কৃষি ঋণ কাকে বলে? কৃষি ঋণ কত প্রকার

আলোচ্য় বিষয়- কৃষি ঋণ কাকে বলে? কৃষি ঋণ কত প্রকার?

কৃষি ঋণ কি?

কৃষি ঋণ কি: ভারতীয় অর্থনীতিতে পণ্যদ্রব্যের ব্যয় বরাদ্দ স্কিম ঘোষণা করা হয়, ঐ পণ্যের বাজার বিক্রয় করণের পরিপ্রেক্ষিতে উপলব্ধ বস্তুর নিরিখে। সেই উদ্দেশ্যেই প্রযুক্তি তথা অর্থনীতিতে অনেক রদবদল এসেছে। অর্থনীতির দিক দিয়ে যা ঘাটতি থেকে যায় তা এক  বাৎসরিক পরিকাঠামোয় এসে জমা-খরচ নির্ধারণ করে এক স্কিম প্রস্তুত করা হয়।

         তেমনি আমাদের দেশের বেশিরভাগ অংশটায় নির্ভর করে কৃষি অর্থনীতির উপর। দেশে এখনো একটা বড় অংশ কৃষির উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এক জীবিকা নির্বাহকারী অঙ্গ স্বরূপ। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মফস্বল এলাকা সাধারণত কৃষিভিত্তিক এলাকার মধ্যে পরে। 

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর কৃষকরা সারা বছর বীজ বপন করে, কর্ষণ করে, সেচ করে, ও ফসলের জন্য কীটনাশক এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদি প্রয়োগ করে থাকে । এই সময়সীমার মধ্যে অর্থাৎ কৃষিকালীন সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি ও সংগঠিত পরিকাঠামো না থাকায় কৃষককে বিভিন্ন জায়গায় ধার করতে হয় তা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ও  অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ধার্য ক্রিয়া  সম্পন্ন হতে পারে ।

 আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে, সেই ক্ষেত্রে নিজের জীবন ও পরিবারের তাগিদে কৃষককে ধার তথা ঋণ করতে হয় অর্থাৎ এরূপ বলা যেতে পারে যে, স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন ও দীর্ঘকালীন মেয়াদ হেতু কৃষক তার কৃষি ক্ষেত্রের ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে তার সংরক্ষণ তথা বিভিন্ন যন্ত্রাদি প্রয়োগের মাধ্যমে যে কৃষি কালীন এক ব্যয়বহুল খরচা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ স্বরূপ গ্রহণ করে নিয়োগ করে তাহাই কৃষি-অর্থনীতি বিজ্ঞানে কৃষি ঋণ নামে পরিচিত।

কৃষি ঋণ কাকে বলে?

ভারতের এক-তৃতীয়াংশ এখনও কৃষিজিবীর উপর নির্ভরশীল। কৃষি এখনও জীবিকা নির্বাহের এক পরিপূরক অঙ্গ স্বরূপ।
কৃষিক্ষেত্রে স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন চাষবাস ও খামার প্রকল্পের দরুন এক ব্যয়বহুল খরচা বিভিন্ন সংস্থা ও কিছু ব্যংক এবং সরকারি কিছু সংস্থা থেকে লোন মারফত চুক্তি ভিত্তিক কিছু কাল ব্যাপী এক অঙ্খমূল্য প্রদান করে থাকে তাকেই এককথায় কৃষি ঋণ বলে

কৃষি ঋণ বলতে কি বুঝায়?

কৃষি ঋণ বলতে কি বুঝায়: প্রধানত কৃষকরা তাদের চাষবাস, প্রয়োজনীয় কৃষিকাজের উপকরণ (যেমন- বীজ, সার, কীটনাশক, জলসেচ ব্যবস্থা ইত্যাদি) খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জীবিকা নির্বাহের জন্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনিত ক্ষয়ক্ষতির মোকাবেলার জন্য ইত্যাদি এবং এছাড়াও অন্যান্য কারণ বসত। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত অবলম্বন করে, নির্দিষ্ট মেয়াদ বা সময়কালের জন্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস, সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। একেই কৃষি ঋণ বলে।

কৃষি ঋণের বৈশিষ্ট্য-

বৈশিষ্ট্য:  কৃষকের কৃষি কালীন প্রয়োজনে যেমন কৃষি ঋণ সহায়ক, তেমনি এর বৈশিষ্ট্য গুলোর তাৎপর্য গুরুত্বপূর্ণ।  কারণ বৈশিষ্ট্য এর বিচারেই তৈরি করা হয় কৃষি ঋণ কেমন হবে, যথা:

  • কৃষি ঋণের মেয়াদ খুব সহজ এবং তার পরিশোধ করার সহজলভ্য নিয়ম থাকে।
  • এটি secured লোন হোওয়ায় ভালো পরিমান লোন দেওয়া হয়ে থাকে।
  • ঋণ এর জন্য অনুমোদন জারি করলে বা  ঋণ নিতে ইচ্ছুক হলে ঐ নির্দিষ্ট দপ্তর থেকে ৫ দিনের মধ্যে সেই সম্পর্কে সকল তথ্য জানানো হয়।
  • ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া সাথে সাথেই চালু করা হয় অন্তত ১০ দিনের ভিতরে। সুতরাং, যিনি ঋণ নিবেন তাকে ঋণের প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করে ১০ দিনের মাথায় সেই ঋণ দেওয়া হয়।
  • ভারতের কমপক্ষে আনুমানিক ১৫০-১৬০ টি জায়গায় এই ঋণ ব্যবস্থা চালু আছে।
  • সর্বশেষে, বলা যায় ঋণের পরিকাঠামো অর্থাৎ ঋণ ব্যবস্থা কেমন হবে তা উপযোগী হবে স্থানীয় বাজারদরের অনুপাতে।

কৃষি ঋণ নেওয়ার কারণ?

কৃষিক্ষেত্রে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা এক পর্যায়ক্রমিক ভাবে সংঘটিত হয় অনেক সময়ব্যাপী তা চলে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ফসল বিভিন্ন সময়ে উৎপন্ন হয় ও তার বীজ বপনের সময়ও ভিন্ন থাকে। এই পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়ায় কৃষি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বীজ বোনা, তার পর্যবেক্ষণ করার জন্য এক নির্দিষ্ট নিয়মে যন্ত্রাদি প্রয়োগ ,তা সংরক্ষন এই বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি খুবই ব্যয়বহুল তথা খরচসাপেক্ষ। 

ভারতের অধিকাংশ কৃষক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক তার নিজ তহবিল থেকে কৃষিখাতের প্রয়োগ হেতু নির্দিষ্ট অংক ব্যয় মেটাতে অসক্ষম হলে ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তা কৃষি ঋণ নামে পরিচিত।

এই ঋণের জোগান দেওয়ার জন্য কৃষক বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক  সংস্থা যেমন বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারি সংস্থান, বেসরকারি সংস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল হয় । এছাড়াও অপ্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা থেকে কৃষি ঋণ প্রাপ্ত হতে পারে, এক্ষেত্রে বিভিন্ন এনজিও, পারিবারিক বন্ধু, মহাজন, ও বড় ব্যবসায়ীরা ঋণ দিয়ে থাকেন। 

প্রত্যেক ঋণ দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে এক চুক্তি অবলম্বনে তা নেওয়া ও পরিশোধের কার্য সফল হয় । অপ্রাতিষ্ঠানিক কিছু সংস্থা নিজের সুবিধা লাভের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে ফসল কিনে মুনাফা লাভ করে বলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষক কৃষি ঋণের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উৎসের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরে। পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক কৃষিঋণ কে সফল করার জন্য বিনিয়োগ লোন, সুরক্ষা মুক্ত ঋণ, কিষান ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি সুবিধা দিয়ে থাকেন।

কৃষি ঋণের প্রয়োজনীয়তা

কৃষি পরিকাঠামো  উন্নয়নের জন্য কৃষি ঋণের প্রয়োজনীয়তা আছে। তাই কৃষক বিভিন্ন সংস্থা থেকে তার প্রয়োজনীয়তা মেটায়। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কৃষি ঋণ এর প্রয়োজন আছে তা নিম্নরূপ:

  • ফসল বোনার  জন্য বীজ কেনা, তা বপন করার জন্য লোকের প্রয়োজন আছে, তার খরচা নির্বাহ করা ,পরে ফসল তোলা, শুকানো, সংরক্ষণ ও বিক্রয় জাতকরন পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় কৃষকের নির্দিষ্ট অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়ে তার বেশিরভাগ অংশ কৃষি ঋণ থেকে আসে। 
  • ফসলের সঠিক মূল্য পাওয়ার জন্য ঋণ এর প্রয়োজন আছে।
  • দুর্যোগকালীন সময়ে ফসলের অনেক নষ্ট হয় তার ক্ষতিপূরণ হেতু ও বাঁচার তাগিতে ঋণের প্রয়োজনে এসে পরে। 
  • পারিবারিক বাৎসরিক একটি খরচা সকলকেই মেটাতে হয়। নির্দিষ্ট পুঁজি থেকে তা অতিক্রম করলে তখন কৃষিঋণ সহায়ক হয়ে পরে।
  • এছাড়াও বিভিন্ন সেচ কার্যে  নিয়োগ ড্রিপ সেচ , স্প্রিংকলার সেচ ব্যবস্থা ও কৃষি যন্ত্র ইত্যাদি ধার নেওয়া বা ক্রয় করার জন্য  কৃষক কৃষি ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরে।
  • বিভিন্ন পাম্প সেট বৈদ্যুতিক প্রকল্পের জন্য কৃষকরা ঋণ গ্রহণ করতে হয় ।
  • কৃষিঋণ হলো এক মেয়াদকালীন প্রক্রিয়া। গ্রহণকালীন এক চুক্তি থাকে, কৃষকের পরবর্তীতে ফসল বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হয়।

কৃষি ঋণের সময়সীমা :

দীর্ঘমেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে ৪৮ মাসের জন্য ঋণদাতা কৃষককে তার ব্যয় নির্বাহ করার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকেন। সাধারণত এটি একটা নির্দিষ্ট মরশুমের জন্য নয়।

 এই ঋণ সাধারণত প্রদান করা হয় কৃষি কাজে ব্যবহৃত  নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় এর জন্য, কোনো সৌরশক্তি চালিত যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য, বায়ু কল ইত্যাদি ক্ষেত্রে। ব্যাংক সাধারণত পরিশোধ নেয় তিন থেকে চার বছর পর সুতরাং ঋণ বহনকারী ব্যক্তি মাসিক/দ্বি- বার্ষিক/বাৎসরিক মেয়াদ উপযোগী এবং কৃষকেরা তাদের সুবিধা মত  ঋণ পরিশোধ করে থাকেন। 

স্বল্প মেয়াদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে এক বছরের ঋণের মেয়াদ থাকে আর মধ্যমেয়াদী ক্ষেত্রে এক বছরের উর্ধ্বে সময়সীমা থাকে।

কৃষি ঋণের যোগ্যতা :

 ভারতে লোন মারফত উপকৃত হওয়ার জন্য সাধারণ একটি যোগ্যতা আবশ্যক। কিছু যোগ্যতা যুক্ত হয় ঋণদাতার প্রদানকারী তথ্য অনুযায়ী । তার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে তার যোগ্যতা যাচাই করা বাঞ্ছনীয় ।

  •  বয়স সীমা: কমপক্ষে ১৮- থেকে ৭০ বছর।
  • নির্দিষ্ট কৃষক/ যৌথ কৃষি মালিক,ভাড়াটিয়া কৃষক,ভাগচাষী, মৌখিক ইজারাদার ইত্যাদি।স্ব -সহায়ক গোষ্ঠী (স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী) অথবা যৌথ দায়বদ্ধ গোষ্ঠী ও ভাড়াটিয়া কৃষক।

লোন ধার্য করার নিমিত্ত নথি

ঋণদাতা ও ব্যাংক কর্তৃক কিছু নথি প্রয়োগ ভুক্ত হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হল:-

  • কৃষি ঋণের জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে, তাতে পাসপোর্ট সাইজ ফটো থাকা আবশ্যক।
  • পরিচয় প্রমাণপত্র: আধার, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। 
  • বাসস্থান প্রমাণপত্র: ইউটিলিটি বিল, ব্যাঙ্ক পাসবুক, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ইত্যাদি।
  • ভূমি নথিপত্র।
  • নিরাপত্তা পোস্ট তারিখ চেক(Security post dated cheque) অথবা অন্যান্য জামানত (যদি প্রয়োজন হয়)
  • এছাড়াও ব্যাঙ্ক দ্বারা  স্বীকৃত অন্যান্য কাগচপত্র।

কৃষি ঋণ কত প্রকার

কৃষি ঋণ কত প্রকার: ফসলের বীজ কেনা থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রয় করা অবধি কৃষকদের দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এই সময়ে ভিত্তিতে কৃষকরা যে ঋণ নিয়ে থাকে তা প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত যথা-

  1. স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ 
  2. মধ্য়মেয়াদি কৃষি ঋণ 
  3. দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ঋণ 

স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ 

 স্বল্প সময়ের জন্য কৃষকেরা যে ঋণ নিয়ে থাকে তাকে স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণ বলে। এক্ষেত্রে ঋণের সময়কার সাধারণত এক বছরের জন্য হয়ে থাকে। এই ঋণ কৃষকেরা মূলত সার, বীজ বপন, কীটনাশক, ফসলের বৃদ্ধির জন্য নিয়ে থাকেন।

মধ্য়মেয়াদি কৃষি ঋণ 

 এক বছর থেকে 5 বছরের সময়সীমার জন্য এই ঋণ কৃষকদের প্রদান করা হয়ে থাকে। কৃষক কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্র যেমন- ট্রাকটার, লাঙ্গল ইত্যাদি কেনার জন্য নিতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ঋণ 

দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে সময়কাল টি 5 বছরের বেশি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কৃষকরা তাদের জল সেচ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য, ভূমি উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে পারে।

কৃষি ঋণের প্রকারভেদ  :

                  কৃষকেরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ধরনের কৃষি ঋণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-

১) কিষান ক্রেডিট কার্ড: – 

কিষান ক্রেডিট কার্ড খুবই জনপ্রিয় একটি কৃষি ঋণ। এই ধরনের লোন খুচরা কৃষি ঋণ হিসাবে পরিচিত। যা কৃষককে প্রদান করা হয় তার স্বল্পমেয়াদী খাতে ব্যবহার করার জন্য। যেমন শস্য বোনা, যন্ত্র চালিত খামার পরিচালনা, এবং অন্যান্য কৃষিকেন্দ্রিক কার্যকলাপ ইত্যাদি। এই উদ্দেশ্যে কৃষকরা কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড পেয়ে থাকেন,যার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় ব্যয়বহুল অঙ্ক ঐ কার্ডের দ্বারা তুলে ব্যবহার করতে পারে। এটি একটি ইলেকট্রনিক রুপে(RuPay) কার্ড, তাই কৃষক এটি ATM মেশিনে গিয়ে এই কার্ডের মাধ্যমে তার প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে পারে। এটা নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি ব্যয়ে ব্যবহার করা যায়।

২)এগ্রিকালচার টার্ম লোন : –

 এটা হল দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। যা একজন কৃষক উপকৃত হতে পারে অফ সিজন ব্যয়বহুল কার্যে। এতে উপকৃত হতে পারে লোন নিয়ে ক্রয় করতে, যেমন- মেশিন উন্নতিকরণের ক্ষেত্রে, বায়ু কল, সৌরশক্তি চালিত মেশিন ইত্যাদি ক্ষেত্রে। এই ক্ষেত্রে চার বছর পর্যন্ত লোন পরিশোধ করার সময় থাকে।

৩) সোলার পাম্প সেট লোন : – 

যদি একজন কৃষক ছোট সেচ পরিকল্পনার সাথে যুক্ত থাকে এবং তার জন্য বড় মাপের পাম্প দ্বারা জল তোলার জন্য যন্ত্রের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সোলার পাম্প সেট অন্যতম। এর জন্য দশ বছরের মেয়াদ থাকে ঋণ পরিশোধ করার।

৪)লোন ফর এলাইড এগ্রিকালচারাল একটিভিটি : – 

কৃষকরা এই লোনের  আওতায় আসতে পারেন যখন তাদের কাজের বৃদ্ধি ঘটানোর প্রয়োজন পরে এবং এক বড় মাপের অঙ্ক কৃষিক্ষেত্রে ব্যয় করতে চান।

৫)ফার্ম মেকানাইজেশন লোন :- 

যদি কৃষকের কৃষি ক্ষেত্রে কৃষি কাজের জন্য নতুন যন্ত্রচালিত খামার তৈরি করতে হয় বা মেশিন গুলোকে উন্নতিকরণ করতে হয় যেমন নতুন ট্রাক্টর কেনা বা পুরোনো যন্ত্র মেরামত করা তখন ওই ধরনের লোনে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আশারাখি সম্পূর্ণ পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কৃষি ঋণ কাকে বলে? কৃষি ঋণের বৈশিষ্ট্য এবং কৃষি ঋণ কত প্রকার তা সম্পূর্ণভাবে বোঝা গেছে।

Next Read

Leave a Comment