চোখ ছলছল করে ওঠে।
4. “আর যাই হোক, যাঁকে খুঁজছেন তাঁর কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখুন।”—কার খোঁজ করা হচ্ছিল ?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে খোঁজ করা হচ্ছিল।
5. “বুড়োমানুষের কথাটা শুনো।”— বুড়োমানুষের কোন কথা শুনতে বলা হয়েছে?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের শরীরের অবস্থা দেখে বুড়োমানুষ অর্থাৎ নিমাইবাবু তাকে গাঁজা খেতে নিষেধ করেছেন। তাঁর এই কথাটাই শুনতে বলা হয়েছে।
6. অপূর্বর পিতাঁর বন্ধু হলেন- নিমাইবাবু।
7. “দয়ার সাগর। পরকে সেজে দি নিজে খাইনে “-বক্তা হলেন- জগদীশবাবু।
8. “তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন ?”— কোন্ ‘বস্তুটি পকেটে ছিল?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে একটি গাজার কলকে ছিল।
9. ভামো যাত্রায় ট্রেনে অপূর্বের কে কে সঙ্গী হয়েছিল ?
উত্তর: ভামো যাত্রায় ট্রেনে অপূর্বর সঙ্গী হয়েছিল আরদালি ও অফিসের একজন হিন্দুস্থানি ব্রাহ্মণ পিয়াদা।
10. গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর পুনরায় কোথায় দেখা হয়েছিল।
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর পুনরায় রেলস্টেশনে দেখা হয়েছিল।
11. “কিন্তু ইহা যে কত বড় ভ্রম”- ভ্রমটি কি ?
উত্তর: পথের দাবী গল্পাংশে ট্রেনের কামড়ায় অপূর্বের ভরসা ছিল যে প্রভাত কাল পর্যন্ত তাঁর নিদ্রায় কোন ব্যাঘাত ঘটবে না।
12. “পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল” – কি দেখা গেল ?
উত্তর: সুমুখের হল ঘরে ছয় বাঙালি মোট-ঘাট লইয়া বসিয়া আছে।
13. “চাকরির উদ্দেশ্যে রেঙ্গুনে চলিয়া আসিয়াছে” – কারা রেঙ্গুনে আসিয়াছে ?
উত্তর: ব্রহ্মে বর্মা ওয়েল কোম্পানির তেলের খনির কারখানায় কাজ করা মিস্ত্রি।
14. পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক এর বয়স কত ?
উত্তর: ত্রিশ বত্রিশ এর অধিক নয়।
15. “ভয় হয় এখানে খেলা চলিবে না” – কোথায় খেলা চলবেনা ?
উত্তর: সব্যসাচী মল্লিক এর অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টিতে।
16. “মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে সাহস করে না” – কোন স্থানের কথা এখানে বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর: সব্যসাচী মল্লিক এর অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টিতে।
17. অপূর্ব মুগ্ধ হইয়া কোথায় চাহিয়াছিল ?
উত্তর: সব্যসাচী মল্লিকের দুটি চোখের দৃষ্টির দিকে।
18. গিরিস মহাপাত্রের ট্যাক হইতে কি পাওয়া গেল ?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাক হইতে একটি টাকা ও গন্ডা ছয়েক পয়সা পাওয়া গেল।
19. গিরীশ মহাপাত্রের পকেট হইতে কি বাহির হইয়াছিল ?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের পকেট হইতে একটা লোহার কম্পাস, মাপ করিবার কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি একটা দেশলাই ও একটা গাঁজার কলিকা বাহির হইয়াছিল।
20. “তুমি গাঁজা খাও” – কথাটি কে কাকে বলেছিল ?
উত্তর: নিমাই বাবু গিরীশ মহাপাত্র কে কহিলেন।
21. “তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন” – কোন বস্তুর কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে থাকা গাঁজার কলিকা।
22. “সে যে বর্মায় এসেছে এ খবর সত্য” – কার বর্মায় আসার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক।
23. “এই জানোয়ার টাকে ওয়াচ করবার কোন দরকার নেই বড়বাবু” – কাকে ওয়াচ না করার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্র কে।
24. কার কৃপায় অপুর্বের ঘর চুরির সময় টাকা করি ছাড়া আর সমস্ত বাঁচিয়া ছিল ?
উত্তর: খ্রিস্টান মেয়েটার কৃপায়।
25. অপূর্বের বাবা কার চাকরি করে দিয়েছিলেন ?
উত্তর: অপূর্বের বাবা নিমাইবাবু চাকরি করে দিয়েছিলেন।
26. “তাছাড়া আমার বড় লজ্জা” – লজ্জার কারণ কি ?
উত্তর: অপূর্বের বাবার বন্ধু নিমাই বাবু দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী সব্যসাচী মল্লিক কে গ্রেফতাঁর করতে চাই, তাই লজ্জার কারণ অপূর্বের।
27. “পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল” – কি দেখা গেল ?
উত্তর: সুমুখের হল ঘরে ছয় বাঙালি মোট-ঘাট লইয়া বসিয়া আছে।
28. “তিনি ঢের বেশি আমার আপনার” – কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: পথের দাবির গল্প পুলিশেরা যাকে দেশের টাকায় দেশের লোক দিয়ে খুঁজেছেন অর্থাৎ সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলা হয়েছে।
29. “তাঁর লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নিচে কম জলে না” – কোন লাঞ্ছনা ?
উত্তর: বিনা দোষে ফিরিঙ্গি ছোড়ারা অপূর্বকে যখন লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দেয় এবং এর প্রতিবাদ করতে গেলে স্টেশন মাস্টার দেশি লোক বলে দেশের স্টেশন থেকে কুকুরের মত দূর করে দেওয়ার লাঞ্ছনা
30. “এই সুখবরে তাঁরা সব খুশি হয়ে গেল” – সুখবর টা কি ? কারা খুশি হল ?
উত্তর: ফিরিঙ্গি ছোঁড়াদের লাঠির জোরে অপূর্বের যে হার পাঁজরা ভেঙে যায়নি এ কথা শুনে স্টেশনে থাকা হিন্দুস্থানি লোকেরা খুশি হয়েছিল।
পথের দাবী বড় প্রশ্ন উত্তর
1. “বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলোআনায় বজায় আছে” – বাবুটি কে ? তাঁর স্বাস্থ্য ও শখের পরিচয় দাও।
বা,
“দৃষ্টিপাত করিয়া মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল” – কে হাসছিলো ? তাঁর হাসির কারণ কি?
বা,
গিরীশ মহাপাত্রের বেশ ভূষার পরিচয় দাও।
উত্তর : আলোচ্য অংশ অংশটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ রচনাংশ থেকে গৃহীত। এখানে বাবু বলতে গিরীশ মহাপাত্রের কথা বলা হয়েছে।
অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করেছিল।
গিরীশ মহাপাত্র কাশতে কাশতে নিমাই বাবুর সামনে প্রবেশ হলো। গায়ের রং খুব ফরসা, রৌদ্রে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে। তাঁর বয়স ত্রিশ বত্রিশ এর কাছাকাছি। খুব রোগা, সামান্য কাশির পরিশ্রমে হাঁপাতে লাগলো।
গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা : গিরীশ মহাপাত্রের মাথার সম্মুখ দিকের চুল বড় বড় কিন্তু ঘাড় ও কানের দিকের চুল খুব ছোট ছোট করে ছাঁটানো। মাথায় চেরা সিথি- অপর্যাপ্ত তৈলনিষক্ত, কঠিন, রুগ্ন কেস থেকে নিদারুণ নেবুর তেলের গন্ধ ছাড়ছে। গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি। বুক পকেটে বাঘ আঁকা রুমাল। পরনে বিলাতি মিলের কালো মকমল পাড়ের সূক্ষ শাড়ি, পায়ে সবুজ রঙ এর দুল মোজা। হাঁটুর উপরে লাল ফিতে দিয়ে বাঁধানো। হাতে একগাছি হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি।
2. “তার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নিচে কম জলে না, তলওয়ারকর” – বক্তা কে ? কোন লাঞ্ছনার কথা বলা হয়েছে ?
বা,
“মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যায়” – বক্তা কে ? একথা বলার কারণ কি ?
বা,
“আমি ভীরু, কিন্তু তাই বলে অবিচারে দণ্ড ভোগ করার অপমান আমাকে কম বাজে না রামদাস” – বক্তা কে ? উক্তিটির কারণ কি ?
উত্তর : জনপ্রিয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবি’ রচনাংশ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত। উক্তিটির বক্তা হলো অপূর্ব।
একদিন কিছু ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা মিলে অপূর্বকে লাথি মেরে প্লাটফর্ম থেকে বার করে দিয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল বহু হিন্দুস্থানের লোক এর মধ্যে কেউ অপূর্বের এই ঘটনার প্রতিবাদ করেনি। এমনকি লাথির চোটে অপূর্বের যে হাড়-পাঁজরা ভেঙে যায়নি এই খবর শুনে খুশি হয়েছিল। অপূর্ব তাঁর এই অত্যাচারের প্রতিবাদ স্টেশন মাস্টারের কাছে করতে গেলে স্টেশন মাস্টার সাহেব অপূর্বকে দেশি লোক বলে কুকুরের মতো দেশের স্টেশন থেকে দূর করে দেয়। তাই অপূর্ব রামদাসের কাছে বলেছে- “তাঁর লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নিচে কম জলে না তলোয়ারকর।”
3. “তিনি ঢের বেশি আমার আপনার” – এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? কথা বলার কারণ কি ?
উত্তর: জনপ্রিয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ রচনাংশ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত। উক্তিটির বক্তা হলেন অপূর্ব। আলোচ্য উক্তিটির দ্বারা বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক কে বোঝানো হয়েছে।
সব্যসাচী মল্লিক ছিলেন একজন বিপ্লবী যিনি পরাধীন ভারতবর্ষকে স্বাধীন করানোর চেষ্টায় লড়াই করেছিলেন। পথের দাবী পাঠ্যাংশ অবলম্বনে আমরা দেখি সব্যসাচী গিরীশ মহাপাত্র ছদ্মবেশে রেঙ্গুনে এসেছে এবং এখানে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছে। অপূর্ব একজন প্রকৃত দেশপ্রেমী তিনি দেশের জন্য লড়াই করা বিপ্লবীদের সমর্থন করতেন। তিনি জানতেন যে দেশের পুলিশেরা দেশের টাকায় বিপ্লবী সব্যসাচীকে ধরার চেষ্টা করছে। এই পুলিশের কর্তা ছিল তাঁর কাকা। যা অপূর্বের বাবার বন্ধু- এর জন্য অপূর্ব নিজে লজ্জিত ছিল। যে দেশকে ফিরিঙ্গি থেকে স্বাধীন করতে চায় সেই সব্যসাচী অপূর্বের পুলিশ কর্তাঁর থেকে অনেক বেশি আপনার, অনেক বেশি কাছের।
______________________________________________________________________
(****ওপরে উপস্থিত পথের দাবী প্রশ্নোত্তরে পরবর্তীতে কিছু প্রশ্ন বেশি গুরুতর মনে হলে তা এখানে যোগ করে দেওয়া হবে তাই আমাদের আপডেটেট পোস্টটি দেখার জন্যই পোস্টটি কে সেভ করে রাখবে।****)
Next:
Class 10 Pother Dabi প্রশ্ন উত্তর PDF
I’m Sourav, (BA) Graduate. Specialized content writer. Get accurate information from Moneygita.