AI কী, AI full form in Bengali বা এ আই এর ফুল ফর্ম কি, AI এর প্রভাব।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজ্ঞান যেভাবে পুরনো মেশিন গুলোকে আধুনিক করে তুলছে তার কোনো তুলনা হয় না। মূলত বিজ্ঞানীরা মানুষের কাজ যাতে আরো সহজ লভ্য হয়ে ওঠে তারই চেষ্টা করছে। আর এই প্রযুক্তির নাম হলো AI।
Table of Contents
এ আই এর ফুল ফর্ম কি
এ আই এর ফুল ফর্ম হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ আই এর ওপর একটি বিভাগ হলো মেশিন লার্নিং। এই মেশিন লার্নিং পদ্ধতিতে মেশিন গুলির উপর এমন প্রোগ্রাম সেট করা হয় যাতে মেশিন গুলি নিযেথেকে সিস্টেম গুলি বুঝতে পারে এবং যেকোনো সমস্যা সহজেই মানুষের মতো চিন্তা ভাবনা এর দ্বারা সমাধান করতে পারে।
AI full form in Bengali
AI পূর্ণরূপ হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরি করার উদ্দেশ্য হলো- মেশিন গুলি স্বাধীন ভাবে কাজ করে সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং মানুষের সময় এবং শ্রম কে কম করে। AI full form in Bengali–
- A: Artificial
- I: Intelligence
AI কি
AI হলো এমন একটি আগত প্রযুক্তি যার দ্বারা মেশিন গুলি পুনরায় আরও উন্নত করা হয়। AI কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু ভবিষ্যতে গিয়ে এই AI মানুষের সাহায্য করে অসুবিধা হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন মত দিয়েছেন।
AI মূলত একটি হাইটেক কম্পিউটার প্রোগ্রাম। AI এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো মেশিন গুলি যাতে মানুষের মতোই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হতে পারে। বলা হয়ে থাকে যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাই মানুষের উন্নতি বা সর্বনাশ উভয়ই ডেকে আনতে পারে।
এই AI এর মাধ্যমে মেশিন গুলির মধ্যে উন্নত মানের কিছু ডিভাইস ইনপুট করা হয় এবং মেশিন গুলো সেগুলোর মাধ্যমে কাজ করতে পারে।
AI এর প্রভাব:
AI এর দ্বারা তৈরি বর্তমানে উপস্থিত একটি বিখ্যাত রোবট হলো সোফিয়া। আপনাদের মধ্য অনেকেই হয়তো এর সম্পর্কে আগেই শুনেছেন। সোফিয়া মানুষের মতো চিন্তা ভাবনা এবং মানুষের মতোই সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী। সবথেকে বড় একটি বিষয় হলো এই যে এই রোবট টির মালিক এই রোবটের মধ্যে দেশের নাগরিকতা প্রদান করেছেন। মানে হলো এই রোবোট টি ওই দেশে নিজের মৌলিক অধিকারকে তুলে ধরতে সক্ষম।
সুতরাং, বোঝায় যাচ্ছে যে শেষ পর্যায় AI এর টেকনোলজি এতটাই উন্নত হয়ে উঠবে যা মানুষের বুদ্ধির থেকেও দ্রুত গতিতে কাজ করবে। আসল সমস্যা হলো এখানে যে ভবিষ্যতে যদি কখনো মানুষ ও রোবটের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় তাহলে মানুষের বিনাশ নিশ্চিত।
বলা হয়ে থাকে পরবর্তীকালে AI এর রোবট গুলো এতটাই বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে যে তারা নিজেরাই নিজেদের মতো আরও রোবট তৈরিতে সক্ষম হবে। দিনের পর দিন যদি এভাবে তারা নিজেদের মতো আরও রোবট তৈরি করতে থাকে তাহলে পড়ে মানুষের থেকে রোবটের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
এখন আমাদের সমাজে যে স্ট্রং AI ব্যবহার করা হয় তারও প্রভাব মানুষের জন্য খুব একটা ভালো না। কারণ বর্তমানে যে যে AI মেশিন গুলি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি মানুষের থেকে বেশি পরিমাণ কাজ করতে ক্ষমতা রাখে। সেই জন্য বিভিন্ন কাজ গুলিতে পরবর্তীকালে মানুষের থেকে রোবটের প্রাধান্য বেশি হবে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন এসব ঘটতে এখনও দেরি, কিন্তু না। এর একটি উদাহরণ হলো- AI রোবট গুলি যেকোনো বড় দাবা খেলোয়ার কে সহজেই হারাতে পারে, এছাড়াও এই রোবট গুলি বিভিন্ন গল্প এবং কবিতা লিখতে পারে।
বর্তমানে একটি রিপোর্ট অনুযায়ী AI এর রোবট গুলিকে আর্মি তে নিযুক্ত করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে। এর সপক্ষে ও বিপক্ষে অনেকে নানান মতামত রেখেছেন।
সপক্ষ্মীরা বলেছেন AI এর রোবট গুলোকে যদি যুদ্ধে লাগানো যেতে পারে তাহলে হয়তো ভারতীয় সেনাদের প্রাণের ঝুঁকি আর থাকবে না। রোবোট গুলি অক্লান্ত ভাবে নিজের কাজও করতে পারবে। বিপক্ষ্মীরা বলেন যে AI এর রোবট কে যুদ্ধে নিযুক্ত করলে শত্রুরা যদি কোনো ভাবে AI এর মাথায় অবস্থিত কম্পিউটার কে হ্যাক করে নেয় তখন দেখা যাবে সেই রোবট আমাদের দেশের বদলে তাদের হয়ে লড়াই করছে।
বর্তমানে মানুষ যেমন সবথেকে বুদ্ধিমান জীব হওয়ায় তারা কম বুদ্ধিমান জীব দের গুরুত্ব দেয় না ঠিক তেমনই ভবিষ্যতে যখন AI এর রোবট গুলি মানুষের থেকে বেশি বুদ্ধিমান হবে তখন তারাও মানুষকে হয়তো আর গুরুত্ব দেবে না।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও AI এর ভালো দিকও আছে যেমন বিভিন্ন কোম্পানিতে যদি AI মেশিন গুলিকে কাজে লাগানো হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভুলের সংখ্যা থাকবে না। কারণ ভুল মানুষের হয় রোবোট বা কম্পিউটার এর নয়।
এছাড়াও AI মানুষের জীবনে এমন অনেক কাজ সফল করতে সক্ষম হয়েছে যা আজ থেকে দশ বছর আগে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তাহলে এটা মানতে হবে যে AI মানুষের জীবনে অগ্রগতিও ডেকে আনছে।
AI এর দৈনিক জীবনে ব্যবহার
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান AI এর ব্যবহার গুল হলো:
1. মানচিত্র এবং নেভিগেশন
এখনকার সময় AI technology এর সাহায্যে আমরা সহজেই যেকোনো জায়গায় যেতে পারি। ধরুন আগে দূরে কোথাও যেতে হলে আমরা মানচিত্রের সাহায্য নিতাম কিন্তু এখন আমাদের যে স্মার্টফোন আছে তার মধ্যে এখন google map উপলব্ধ আছে তার সাহায্যে আপনি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় মানচিত্র নির্ণয় করতে পারবেন।
এমন কি আপনি আপনার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যে রাস্তা গুলো পাবেন সেগুলির মধ্যে কোনটি আপনার জন শ্রেও হবে, অর্থাৎ রাস্তায় যদি অনেক ঝঞ্ঝাট লেগে থাকে বা আরও যদি কোনো বাধা থাকে তার থেকে আপনি আগেই সতর্ক হয়ে যেতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ঘরে বসেই আপনার গন্তব্য স্থলের চিত্র নিজের স্মার্টফোন স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে দেখতে পাবেন।
2. ফটোগ্রাফি
বর্তমানে আরেকটি বিখ্যাত বিজ্ঞান হলো ফটোগ্রাফি। এখানে আপনি যেকোনো একটি সাধারণ ফটো কে 3D বা 2D হিসাবে বানাতে পারেন নিজের ফোনের মধ্যে। এখানে প্রধানত প্রথমে কোনো ফটো কে ক্যাপচার করতে হয় তারপর সেটাকে নানান ভাবে এডিট করে প্রদর্শন করা হয়।
এরকম একটি অ্যাপ হলো Lucidpix অ্যাপ। এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো সাধারণ ফটো কে বিভিন্ন ক্যামেরা কেনা ছাড়াই 2D বা 3D বানাতে পারেন। এই ফটোগ্রাফি এর পিছনে মূল ভূমিকা হলো AI এর।
3. স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট
এখনও পর্যন্ত AI এর যত গুলি ব্যবহার আমরা জানলাম তার মধ্যে সবথেকে বিখ্যাত বা জনপ্রিয় একটি ব্যবহার হলো Smart Assistant। যেমন ধরুন youtube যে যে অ্যাড গুলি থাকে আবার google Assistant, Siri, Alexa এই অ্যাপ গুলিতে আপনি যেকোনো প্রশ্ন করলে খুব সহজেই সরাসরি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
এই অ্যাসিস্টেন্ট গুলি আপনার voice এর মাধ্যমে আপনার ফোনের যে কাউকে call করতে পারে, যেকোনো শপিং আইটেম খুঁজতে পারে ইত্যাদি। এই ভাবেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে AI এর ব্যবহার ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এবং হয়তো আপনি কখনও না কখনও এগুলো ব্যবহার করে থাকবেন।
এই ছিল আমাদের আলোচনা। আজ এই পর্যন্তই , আশা রাখবো যে আজকের আমাদের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনি AI (AI full form in Bengali ) সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলেন এবং এটি আপনাকে অনেক সাহায্য করেছে।
I’m Sourav, (BA) Graduate. Specialized content writer. Get accurate information from Moneygita.