[PDF] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধ রচনা – Rabindranath Thakur Rachana

রচনার বিষয়: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ রচনা (Rabindranath Thakur Bangla rachana)।

অভিজ্ঞ শিক্ষিকা দ্বারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ রচনা সুন্দর ভাবে লিখিত হল নিচে। সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনার একটি PDF দেওয়া হয়েছে যা তোমরা ফোনে সেভ করে রাখতে পারবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই রচনাটি সম্পূর্ণ পর খুবই সহজ এবং ইনফোরমেটিভ।

Table of Contents

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা

কবিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম৭ই মে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতাঁর জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে
পিতা ও মাতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবী
ছদ্দনামভানুসিংহ
স্ত্রীর নামমৃণালিনী দেবী
বিখ্যাত রচনাবলীগীতাঞ্জলী, রবীন্দ্র রচনাবলী, গোরা, আমার সোনার বাংলা, ঘরে বাইরে
মৃত্যু তারিখ২২ শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে ৮০ বছর বয়স

পঁচিশে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। এই দিনটিতে সকলেই কবিগুরু কে বিশেষভাবে স্মরণ করে। কেউ গান গেয়ে, কেউ নৃত্য পরিবেশন করে, আবার কেউ আবৃত্তি করে, নাটকের মাধ্যমে। এই বিশেষ দিনে চলুন আমরা তাঁকে স্মরণ করি তাঁর জীবনী জানার মাধ্যমে। 

মানুষ মাত্রই মরণশীল। জন্মালে একদিন মরতে হবেই। কিন্তু কিছু মানুষ অমর হয়ে থাকেন তাঁদের কর্মে। সেই রকমই একজন মানুষ হলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে যাঁর অবাধ বিচরণ সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী আমাদের সকলের জানা দরকার। 

ভূমিকা:

কবি, সাহিত্যিকরা হলেন কোন জাতির সংস্কৃতি ও সভ্যতাঁর ভিত্তি। তাঁরাই হলেন মানব সভ্যতাঁর আলোক স্তম্ভ। তাঁদের সৃষ্টি যেমন আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে তেমনি আনন্দও দেয়। 

বাংলা সাহিত্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে যে মানুষটির নাম প্রথমেই মনে আসে, যিনি তাঁর সাহিত্যকীর্তির জন্য বাঙালির রক্তে আজও মিশে আছেন তিনি হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি একাধারে লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, উপন্যাসিক ও সংগীত শিল্পী। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। 

কবিগুরুর জন্ম ও বংশ পরিচয়:

২৫ শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে, ৭ই মে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতাঁর জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতাঁর নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতাঁর নাম সারোদা দেবী। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের  ছাত্র জীবন:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বরাবরই ছিলেন প্রকৃতি প্রেমী। চার দেয়ালের মধ্যে স্কুল জীবনের শিক্ষা ব্যবস্থা তাঁর কোন কালেই পছন্দের ছিল না। তাই কলকাতাঁর বিভিন্ন নামি স্কুল যেমন- ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুল ইত্যাদি স্কুলে তিনি ভর্তি হলেও বেশি দিনের জন্য মন টেকাতে পারেননি। 

এর পিছনে প্রধান কারণ ছিল স্কুল শিক্ষার প্রতি অনীহা। স্কুলের বদ্ধ পরিবেশে পড়াশোনা করার এই রীতি তাকে কোন ভাবেই বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতে দেয়নি। এই কারণেই পরে গৃহশিক্ষক রেখে বাড়ির খোলামেলা পরিবেশে কবিগুরুর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

Rabindranath thakur photo

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ডে যান। সেখানে বাইসনের (ব্রাইটনের)একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন তিনি। এরপর তিনি ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনে আইন(বিদ্যা) নিয়ে পড়া শুরু করেন। 

কিন্তু সাহিত্য চর্চা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে এতটাই আকর্ষণ করে যে, আইন নিয়ে পড়া আর সম্পূর্ণ করা হয়নি তাঁর। বিশ্ব বিখ্যাত এই মানুষটি বুঝিয়ে দিয়ে যান যে জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি নয়, জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা এবং অর্জিত জ্ঞান কে আত্মস্থ করাই জীবনের মূল মন্ত্র হওয়া উচিত। 

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘নবজাতক’ কাব্যের ভূমিকায় লিখেছিলেন, “আমার কাব্যের ঋতু পরিবর্তন ঘটেছে বারে বারে“। অর্থাৎ কাব্য সাধনায় তাঁর বার বার পরিবর্তন ঘটেছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বয়ে চলাই ছিল রবীন্দ্র কবি জীবনের ধর্ম।

‘কল্পনা – ক্ষণিকা – নৈবেদ্য – খেয়া’ র মধ্য দিয়ে যে নতুন প্রবাহ শুরু হয়েছিল তা গীতাঞ্জলি- গীতিমাল্য-গীতালির মধ্যে দিয়ে তা নিঃশেষিত হয়েছে। এরপর বলাকা, পূরবী ও মহুয়া থেকে পুনশ্চ, শেষ সপ্তক কাব্য গুলিতে নতুন নতুন চিন্তাভাবনার ছোঁয়া যেমন দেখা গেছে তেমনি শেষ  দিকের কাব্যগুলিতে মর্ত  প্রীতি ও মানুষের প্রতি গভীর নৈকট্য স্থাপিত হতে দেখা গেছে।

 যা তাঁর কাব্যগ্রন্থ গুলি কে আরো মাধুর্যপূর্ণ করে তুলেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। 

প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ তাঁর জীবন নিষ্ট মননের লিখিত রূপ। ভারতী, সাধনা, ভান্ডার, বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদনা সূত্রেই তাঁর বেশিরভাগ প্রবন্ধ রচিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ হল ‘ভুবন মোহিনী প্রতিভা’। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হল- ‘স্বদেশ‘, ‘ধর্ম ‘, ‘আলোচনা ‘, ‘সমালোচনা‘,  ‘ছিন্নপত্র‘ ইত্যাদি। শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য জিজ্ঞাসা, অর্থনৈতিক চিন্তা, রাজনৈতিক চিন্তা, সমাজ সংস্কার সম্পর্কিত সমস্যা, ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্ম ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। 

নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি হিসেবে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করলেও নাট্যকার হিসেবে তাঁর খ্যাতি কিছু কম ছিল না। বিশেষ করে রূপক সাংকেতিক নাটকে তাঁর কৃতিত্ব চোখে পড়ার মতো। রক্ত করবী, রাজা, মুক্তধারা, ডাকঘর প্রভৃতি নাটক গুলির নাট্য বস্তু, নাট্য রস এখনো মানুষকে আকর্ষণ করে। 

শুধু নাটক রচনা নয়, নাট্যমঞ্চ, নাট্য প্রযোজনা, নাট্যাভিনয় সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অত্যাধুনিক। তাঁর নাটকের বিষয়,সংলাপ, চরিত্র, সংগীত আজও মানুষকে তাঁর নাটকের প্রতি আকৃষ্ট করে।

নাটক যে একটি সূক্ষ্ম কল রূপ সেটি তিনিই প্রথম দেখিয়ে গেছেন। তাঁর রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল –  ‘বাল্মিকী প্রতিভা’ (১৮৮১),  ‘চিত্রাঙ্গদা’ (১৮৯২),  ‘বিদায় অভিশাপ’ (১৮৯৪),  ‘ রাজা ও রানী ‘ (১৮৮৯), ‘ মুকুট ‘ (১৯০৮),  ‘ বাঁশরী ‘ (১৯৩৩) ‘ গোড়ায় গলদ ‘ (১৯৯২), ‘বসন্ত’ (১৯২৩), ‘ শারদ উৎসব ‘ (১৯০৮)। 

ঔপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

উনবিংশ ও বিংশ শতকের বাঙালি জীবনের ভাবধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের বিষয়। এই সময়ে মানুষ ও সমাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব, মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, মানুষের সঙ্গে সংসারের দ্বন্দ্ব, হিন্দু ও ব্রাহ্ম ধর্ম অবলম্বীদের মধ্যে সংঘাত, রাজনীতি, স্বদেশ প্রেম এবং ব্যক্তির অন্তর মুখিতা কে তিনি খুব সুন্দর ভাবে তাঁর উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।

চোখের বালি‘ থেকেই বাংলা উপন্যাসের মোড় ঘুরেছিল। ‘গোড়া‘র মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয় সেই সময়ের  শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের সমগ্র রূপ। বঙ্গভঙ্গের পটভূমিকায় রচিত হয় ‘ঘরে বাইরে‘, ‘চতুরঙ্গ‘ উপন্যাসের আঙ্গিকের বৈচিত্র্য আমাদের চমকিত করে তোলে। আর ‘শেষের কবিতা‘র মতো রোমান্টিক উপন্যাস এবং তাতে যা ভাষার কারুকার্য দেখা যায় তা বাংলা সাহিত্যে কমই আছে।

ছোটগল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

পদ্মা তীরে জমিদারী দেখাশোনা করার সময় সাধারণ মানুষের খুব কাছে পৌঁছে ছিলেন তিনি। সেই সময় সাধারণ মানুষের জীবন সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করেছিলেন তাঁর বেশিরভাগই প্রকাশিত  হয়েছে তাঁর ছোট গল্পে। 

গল্পগুলিতে দেখা যায় গ্রাম বাংলার প্রকৃতি ও মানুষ, মানুষের সুখ- দুঃখ, আশা- নিরাশা, গ্রামীণ জীবনের সংস্কার, বিশ্বাস এবং অতিপ্রাকৃতিক উপাদান। গল্পগুলির বিষয় শিল্পকৌশল অনবদ্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোট গল্প গুলো হল- ছুটি, পোস্টমাস্টার, একরাত্রি, সুভা, ক্ষুধিত পাষাণ, দান প্রতিদান, জীবিত ও মৃত, স্ত্রীর পত্র, ল্যাবরেটরি ইত্যাদি। 

চরিত্রের বিবর্তন, গল্পের নাটকীয়ভাবে পরিসমাপ্তি, অতিপ্রাকৃত বিষয় গুলো মানুষের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণের কাজে লাগানো, প্রকৃতির উন্মুক্ত পটভূমিকায় মানব মনের বিশ্লেষণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবশ্যই একজন অদ্বিতীয় ছোট গল্পকার। 

সংগীত কার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:

বাংলা গানের ধারায় উল্লেখযোগ্য শিল্পীদের মধ্যে একজন হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি আনুমানিক ১২৩২ টি গান রচনা করেছিলেন। এই গানগুলি গীতবিতান নামক গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। তাঁর গানের কথায় উপনিষদ, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, বাউল দর্শনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। 

অন্যদিকে তাঁর গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এমনকি বাংলার লোকসংগীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সংগীত এবং পাশ্চাত্য লোকসঙ্গীতের প্রভাব ও ধরা পড়ে। 

আমাদের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে‘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ও আমার সোনার বাংলা ‘ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। সর্বোপরি সুখে- দুঃখে, আনন্দ – বেদনায়,  উৎসবে-অনুষ্ঠানে, মিলনে- বিরহে, জীবনে-মৃত্যুতে তাঁর লেখা গান মানুষকে প্রেরণা দেয়, শান্ত করে, উজ্জীবিত করে তোলে। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মজীবন:

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আছে বিভিন্ন দিক। তিনি শুধু বাংলা সাহিত্যকেই সমৃদ্ধ করেননি, পরাধীন ভারতবর্ষে পরাধীনতাঁর নাগপাশ থেকে ভারতবাসীকে মুক্ত করার জন্য নানান কর্ম পন্থা অবলম্বন করেছেন। 

তিনি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি ত্যাগ করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার অন্য রূপ দেন শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এছাড়াও তিনি শ্রীনিকেতনে স্থাপন করেছিলেন পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র। 

মৃত্যু:

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ৭ই অগাস্ট, ২২ শে শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে ৮০ বছর বয়সে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির নিজ বাসভবনে মহামানবের মহাপ্রয়াণ ঘটে। 

উপসংহার:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে বর্তমান ছিল ঋষি সত্তা, যার মাধ্যমে তিনি সমস্ত খন্ডের মধ্যে অখন্ড কে দেখেছেন, হিংসা বিদ্বেষ এর মধ্যেও উপলব্ধি করেছেন প্রেমকে, অন্ধকারের উৎসেও সন্ধান করে গেছেন আলোর, পরাধীনতাঁর নাগপাশে আবদ্ধ দেশবাসীর ক্লীবতা, দীনতাকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছেন। 

তাই তিনি ক্ষুদ্র, খন্ড, দ্বেষ, হিংসা, দীনতাঁর ঊর্ধ্বে গিয়ে হয়ে উঠেছেন মহান দার্শনিক ও মহৎ পুরুষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের যে অমূল্য সম্পদ দিয়ে গেছেন তাঁর জন্য আমরা তাঁর কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবো।

 তাঁর এই অমূল্য সম্পদ সম্ভার কোন একজন মানুষের পক্ষে জীবন ভর পাঠ করেও শেষ করা সম্ভব নয়। তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও দ্বিতীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাওয়া অসম্ভব। তিনি চিরকালের অদ্বিতীয় নবীন পুরুষ।

***Madhyamik Bengali Suggestion 2023

রচনাটির লেখিকা: অর্পিতা মাজিল্যা

_________________________________________

Next:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ রচনা PDF

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ রচনা টির PDF টি নিচে দেওয়া লিংক থেকে সংগ্রহ করে নাও।

Rabindranath Thakur FAQ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখা প্রথম কবিতা নাম কি?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখা প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম “অভিলাষ” ১৮৭৮ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা ও মাতার নাম কি?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতার নাম সারদা দেবী

রবীন্দ্রনাথের পিতার নাম কি?

রবীন্দ্রনাথের পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কোথায়?

বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান হলো কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা কোনটি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা হলো ‘গীতাঞ্জলি‘ যার জন্য তিনি নোবেল পুরুষ্কার পেয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শেষ কবিতা কোনটি?

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতাটি মুখে শুনে অন্যের দ্বারা লেখানো হয়েছে। কবিগুরু শরীর অসুস্থ থাকায় তিনি এ কবিতাটির নামকরণ করতে পারেননি এবং পরে সংশোধনও করতে পারেননি। কবিগুরুর শেষ কবিতাটি হল-

“তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে,
হে ছলনাময়ী।
মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে
সরল জীবনে।
এই প্রবঞ্চনা দিয়ে মহত্ত্বেরে করেছ চিহ্নিত;
তার তরে রাখ নি গোপন রাত্রি।
তোমার জ্যোতিষ্ক তা’রে
যে-পথ দেখায়
সে যে তার অন্তরের পথ,
সে যে চিরস্বচ্ছ,
সহজ বিশ্বাসে সে যে
করে তা’রে চিরসমুজ্জল।
বাহিরে কুটিল হোক অন্তরে সে ঋজু,
এই নিয়ে তাহার গৌরব।
লোকে তা’রে বলে বিড়ম্বিত।
সত্যেরে সে পায়
আপন আলোকে ধৌত অন্তরে অন্তরে।
কিছুতে পারে না তা’রে প্রবঞ্চিতে,
শেষ পুরস্কার নিয়ে যায় সে যে
আপন ভান্ডারে।
অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে
সে পায় তোমার হাতে
শান্তির অক্ষয় অধিকার।”

কবিগুরুর মৃত্যুর কেবল সাত দিন পূর্বেই, তাঁর লেখা শেষ এই কবিতাটি দিয়ে গেছেন আমাদের।


কত বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার প্রথম ছোট গল্প রচনা করেন?

কেবল ষোলো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার প্রথম ছোট গল্প রচনা করেন। এই ছোট গল্প টির নাম হলো “ভিখারিণী” যা ১৮৭৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম কি?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা কে?

কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা হলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনাRabindranath Thakur Rachana টি ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সাথে শেয়ার করবে।

2 thoughts on “[PDF] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধ রচনা – Rabindranath Thakur Rachana”

Leave a Comment