সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর সাজেশন | Sirajuddaula Class 10 Suggestion

Class 10 সিরাজদ্দৌলা নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর সাজেশন

সিরাজদ্দৌলা নাটক বড় প্রশ্ন উত্তর

সিরাজদৌলা সাজেশন এর জন্য কেবল নটি ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলো

শ্রেণীদশম শ্রেণী (মাধ্যমিক)
বিষয়মাধ্যমিক বাংলা
নাটকসিরাজদ্দৌলা
নাট্যকারশচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
প্রশ্নের ধরনOnly সাজেশন ভিত্তিক
Targetমাধ্যমিক 2024
Created ByMoneygita Team

কমবেশি ১২৫টি শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও। (প্রশ্নমান-৪) 

1. ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাটকে সিরাজদ্দৌলার চরিত্রটি যেভাবে পাওয়া যায় লেখ।

উত্তর: নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র সিরাজের বিশেষ কয়েকটি চরিত্র বিশিষ্ট গুলি হল-

স্বদেশ প্রেম: বাংলার দুর্দিনে সিরাজ ব্যক্তিগত সার্থকে দূরে রেখে এবং সভাসদদের ষড়যন্ত্রকে ক্ষমা করে বাংলাকে ইংরেজদের শক্তি থেকে বাঁচাতে সভাসদের সাহায্য প্রার্থনা করে যুদ্ধ এর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। 

আত্মসমালোচক:  সিরাজ ষড়যন্ত্র কারীদের ভুলকে চিহ্নিত করার সময় তিনি বুঝতে পারেন তার নিজস্ব কিছু ভুল রয়েছে। তিনি নিজের ভুলকে স্বীকার করেন এবং তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করেন।

সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত: সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত সিরাজ বাংলার দুর্দিনে জানিয়েছেন যে- ‘বাংলা শুধু হিন্দুর নয় বাংলা শুধু মুসলমানের নয় মিলিত হিন্দু মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা’। আমাদের একত্র শক্তির দ্বারা বাংলাকে ইংরেজদের থেকে রক্ষা করতে হবে।

উদার ও আদর্শবাদী: বাংলার নবাব সিরাজ ব্যক্তিগত শত্রুতার চেয়ে স্বদেশী শত্রুতাকে প্রাধান্য দিয়ে সভাসদদের বলেছেন- মাতৃভূমিকে জয় লাভে আমার সাহায্য করুন। বিবাদ পরিত্রাণ হলে আপনারা যা দন্ড দেবেন মাথা পেতে মেনে নেব। আমায় অযোগ্য মনে হলে এই সিংহাসন ছেড়ে দিতেও রাজি।

দুর্বল মানসিকতা: সিরাজ শত্রুপক্ষের চক্রান্তকে বুঝতে পেরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।

 নবাব সিরাজ নিজের মানসিক দুর্বলতাকে স্বীকার করে জানিয়েছেন- ‘আমি পারি না শুধু আমি কঠোর নই বলে’। 

2. ”সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ অবলম্বনে ঘসেটি বেগমের চরিত্র আলোচনা কর।

উত্তর: নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত সিরাজদৌলা নাট্যাংশের একটি অন্যতম চরিত্র ঘসেটি বেগমের বিশেষ চরিত্র বৈশিষ্ট গুলি হল – 

ষড়যন্ত্রকারী: ঘসেটি বেগমের ইচ্ছে ছিল আলীবর্দির মৃত্যুর পর তার স্বামী বাংলার মসনদের অধিকারী হবেন। কিন্তু তার স্বামীর মৃত্যুর হয়ে গেলে বাংলার নবাব হন সিরাজ। যা তিনি মেনে নিতে পারেননি এবং ইংরেজ ও রাজসভার বিশিষ্ট্য ব্যক্তি গণ দের সাথে মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র রচনা করেন। 

প্রতিহিংসা পরায়ণ: বাংলার সিংহাসনের সিরাজকে নবাব হতে দেখে তার মনোবাসনার ধ্বংস হয়ে যায়, রাজনৈতিক কিছু কারণে সিরাজ তার নিজ মাসিকে গৃহবন্দী করে রাখার বেদনা ঘসেটি বেগমকে প্রতিহিংসায় জ্বালিয়েছে। তিনি নিজেই নিজেকে বলেছেন ‘আমার রাজ্য নেই রাজনীতি ও নেই আছে শুধু প্রতিহিংসা’।

স্বার্থপরতা: বাংলার সিংহাসন পাওয়ার লোভ তাকে নিজের স্বদেশের সাথে কূটনীতি ও ধ্বংস করে তুলতে বাধ্য করে দিয়েছিল। নাট্যাংশে লুৎফা, তার সম্পর্কে বলেন “ওর নিঃশ্বাসে বিষ ওর দৃষ্টিতে আগুন ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প”।

3. “আমার এই অক্ষমতার জন্য তোমরা আমাকে ক্ষমা করো” – কে কেন কাদের কাছে এই মন্তব্য করেছে? ক্ষমা প্রার্থনা কেন? বা, “তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত” – বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত?

উত্তর : প্রদত্ত অংশটি নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ থেকে গৃহীত। 

আলোচ্য কথাটি নবাব সিরাজ ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।

ইংরেজদের দ্বারা ফরাসি বাণিজ্য কুটি ছেড়ে দেওয়ার দাবি এবং ফরাসিদের উপনিবেশ চন্দননগর  দখল করে নিলে ফরাসিদের এক প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা সিরাজের রাজ দ্বরবারে এসে উপস্থিত হন সাহায্যের আশায়। কিন্তু নবাব সিরাজ ফরাসিদের প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি থাকা সত্ত্বেও তিনি ফরাসিদের জন্য ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হতে পারলেন না। কারণ কলকাতা জয় এবং পূর্ণিয়ার শত্তকত জঙ্গের সংগ্রামে নবাবের বহু লোক ক্ষয় ও অর্থ ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও নবাবের মন্ত্রিমান্ডলও যুদ্ধের পক্ষপাতী নন। তাই নবাব নিজের এই অক্ষমতার জন্য ফরাসিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

5. (ক) “আছে শুধু প্রতিহিংসা”- বক্তা কে? প্রতিহিংসার কারণ কি ? 

                                                      বা,

(খ) “মনে হয়, ওর নিঃশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প”- ওর বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কি?

উত্তর: (ক) প্রদত্ত মন্তব্যটি নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে অন্তর্গত মন্তব্যটি করেছেন ঘষেটি বেগম।

       (খ) মন্তব্যটি নবাব সিরাজদৌলার পত্নী লুৎফা ঘসেটি বেগমের সম্পর্কে বলেছেন।

সিরাজের মাসি ঘসেটি বেগমের ইচ্ছা ছিল যে পিতা আলীবর্দের মৃত্যুর পর তার স্বামী বাংলার মসনদের অধিকারী হবেন। কিন্তু তার এই মনস্কামনা পূর্ণ হয় না তার স্বামীর আকস্মিক মৃত্যু হয়ে গেলে বাংলার নবাব হন সিরাজ। যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। এবং ইংরেজ ও রাজ সাভার বিশিষ্ট ব্যক্তি গন দের  সাথে মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্রর রচনা করেন। এ খবর নবাব সিরাজ জানতে পেরে মতিঝিল প্রাসাদ দখল করে নেন এবং রাজনীতির কারণে ঘসেটি বেগমকে প্রাসাদে নজর বন্দি করে রাখেন। 

// (ক) – এই পরিপ্রেক্ষিতেই ঘসাটি বেগম বলেন- ‘আমার রাজ্য নেই রাজনীতি নেই, আছে শুধু প্রতিহিংসা’।

// (খ) নবাবের পত্নী লুৎফা ঘসেটি বেগমএর কূটনীতি ও ষড়যন্ত্রকে বুঝতে পারেন। তিনি জানেন ঘসেটি বেগম তার স্বামীর নির্মম পরিনীতি চান। লুৎফা ঘসেটি বেগমের চরিত্রে ভয় ও আশঙ্কাই মন্তব্য করেছেন- ‘ওর নিঃশ্বাসে বিষ, দৃষ্টিতে আগুন ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প’। 

6. “জাতির সৌভাগ্য-সূর্য আজ অস্তাচলগামী”- উক্তিটির বক্তা কে? কে কাদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন? সর্বপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর। বা, “বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা”- বক্তা কে ? তার এরূপ মন্তব্যের কারণ কি? বা, (গ) “বাংলার এই দুর্দিনে আমাকে ত্যাগ করবেন না” কাদের উদ্দেশ্যে এই উক্তি? এর কারণ কি?

উত্তর : নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশ থেকে প্রশ্ন উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। বাংলার চরম দুর্দিনে  বক্তা বাংলার নবাব সিরাজ উক্তিটি করেছেন তার রাজ দরবারে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের উদ্দেশ্যে। 

বা, (গ) //বাংলা নবাব ”সিরাজদ্দৌলা” উক্তিটি করেছেন মীরজাফর ও তার অনুগামীদের উদ্দেশ্যে।

নবাব সিরাজদৌলা তার রাজদরবারে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ (জগৎশেঠ, রাজা রাজ বল্লভ, রায়দুর্লভ) প্রমুখের সামনে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন। আলিবর্দির মৃত্যুর পর বাংলার নবাব হন সিরাজদ্দৌলা। সিরাজের নবাব হওয়ার পর থেকে সিরাজ বিভিন্ন কূটনীতির শিকার হন। নবাবের কলকাতা দুর্গ দখলের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে নবাবের সাথে ব্রিটিশ কোম্পানির বিরোধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। ইংরেজরা চন্দননগর দখল করে নেয়, নবাবের আদেশ অমান্য করে কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ করে। 

শুল্ক না দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে থাকে। এ সকল অত্যাচারের বিরুদ্ধে জবাব দিতে নবাবের সাথে ইংরেজদের যুদ্ধ নিশ্চিত হয়ে ওঠে যা নবাবের দৃষ্টিতে ‘বাংলার বুকে নেমে এসেছিল দুর্যোগের ঘনঘটা’। তার উপর নবাবের নিজের মাসি রাজদরবারের বিশিষ্ট্য় ব্যক্তিগণ দের সাথে মিলিত হয়ে সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা করেন। সিপাহসালার মীরজাফর রাজার বিরুদ্ধে বলেছেন “আপনি যদি মানি লোকের এইরূপ অপমান করেন তাহলে আপনার স্বপক্ষে কখনো অস্ত্র ধারণ করব না”। 

চারিদিকের দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করে নিজের মাতৃভূমিকে শত্রু দ্বারা রক্ষার্থে রাজ দরবারের মন্ত্রী মন্ডল ও সভাসদদের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন এবং মাতৃভূমি বাংলার উদ্দেশ্যে বেদনাপূর্বক জানিয়েছেন- “বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা”।

7.” জানিনা আজ কার রক্ত সে চায় পলাশী, রাক্ষসী পলাশী” বক্তা কে ? সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর। * 

উত্তর : প্রশ্ন উদ্ধত উক্তিটি নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত ”সিরাজদ্দৌলা” নাট্যাংশ অন্তর্গত যার বক্তা হলেন নবাব সিরাজ।

বাংলার শেষ নবাব সিরাজ ইংরেজ দের সাথে পলাশী যুদ্ধের পরিণতি জানতেন না।  তিনি এটাও জানতেন না যে আজ তার স্বপক্ষে যারা দাঁড়িয়েছেন মীরজাফর, রাজবল্লভ তারা কাল তার পাশে থাকবে কিনা। অপরদিকে নবাবের নিজ মাসি ঘসেটি বেগম সিংহাসন লোভে সর্বদা সিরাজকে সর্বস্ব ধ্বংসের কামনায় অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে নবাব চারিদিকে অবিশ্বাষ ও শত্রু পক্ষ দ্বারা ঘেরা। তবে নবাব জানতেন সংঘর্ষ ছিল অনিবার্য ও সুনিশ্চিত। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সংগঠন স্থল ছিল পলাশী আগামী যুদ্ধের রক্তক্ষয় এবং ধ্বংসতার চিত্র বাংলার নবাব সিরাজের চোখে স্পষ্ট ভাসছে। সংবেদনশীল নবাব সিরাজের হৃদয় হাহাকার এবং মন্তব্য করছেন- “জানিনা, আজ কার রক্ত সে চায়, পলাশী, রাক্ষসী পলাশী”। 

8. “আজ বিচারের দিন না সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন”- কে কাকে কথাটি বলেছেন? বক্তার এমন উক্তির কারণ কি?

উত্তর: নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত ‘সিরাজদৌলা’ নাট্যাংশ থেকে প্রশ্ন উদ্ধত উক্তিটি গৃহীত। 

রাজদরবারে মীরজাফর যখন নবাবের উদ্দেশ্যে বলেন- “নবাব কি প্রকাশ্য দরবারেই আমার বিচার করতে চান?” মীরজাফরের এই প্রশ্নের উত্তরেই বাংলার নবাব সিরাজ আলোচ্য উক্তিটি করেন । 

নবাব বুঝতে পেরেছেন তার রাজকর্মীরা তারই বিরুদ্ধে ইংরেজদের সাহায্য করতে ইংরেজদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তার বিশিষ্ট ব্যক্তি মীরজাফর, রাজ বল্লভ এমনকি তার নিজের মাসি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রচনা করেছেন। তিনি সব জেনেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। কারণ তিনি জানেন এর ফলে হিতে বিপরীত ঘটবে বাংলার শাসন ক্ষমতা ভিতর থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে। মীরজাফর কে তার অপরাধের শাস্তি দিলে মীরজাফর ও তার অনুগামি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠবে। এর পরিবর্তে তাকে বুঝিয়ে তার ভুল ক্ষমা করে তাকে সৎ পথে আনলে বাংলার শাসন ক্ষমতা বজায় থাকবে। এই কারণেই নবাব বিচারের প্রসঙ্গ দূরে রেখে সৌহার্দ্য স্থাপনের কথা জানিয়েছেন। বাংলার দুর্দিনে সকলে একত্রিত হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়তে এবং মীরজাফরের মনে মাতৃভূমির প্রতি প্রেম জাগিয়ে মন্তব্য করেছেন “আজ বিচারের দিন না সৌহার্দ্য স্থাপনের দিন”। 

9. “তার আদেশে হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করবো” – কার আদেশের কথা এখানে বলা হয়েছে? তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। 

উত্তর: নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত সিরাজদৌলা নাট্যাংশে মীরমদন এই উক্তিটি করেছেন এখানে সিপাহশালার মীরজাফরের আদেশের কথা বলা হয়েছে। 

মীর মদন হলেন নবাব সিরাজের বিশ্বস্ত সেনাপতিদের মধ্যে একজন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে পলাশীর যুদ্ধে তার অবদান অতুলনীয়। তিনি তার শেষ প্রান অবধি নবাব সিরাজের হয়ে তথা বাংলার জন্য লড়েছেন। তিনি অসহায় নবাবের পাশে দাঁড়িয়ে মীরজাফরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন আবার পরবর্তীতে যখন মীরজাফর নবাবের স্বপক্ষে সর্বদা সহায়তা করার শপথ নেন তখন মীরমদন  শপথ নেন – ‘তার আদেশে হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করবো’। উক্তিটি তার দেশভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা এবং নবাবের প্রতি গভীর বিশ্বস্ততার পরিচয় দেয়। 

Next:

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর pdf

সিরাজদৌলা নাটকের প্রশ্ন-উত্তর সাজেশন এর PDF লিংক নিচে দেওয়া হল।

সিরাজদ্দৌলা নাটক FAQ

লুৎফা কে ছিলেন?

লুৎফা ছিলেন নবাব সিরাজদ্দৌলার তৃতীয় প্রিয়তম স্ত্রী।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পিতা মাতার নাম কি?

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পিতার নাম জৈনুদ্দীন আহমদ খান এবং মাতার নাম আমিনা বেগম।

প্রশ্ন উত্তর গুলি করার পূর্বে অবশ্যই সিরাজদৌলা নাটকে ভালো করে রিডিং পড়বে। ঘটনাগুলিকে বুঝবে এতে সুবিধা হবে প্রশ্নের উত্তরগুলি লেখার ক্ষেত্রে।

Leave a Comment