দশম শ্রেণী ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা | Class 10 History chapter 4

দশম শ্রেণী ইতিহাস মাধ্যমিক চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গড়ার কথা বিশ্লেষণ ও বৈশিষ্ট্য সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর এখানে দেওয়া হয়েছে।

সাথে সাথে সংঘবদ্ধতা গড়ার কথা অধ্যায়ের সমস্ত সাজেশন এর একটি PDF ফাইল এই আর্টিকেলের শেষে দেওয়া হয়েছে তোমরা নোটটির PDF টি সংগ্রহ করতে পারবে। 

দশম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়: সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বিশ্লেষণ ও বৈশিষ্ট্য প্রশ্ন উত্তর

Class 10 History: Suggestion 2024
দশম শ্রেণী : ইতিহাস : চতুর্থ অধ্যায়
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বিশ্লেষণ ও বৈশিষ্ট্য

শ্রেণীমাধ্যমিক দশম শ্রেণী
বিষয়মাধ্যমিক ইতিহাস
অধ্যায়চতুর্থ অধ্যায়- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা: বিশ্লেষণ বৈশিষ্ট্য
প্রশ্নের ধরণOnly সাজেশন ভিত্তিক
Targetমাধ্যমিক 2024
Created ByMoneygita Team

ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় এখানে উপলব্ধ সাজেশন টি অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা নির্মিত হয়েছে। তোমরা অবশ্যই প্রশ্ন এবং উত্তরগুলিকে ভালো করে মুখস্ত করবে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাথে অতিরিক্ত প্রশ্নগুলি কেউ একই গুরুত্ব সহকারে মুখস্ত করবে। 

সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 4 নম্বরের বড় প্রশ্ন উত্তর

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর…………………………………..…………. (প্রশ্নমাণ 4)

১. টীকা লেখ :মহারানী ঘোষণাপত্র। অথবা, মহারানী ঘোষণাপত্রে কি বলা রয়েছে? 

ভূমিকা: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ ভারতের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ও যুগান্তকারী ঘটনা। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এটি ভারতের ইতিহাসে এক নব অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। 

ভারত শাসন আইন: ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে 2 আগষ্ট একটি আইন পাশ করেন যা ‘The Government of India Act’ নামে পরিচিত। এই আইনের মাধ্য়মে ভারতের শাসনভার ব্রিটিনের রানির হাতে হস্তান্তর হয় এবং ভারতে কম্পানি শাহনের অবসান ঘটানো হয়.

মহারানীর ঘোষণাপত্র: ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে 1 নভেম্বর একটী ঘোষনা জারি করে মহারানী ভিক্টোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং এলাহাবাদে এই ঘোষণাপত্র টি পাঠ করেন। এটি মহারানীর ঘোষণাপত্র নামে পরিচিত। 

ঘোষণাপত্রের বক্তব্য: মহারানীর ঘোষণাপত্রে বলা হয়——-

  • ক) দেশীয় অপুত্রক রাজাদের দত্তক পুত্র গ্রহণের অধিকারের দেওয়া হবে। 
  • খ) স্বত্ববিলোপ নীতি পরিত্যক্ত হবে। 
  • গ) ব্রিটিশ সরকার এদেশে আর সাম্রাজ্য বিস্তার করবে না। 
  • ঘ) যোগ্যতা অনুযায়ী ভারতীয়দের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। 
  • ঙ) জাতি- ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতীয়কে সমান মর্যাদা দেওয়া হবে। 
  • চ) কোম্পানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমস্ত চুক্তি ও সন্ধিপত্র সরকার পালন করে চলবে।

২.ভারতে জাতীয়তাবোধ বিকাশে ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের ভূমিকা উল্লেখ কর। 

ভূমিকা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর লিখিত একাধিক গ্রন্থের দ্বারা ভারতে জাতীয়তাবাদ ও সংগ্রাম শীল জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন। ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদের  আদর্শ তুলে ধরেছিলেন। 

ক) রচনা কাল: আনন্দমঠ উপন্যাসটি, ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দ্বারা রচিত হয়। 

খ) বন্দে-মাতরম সংগীত: বঙ্কিমচন্দ্রের রচিত আনন্দমঠের অন্তর্গত তার রচিত বন্দে মাতারাম সংগীতটি ভারতের মুক্তি সংগ্রামের মূল মন্ত্র ছিল । সমস্ত ভারতবাসীদের কাছে এই ‘বন্দে মাতরম’ সংগীতটি স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। 

গ) সন্তান দল: ‘আনন্দমঠ’ এর সন্ন্যাসী  সন্তানদের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র সমকালীন রাজনৈতিক ভাবাদর্শ ও আন্দোলনের শক্তি ও দুর্বলতা দুটোই তুলে ধরেছিলেন। 

ঘ) অনুশীলন সমিতি: ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্র ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস থেকে অনুশীলন সমিতি নামটি গ্রহণ করেন। অনুশীলন সমিতি বিপ্লবীদের কাছে এই আনন্দমঠ ছিল সংগ্রামী জাতীয়তাবাদের গীতা।

৪.গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্রে কিভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছিলেন? 

ভূমিকা: গঙ্গনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তার একাধিক ব্যঙ্গ চিত্রের মাধ্যমে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছিলেন । ঔপনিবেশিক সমাজ ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রকে তিনি তার ব্যঙ্গচিত্রে স্থান দিয়েছিলেন। 

ক) বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্র: গগনরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অঙ্কিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ব্যঙ্গচিত্র হলো ‘চরকা বনাম পৃথিবীর সভ্যতা’ ইঙগ-বঙগ সমাজ বিষয়ক ‘ব্যারিস্টারদের স্বদেশীয়ানা’ ‘জাতাসুর’ বাগযন্ত্র প্রভৃতি। 

খ) পাশ্চাত্য সমাজের সমালোচনা: ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক সমাজের ‘বাবু কালচার’ ও পাশ্চাত্য শিক্ষিত সমাজের একাংশকে সমালোচনা করে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সকল ব্যঙ্গচিত্রে রেখেছিলেন তা বাঙ্গালীদের দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধি করেছিল। 

গ) উচ্চবিত্তদের সমালোচনা: গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন ব্যঙ্গচিত্রে সমাজের ধনী ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ক্রিয়া-কলাপের সমালোচনা করা হয়েছে, তাদের অহংকার, সামাজিক চাল চলন ও রীতিনীতি প্রভৃতি নানা বিষয়কে নিন্দার দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরা হয়েছে।

ঘ) নিম্ন রুচির সমালোচনা: সমকালীন কিছু বাঙ্গালীদের নিম্ন রুচি, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যঙ্গচিত্র নিন্দিত হয়েছে। ‘খলব্রাহ্মণ’ চিত্রটিতে দেখা যায় জনৈক ব্রাহ্মণ ধর্মের প্রতি অনুরাগের পরিবর্তে মাংস- মদ-মহিলায় অনুরক্ত। 

Extra Question:

১)১৮৫৮ সালের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজে মনোভাব কিরূপ ছিল?
২)ভারত সভা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য কি? 
৩)বর্তমান ভারত জাতীয়তাবাদের বিকাশে কিরূপ ভূমিকা পালন করে?
৫)বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ও ভারত সভার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ ।

দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নমান -২…………………………………………………………………………………….

১.মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ কি?

উত্তর: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ ঘটেছিল। এই বিদ্রোহর ব্যর্থ হওয়ার কারণগুলি হল——-

  • ক) মহাবিদ্রোহ পরিচালনা করার জন্য সর্বভারতীয় নেতৃত্ব ছিল না।  নেতৃত্বের অভাবে বিদ্রোহ তার গতি হারায়। 
  • খ) এক জোটে একত্রিতভাবে বিদ্রোহ না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিদ্রোহ হওয়ায় এ বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। 

২.ভারত সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি? 

উত্তর: ভারত সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য গুলি হল——–

  • ক) রাজনৈতিক প্রয়োজনে জাতি, ধর্ম ও গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করা। 
  • খ) দেশব্যাপী শক্তিশালী জনমত গঠন করা। 
  • গ) মানুষকে গন আন্দোলনে শামিল করা ।

৩. ইলবার্ট বিল কি? 

উত্তর: ভারতীয় বিচারকদের ইউরোপীয় বিচারকের ন্যয় সম ক্ষমতা এবং সমমর্যাদা দেওয়ার  উদ্দেশ্যে লর্ড রিপন তার আইন সচিব ইলবার্ট এর সাহায্যে একটি আইনের খসড়া রচনা করেন যা ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত। 

৪.হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি? 

উত্তর: হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য হল———-

  • ক) প্রাচীন হিন্দু ধর্মের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা । 
  • খ) দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতার আদর্শে সকলকে অনুপ্রাণিত করা। 

৫.দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন কি? 

উত্তর: সাম্রাজ্যবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল বড়লাট লর্ড রিপন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ১৪ই মার্চ দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন প্রতিষ্ঠা করেন, ভারতীয় সংবাদপত্র গুলোর কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেন। ইংরেজি পত্রিকাগুলিকে এই আইনের আওতায় থেকে বাদ দেওয়া হয়।

৬. উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন? 

উত্তর: ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ করলে তা অধিক ফলপ্রসু হবে এই ভাবনা থেকে ১৯ শতকে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বহু রাজনৈতিক সভা সমিতি গড়ে উঠেছিল।  এই কারণে ড .অনিল শীল উনিশ শতককে ‘সভা- সমিতির’ যুগ বলে মন্তব্য করেছেন। 

৭. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারতমাতা’ চিত্রের বিবরণ দাও। 

উত্তর: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ভারত মাতা’ কে এঁকেছিলেন একজন হিন্দু দেবী হিসেবে। যার পরনে রয়েছে গেরুয়া রঙের পোশাক। দেবী চার হাতে ধরে রয়েছেন বেদ ,মালা, ধানের শীষ ও সাদা বস্ত্র। চিত্রটির মধ্যে দিয়ে এক স্বদেশী ভাবধারা লক্ষ্য করা যায়। 

৮. জমিদার সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি?  বা, জমিদার সভার কর্মসূচি কি?

উত্তর: জমিদার সভা মূলত জমিদারদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। এই সমিতির উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি হল, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করা। 

৯. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ভারত মাতা চিত্র দ্বারা কিভাবে স্বদেশী ভাব ও জাতীয়তাবাদের  প্রচেষ্টা করেন? 

উত্তর: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ভারত মাতা’ কে এঁকেছিলেন একজন হিন্দু দেবী হিসেবে। যার পরনে রয়েছে গেরুয়া রঙের পোশাক। দেবী চার হাতে ধরে রয়েছেন বেদ ,মালা, ধানের শীষ ও সাদা বস্ত্র।

           এগুলো দ্বারা তিনি বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের যুগে ভারতীয়দের মধ্যে স্বদেশীয়ানা ও জাতীয়তাবাদের অনুভূতি জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন।

১০.ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থের ভূমিকা কি? 

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দ রচিত বর্তমান ভারত গ্রন্থটি ভারতীয়দের জাতীয়তাবাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গ্রন্থে তিনি সকল ভারতীয়দের ঐক্যের কথা বলেছিলেন। বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসনকাল পর্যন্ত ভারতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। 

১১. জাতীয়তাবাদের বিকাশে ‘গোরা’ উপন্যাসের কিরূপ ভূমিকা ছিল? 

উত্তর: ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গোরা’ উপন্যাসটি ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও স্বদেশপ্রেমের ভাবধারা জাগ্রত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই গ্রন্থের প্রধান চরিত্র গোরা, গ্রাম -বাসিন্দাদের সুখ- দুঃখের খোঁজ নিতে গিয়ে ভারতের প্রকৃত রূপ তুলে ধরে। 

Extra Question:

১)১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কারা কেন ‘জাতীয় বিদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেন? 
২) ১৮৫৭খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কারা কেন ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম’  হিসেবে অভিহিত করেন?
৩)গগনেন্দ্র ঠাকুর স্মরণীয় কেন?
৪)মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন ?

মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 1 নম্বরের প্রশ্ন

1) সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ কে ছিলেন ? 

উত্তর: সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ ছিলেন মঙ্গল পান্ডে ।

2) তাঁতিয়া টোপির আসল নাম কি ছিল ?

উত্তর: তাঁতিয়া টোপির আসল নাম হল রামচন্দ্র  পান্ডু রঙ্গ টোপি।

3) ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন? 

উত্তর: ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং। 

4) মহারানীর ঘোষণাপত্র কবে প্রকাশিত হয়? 

উত্তর: ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ১ নভেম্বর মহারানী ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয় । 

5) ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন কোনটি? 

উত্তর:ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন হলো বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা। 

6) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার সভাপতি কে ছিলেন? 

উত্তর: উত্তর:বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার সভাপতি ছিলেন গৌরী শংকর ভট্টাচার্য।

7) হিন্দু মেলার অপর নাম কি? 

উত্তর: হিন্দু মেলার অপর নাম হল  চৈত্র মেলা । 

8) ইলবার্ট বিল কে রচনা করেন?  

উত্তর: ইলবার্ট বিল রচনা করেন লর্ড রিপনের আইন সচিব ইলবার্ট

9) ভারত মাতা চিত্র টি কে অঙ্কন করেন? 

উত্তর: ভারতমাতা চিত্রটি অঙ্কন করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

10) কোন সিপাহী প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন?

উত্তর: ব্যারাকপুরের সেনানিবাসী সিপাহী মঙ্গল পান্ডে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা (২৯ শে মার্চ, ১৮৫৭খ্রিস্টাব্দ) করেন। 

11) কোন সময়কে সভা সমিতির যুগ বলে অভিহিত করা হয়েছে? 

উত্তর: ঊনবিংশ শতকে যুগ বলে অভিহিত করা হয়েছেস। 

12) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা  ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। 

13) কবে হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। 

14) হিন্দু মেলায় প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?

উত্তর: হিন্দু মেলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন নবগোপাল মিত্র হবে। 

15) কবে ইন্ডিয়ান লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়? 

উত্তর: শিশির কুমার ঘোষ ও হেমন্ত কুমার ঘোষ ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান লিগ নামে একটি রাজনৈতিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।

বাম স্তম্ভ – ডান স্তম্ভ মেলাও

সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় – ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন 
বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দ
ভারত সভা ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দ 
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ
ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং
ইলবার্ট বিল ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দ
রাধাকান্ত দেব ল্যান্ড হোল্ডারর্স সোসাইটি 
ইন্ডিয়ান লিগ (১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ)শিশির কুমার ঘোষ 
বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা কালীনাথ রায়চৌধুরী
বিনায়ক দামোদর সাভারকারইন্ডিয়ান ওয়্যার অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স।

সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা MCQ Class 10

১) মহাবিদ্রোহকে (১৮৫৭)যে ব্রিটিশ লেখক ক সিপাহী বিদ্রোহ বলে আখ্যা দিয়েছেন—— চার্লস রেইকস্।

২) চৈত্র মেলা,হিন্দু মেলা রূপে পরিচিত হয়—– ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে।

৩) ভারত সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন—– রেভা: কৃষ্ণ মোহন বন্দ্যোপাধ্যায়।

৪) রাষ্ট্রগুরু নামে পরিচিত ছিলেন-— সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

৫) মহাবিদ্রোহকে (১৮৫৭) ‘কৃষক বিদ্রোহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন–— রমেশ চন্দ্র মজুমদার ।

৬) আনন্দমোহন বসু ছিলেন ভারত সভার —— সভাপতি। 

৭) বন্দেমাতরম সংগীতটি রচনা করেন—- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

৮) ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে প্রথম বিদ্রোহ হলো–— সিপাহী বিদ্রোহ। 

৯) সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়-— ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে। 

১০) সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ ছিলেন—— মঙ্গল পান্ডে। 

১১) সিপাহী বিদ্রোহে নানা সাহেব ও তাঁতিয়া টোপি কোথাকার নেতা ছিলেন —– কানপুরের। 

১২) বিহারের সিপাহী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন–– কুনওয়ার সিং।

১৩) অযোধ্যায় সিপাহী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন–— হজরত মহল।

১৪) লক্ষ্মীবাঈ সিপাহী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন—— ঝাঁসিতে।

১৫) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহ কে ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম’ বলে মনে করেন–– বিনায়ক দামোদর সাভারকার।

১৬) ‘The Sepoy Mutiny and the Revolt of 1857′ গ্রন্থটি রচনা করেছেন দেব–  ড.রমেশ চন্দ্র মজুমদার।

১৭) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের তথাকথিত প্রথম জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম-প্রথম নয় জাতীয় নয় এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম নয় এটি কার উক্তি–— ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার। 

১৮) ভারতে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভিক্টোরিয়া নিজের হাতে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন —- ১৮ ৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

১৯) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ কে ‘নৈরাজ্যবাদী বলে মনে করেছেন-— রাজনারায়ণ বসু। 

২০) সর্বপ্রথম কোন সংগঠন ভারতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আনেন— ভারত সভা। 

২১) ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন ছিল — জমিদার সভা।

২২) জমিদার সভার সভাপতি ছিলেন— রাধাকান্ত দেব।

23) হিন্দু মেলার পক্ষ থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির নাম ছিল– ন্যাশনাল পেপার।

24) ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ভারত সভার প্রাণপুরুষ ছিলেন-– সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

25) কোন ব্রিটিশ শাসক লর্ড লিটনের অস্ত্র আইন প্রত্যাহার করেন– লর্ড রিপন। 

26) স্বদেশী আন্দোলনের সময় জাতীয় ভান্ডার গড়ে তোলেন– ভারত সভা। 

27) আনন্দমঠ উপন্যাসটি রচনা করেন– বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 

28) বর্তমান ভারত গ্রন্থটি রচনা করেন– স্বামী বিবেকানন্দ। 

29) গোরা উপন্যাসটি রচনা করেন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

30) বন্দেমাতরম সংগীতটি রচনা করেন — বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। 

31) বন্দেমাতরম সংগীতে প্রথম সুর দেন-– যদুভট্ট। 

32) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটি উল্লেখ্যযোগ্য চিত্র হল — ভারত মাতা।

33) ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি —– রাধাকান্ত দেব।

34) ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন এর প্রথম সম্পাদক —- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

35) ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটে— ঊনবিংশ শতকে। 

36) ভারতের জাতীয়তাবাদের জনক বলা হয় — স্বামী বিবেকানন্দকে।

 37) লর্ড রিপন ইলবার্ট বিল করেন— ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে।

38) মহাজন সভা প্রতিষ্ঠিত হয়—  মাদ্রাজে। 

39) হিন্দু মেলার অপর নাম ছিল—— চৈত্র মেলা। 

40) আনন্দমঠ উপন্যাসের পটভূমি ছিল— সন্ন্যাসী ফকির বিদ্রোহ।

41) মহারানীর ঘোষণাপত্র ১৮৫৮  খ্রিস্টাব্দে অনুযায়ী ভারতের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন— লর্ড ক্যানিং। 

42) ভারত সভার কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন– সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

43) রাষ্ট্রগুরু (বাংলার মুকুটহীন রাজা/surrender not) নামে পরিচিত—– সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

44) মহারানীর ঘোষণাপত্র টি প্রকাশিত হয় —-১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ১ নভেম্বর।

45) হিন্দু মেলার মুখপত্র ছিল – ন্যাশনাল পেপার। 

46) ভারত সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন– রেভা: কৃষ্ণ মোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। 

47) বন্দে মাতরম সংগীতটি রচিত হয়– ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে। 

48) বর্তমান ভারত গ্রন্থটি রচনা করেন–– স্বামী বিবেকানন্দ। 

49) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন–  ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী মহারানীর। 

50) ঘোষণাপত্রের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল–  ভারতবাসীর আনুগত্য অর্জন।

51) ল্যান্ড হোল্ডারস সোসাইটির সভাপতি ছিলেন – রাজা রাধাকান্ত দেব। 

52) হিন্দু মেলার সম্পাদক ছিলেন– গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

53) মহারানীর ঘোষণাপত্র অনুযায়ী— ভারত সরাসরি ইংল্যান্ডের শাসকের অধীনে এসেছিল।

54) ইলবার্ট বিল বিতর্কে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল– ভারত সভা। 

55) জমিদার সভা গড়ে উঠেছিল– জমিদারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য।

56) ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের মর্মস্পর্শী বর্ণনা আছে–  আনন্দমঠ উপন্যাসে। 

57) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ভারতের স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ বলেছিলেন– বিডি সাভারকার। 

58) ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হল – বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা। 

59) ভারত মাতা চিত্রটি আঁকেন– অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতে।

60 ) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে– ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন উত্তর PDF

দশম শ্রেণী ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গড়ার কথা প্রশ্ন উত্তর সাজেশন PDF টি নিচে দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করে নাও👇। 

পরের অধ্যায়ের প্রশ্ন সাজেশন লিংক 👇

Leave a Comment