দশম শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্বেগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন এবং তাদের উত্তরগুলি নিচে দেওয়া হয়েছে।
সাথে এই বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের সমস্ত সাজেশন নোটটির একটি PDF ফাইল নিচে দেওয়া হয়েছে আর্টিকেলের শেষে সেখান থেকে তোমরা PDF টি সংগ্রহ করতে পারবে।
দশম শ্রেণীর ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়: বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর
Class 10 History: Suggestion 2024
দশম শ্রেণী : ইতিহাস : পঞ্চম অধ্যায়
বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা
শ্রেণী | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী |
বিষয় | মাধ্যমিক ইতিহাস |
অধ্যায় | পঞ্চম অধ্যায়- বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা |
প্রশ্নের ধরণ | Only সাজেশন ভিত্তিক |
Target | মাধ্যমিক 2024 |
Created By | Moneygita Team |
দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায় থেকে এখানে উপস্থিত সাজেশন টি অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা রচিত যা ২০২৪ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
তোমরা অবশ্যই এই আর্টিকেলে থাকা সমস্ত প্রশ্ন-উত্তর গুলি ভালো করে পড়বে, পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রশ্নগুলি কেউ সমান গুরুত্ব সহকারে দেখবে।
Table of Contents
দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর
বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর…………………………………..…………. (প্রশ্নমাণ 4)
1) কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এর অবদান আলোচনা কর।
উত্তর: বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার তারকনাথ পালিত ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রকৃতভাবে প্রতিষ্ঠা করেন।
জাতীয় শিক্ষার উদ্যোগ: ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে বাংলায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে জন্য এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলায় কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
সমন্বয়-সাধন: ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সঙ্গে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট একত্রিত হয়ে বাংলায় কারিগরি শিক্ষার প্রসারে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের মধ্যে প্রথম এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পঠন-পাঠন শুরু করে।
জার্নাল: কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ছাত্র-ছাত্রীরা “টেক” নামের একটি জার্নাল প্রকাশ করে এই জার্নাল প্রথম অংশটি তারা স্বদেশী আন্দোলনের যুগের সে সকল আত্মত্যাগীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে যারা জাতীয় শিক্ষার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
2) বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান উল্লেখ কর।
ভূমিকা: বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ বা ‘বোস ইনস্টিটিউট’ এর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
গবেষণা ক্ষেত্র: বোস ইনস্টিটিউট ছয়টি বিষয় গবেষণা হয় পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, অণুজীব বিদ্যা, প্লান্ট বায়োলজি, বায়ো কেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স।
কলেরা রোগের টিকা আবিষ্কার: কলেরা রোগের টিকা আবিষ্কার এর ক্ষেত্রে বসু বিজ্ঞান মন্দির বা বোস ইনস্টিটিউটের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। অধ্যাপক এস. এন. দে. এই প্রতিষ্ঠানে গবেষণার মাধ্যমে কলেরা টক্সিন এবং কলেরা রোগের টিকা আবিষ্কার করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্ত এনেছিলেন।
কেসকোগ্রাফ আবিষ্কার: আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু নিজে ‘কেসকোগ্রাফ’ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন এবং প্রমাণ করেন যে ‘উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে’।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাঙালি হিসেবে লন্ডনের রয়েল সোসাইটির সদস্য নির্বাচিত হন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, এর ফলে তার গবেষণা স্বীকৃতি লাভ করে এবং তার খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
3. বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তারে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স (আই এ সি এস) এর অবদান আলোচনা কর। // বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে ড. মহেন্দ্রলাল সরকারের ভুমিকা।
ভূমিকা: ঔপনিবেশিক ভারতে বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে বাংলা এক অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল এই সময় বাংলায় একাধিক বিজ্ঞান চর্চার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল এরমধ্যে অন্যতম ছিল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স।
প্রতিষ্ঠা: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ২৯ শে জুলাই বিখ্যাত চিকিৎসক মহেন্দ্রলাল সরকারের প্রচেষ্টায় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
খ্যাতনামা বিজ্ঞানী: প্রতিষ্ঠানটিকে স্বদেশী বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ করতে যেসব খ্যাতনামা গুণীজনরা এগিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে ফাদার লাফন্ট, জগদীশচন্দ্র বসু, কুনিলাল বোস, প্রমথনাথ বোস এবং আশুতোষ মুখার্জি অন্যতম।
গবেষণা: অধ্যাপক সি. ভি. রমন ১৯০৯ থেকে ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতার এই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র থেকে পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
গবেষণা কেন্দ্র: তৎকালীন সময় ভারতের একমাত্র পদার্থবিজ্ঞানের উচ্চতম গবেষণা কেন্দ্র ছিল এটি এবং বর্তমানেও রয়েছে। তাই ভারতের নানা প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা কলকাতার এই সৃজনশীল পরিবেশে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে আসে। মেঘনাথ সাহা, সি. প্রসাদ, এল শ্রীনিবাসতব প্রমুখ স্বনামধন্য বিজ্ঞানীরা এখানে গবেষণা করেছেন।
✔ অতিরিক্ত প্রশ্ন –
1. ছাপা বইয়ের সাথে শিক্ষা বিস্তারের সম্পর্ক লেখ?
2. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ : টীকা লেখ।
3. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী উদ্যোগ সম্পর্কে: টীকা লেখ।
দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান -২…………………………………………………………………………………….
১. আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের ভূমিকা কি?
উত্তর: ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের 27 শে মার্চ কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়,স্যার তারকনাথ পালিত এবং স্যার রাসবিহারী ঘোষের উল্লেখযোগ্য যোগ্য অবদান ছিল এই কলেজ প্রতিষ্ঠায়। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, চন্দ্রশেখর বেঙ্কট রমন, শিশির কুমার মিত্র প্রভৃতি স্বনামধন্য শিক্ষকেরা শিক্ষাদান করেন। এই কলেজে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার সুযোগ-সুবিধা ছিল।
[প্রশ্নটি 4 নম্বরের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ]
২. বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের অবদান আলোচনা কর।
উত্তর: বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বসু বিজ্ঞান মন্দির বা বোস ইনস্টিটিউট এর অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এটির প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে প্রাণিজগতের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদ জগতের সমান গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। অধ্যাপক এস. এন. দে. এই প্রতিষ্ঠানে গবেষণার মাধ্যমে কলেরা টক্সিন এবং কলেরা রোগের ওষুধ আবিষ্কার করেন।
৩. ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা বাংলা শিক্ষা বিস্তারে কি ধরনের ভূমিকা পালন করে?
উত্তর:ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার ফলে——
- ১.অল্প সময়ের মধ্যে বহু বই শিক্ষার্থী এবং পাঠকদের হাতে পৌঁছে যায়।
- ২.ছাপাখানায় মুদ্রিত বইয়ের মূল্য হাতে লেখা বই এর থেকে মূল্য খুবই কম, এর ফলে সাধারণ এবং দরিদ্র পড়ুয়াদের কাছেও বই সহজলভ্য হয়।
৪. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠা উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: ১৯৪৪ সালে জুন মাসে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জাতীয় শিক্ষা পরিষদের মূল উদ্দেশ্য গুলি হল——-
- ১.কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
- ২.জাতীয়তাবাদী এবং বাস্তবমুখী শিক্ষাদান।
৫.পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন?
উত্তর: পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন হুগলি জেলার ত্রিবেণীর একজন সুদক্ষ স্বর্ণ শিল্পী। চার্লস উইলকিন্সের সহযোগী পঞ্চানন কর্মকার ছাপাখানায় মুদ্রণের জন্য উন্নত মানের বাংলা অক্ষরের টাইপ তৈরি করেন।
6. তারকনাথ পালিত কে ছিলেন?
উত্তর: স্যার তারকনাথ পালিত ছিলেন একজন স্বনামধন্য আইনজীবী এবং শিক্ষাদরদী। স্বদেশী আন্দোলনের সময় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার এবং বিজ্ঞান চর্চার জন্য তিনি ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এবং রাসবিহারী ঘোষের সঙ্গে মিলিতভাবে কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
✔ অতিরিক্ত প্রশ্ন –
i) শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি?
ii) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে শিক্ষার লক্ষ্য কি?
iii) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন?
iv) বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কিরূপ অবদান ছিল?
v) শিক্ষার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটির ভূমিকা কি ছিল?
________________________________________________
দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় mcq প্রশ্ন উত্তর
বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর PDF
মাধ্যমিক ইতিহাস বিকল্প চিন্তা ও উদ্বেগ বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা অধ্যায়ের সাজেশন প্রশ্ন এবং উত্তরের PDF ফাইলটি নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে সংগ্রহ করে নাও।
__________________________________________
পরের অধ্যায়ের প্রশ্ন সাজেশন লিংক 👇
- মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় সাজেশন
- মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় সাজেশন
- মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় সাজেশন
I’m Sourav, (BA) Graduate. Specialized content writer. Get accurate information from Moneygita.